ঢাকায় তিনি সামনাসামনি হয়েছিলেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
রামপাল বিষয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয় পাঁচবার কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া প্রবীণ এই রাজনীতিককে। প্রথমেই জানতে চাওয়া হয় সুন্দরবনের ১৪ কিলোমিটারের ভেতরে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পবিরোধীদের বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া।
ফারুক আবদুল্লাহ: বিরোধী গোষ্ঠীগুলোকে আমি এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে, পরিবেশের ক্ষতি করে এমন কোনো প্রকল্পে ভারত জড়াবে না। সুন্দরবন আমাদেরও কাছে।
শুধু তাই না,সুন্দরবন দুদশেরই যৌথ সম্পদ।
আমাদের দুর্ভাগ্য হল এই বিষয়গুলো নিয়ে এরকম হুজুগ তোলা হয় যে দুদেশের মানুষ একে অন্যকে সন্দেহ করা শুরু করে। একারণেই আমি একটা জিনিস পরিস্কার করতে চাই,ভারত এমন কিচ্ছু করবে না যাতে বাংলাদেশ বা ভারতের পরিবেশের কোনো ক্ষতি হয়। আমরা বিশাল সব আধুনিক কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বসাচ্ছি, সব পরিচ্ছন্ন। ওগুলো পরিবেশের ক্ষয় করলে আমরা বসাতাম না।
খালিদী: ভারতের বিদ্যুতের ৬০ শতাংশ কয়লা থেকে আসে ..
ফারুক আবদুল্লাহ: ঠিক। আমাদের সর্বোচ্চ আমদানিও কয়লা।
খালিদী: কিন্তু সম্ভবত বিপজ্জনক বলে উন্নত বিশ্বে কয়লাবিদ্যুৎ কমিয়ে আনা হচ্ছে। অনেক পরিশ্রম করে অভিঘাত বিবেচনা করে এবং আকস্মিক ঘটনার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি নেয়ার পরও এমনটা করা হচ্ছে। আপনারা তবু আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে রামপালকে সমর্থন দিচ্ছেন।
কেন?
ফারুক আবদুল্লাহ: আমি একদম নিশ্চিত যে ভারত আপনাদের পরিবেশ বা সুন্দরবনের ক্ষতি হয় এমন কিছু করবে না।
খালিদী: রামপালবিরোধীরা কিন্তু বলছেন, ভারতেরই পরিবেশ বিভাগের বেঁধে দেয়া নীতিমালা রয়েছে…
ফারুক আবদুল্লাহ: আমাদের পরিবেশ মন্ত্রী রয়েছেন, জয়ন্তী নটরাজন …
খালিদী (আগের বাক্যের ধারাবাহিকতায়): পাশাপাশি উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। যার সূত্র ধরে বাংলাদেশে বলা হচ্ছে বনভূমির নির্দিষ্ট পরিধির ভেতরে কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র করা যায় না। ভারতে এই সীমা হচ্ছে ২০ কিলোমিটার, তাই কি?
ফারুক আবদুল্লাহ: নাহ্। আমার তা মনে হয় না।
খালিদী: তাহলে [ভারতে] বিষয়টা কী?
ফারুক আবদুল্লাহ: একটা বিষয় একদম পরিষ্কার করে বলি। আগে যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার হত আর এখন যেগুলো হবে তা আলাদা। নতুন প্রযুক্তি অনেক বেশি পরিচ্ছন্ন। আগের চেয়ে অনেক কর্মক্ষমও। আগের কয়লাবিদ্যুৎকেন্ত্রগুলো অনেক বেশি দূষণের কারণ ছিল বলে এখন এনিয়ে ভুলবোঝাবুঝির অবকাশ ঘটছে।
এখন অন্যরকম হয়।
যারা [রামপালের]বিরুদ্ধে এত এত প্রচরণা চালাচ্ছেন তাদেরকে বলব রোম ঘুরে আসুন। সেখানে অনেক ঘন জনবসতির ভেতরে তাদের কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে। তখন তারা বুঝবে, রোম পারলে আমরাও পারি।
খালিদী: বাংলাদেশ সরকার বলছে রামপালে যে লো-সালফার কয়লা ব্যবহার হবে তা অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা হবে।
ফারুক আবদুল্লাহ: যেমনটা আমরা করে থাকি। একদম এটাই করে থাকি।
খালিদী: যেটা বেশ খরচসাপেক্ষ … কিন্তু বিরোধীরা বলছেন একপর্য়ায়ে নিম্ন মানের ভারতীয় কয়লা ঢুকে যাবে।
ফারুক আবদুল্লাহ: না, না। একেবারেই না।
(সাক্ষাৎকারটি সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় একাত্তর টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়। মঙ্গলবার এটি সমকালে প্রকাশিত হবে। )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।