যে জাতি তার ইতিহাস, ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে পারে না, যে জাতি বুদ্ধিহীনতার কারনে একের পর এক তার সম্পদ ধ্বংস করে সে জাতির ভবিষ্যতে কি আছে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে একাধারে চলছে নদী দূষণ, অন্যদিকে চলছে নদীর পার দখল, খাল-ঝিল ভরাট করে তৈরি হচ্ছে দালান কোঠা। সরকারি সহায়তায় একটি গোষ্ঠী পাহাড়ের বনজ সম্পদ ধ্বংস করে চলেছে। এরি মধে্য শোনা যাচ্ছে সুন্দরবন ধ্বংস করার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। খবরে প্রকাশ সুন্দরবনের অদূরে রামপাল নামক স্থানে কয়লা ভিত্তিক একটি বিদু্যৎ কেন্দ্র স্থাপিত হবে।
পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই বিদু্যৎকেন্দ্র চালু হলে সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে। আমার মনে পড়ে, ১৯৯৩ সালে আগ্রার তাজমহলের উপর প্রভাব পড়ছে এমন একটি রিপোর্ট প্রকাশের পর ভারত সরকার আগ্রার আশেপাশের ২১২টি কারখানা বন্ধ করে দিয়েছিল (এতে লক্ষ লক্ষ লোক বেকার হয়ে যায়)। এমনকি তাজমহলের ১২০ মাইল সীমরেখার মধে্য কোন কল-কারখানা স্থাপন করা যাবে না এই মর্মে আইন পাশ করা হয়। অথচ কোন হরতাল হয়নি, এর বিপক্ষে কোন সমালোচনা হয়নি। অথচ আমাদের দেশে এরকম কিছু হলে জ্বালাও পোড়াও থেকে শুরু করে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া খুব সহজ একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আদালতের রায় আসতে আসতে যতটুকু ধ্বংস হওয়ার হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে একটা উদাহরণ দিচ্ছি যদিও সকলের জানা। দীর্ঘদিন ধরে বলা হচ্ছে হাজারিবাগ ট্যানারি বুড়িগঙ্গা দূষিত করছে এবং এটা দ্রুত স্থানান্তরিত করা প্রয়োজন; আদালতের নির্দেশ থাকা সত্বেও আজ পর্যন্ত সরকার বাস্তাবায়ন করতে পারেনি। আসুন এ বিষয়ে আমরা কথা বলি। জনসচেতনতা তৈরি করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।