পুরান ঢাকার ওয়ারী এলাকার একটি হোটেলে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় সন্দেহভাজন ৭২ জনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর ২১ জনকে রেখে বাকি ৫১ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, আটক হওয়া ব্যক্তিরা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বুয়েট) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তাঁদের মধ্যে বুয়েটের একজন শিক্ষকও ছিলেন।
ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তপন চন্দ্র সাহার ভাষ্য, বুয়েটের রেজিস্ট্রার এ কে এম মাসুদের নেতৃত্বে কয়েকজন শিক্ষক ওই শিক্ষকসহ ৫১ জনকে থানা থেকে নিয়ে যান।
মুঠোফোনে প্রথম আলো ডটকমকে দেওয়া রেজিস্ট্রার মাসুদের ভাষ্য, ওই শিক্ষক কম্পিউটারবিজ্ঞান বিভাগে অল্প কিছুদিন আগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন। বুয়েটেরই বন্ধুদের নিয়ে তিনি এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে স্টার হোটেলে গিয়েছিলেন।
মাসুদ বলেন, ‘অনেকে একসঙ্গে থাকায় পুলিশের হয়তো সন্দেহ হয়েছিল। তবে জিজ্ঞাসাবাদে কোনো কিছুতে তাঁদের যোগসূত্র মেলেনি।
’ তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি বুয়েট ক্যাম্পাসে ঘটেনি। তাই আমরা নিজেরা তাঁদের ছাড়াতে থানায় যাইনি। বেশি রাত হওয়ায় পুলিশই গাড়ি পাঠিয়ে আমাদের থানায় নিয়ে যায়। পরে আমরা সেখান থেকে তাঁদের নিয়ে আসি। ’
আটক হওয়া ২১ জনের মধ্যে ১০ জনকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
১১ জন ওয়ারী থানায় আটক রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওয়ারীর বিসিসি রোডের স্টার হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে অভিযান চালায় পুলিশের একটি দল। রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত অভিযান চলে। এতে মোট ৭২ জনকে আটক করা হয়।
এর মধ্যে একজন বুয়েটের শিক্ষক ও ৬১ জন বুয়েটের প্রথম বর্ষের ছাত্র।
অন্যরা নর্থ-সাউথ, ব্র্যাক, স্ট্যামফোর্ড, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওয়ারী অঞ্চলের পুলিশের উপকমিশনার মো. ইলিয়াছ শরীফ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘বুয়েটের রেজিস্ট্রারসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক তাঁকে নিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদে আটক হওয়া ব্যক্তিরা স্বীকার করেননি যে তাঁরা কোনো ধর্মীয় বা রাজনৈতিক ভাবাদর্শে বিশ্বাসী। তাই বুয়েটের শিক্ষকদের জিম্মায় ওই শিক্ষকসহ ৫১ জনকে ছেড়ে দিয়েছি। ’।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।