আমি আজকাল চোর-ডাকাতদের ভয় পাইনা। রাস্তায় চলতে গেলেও কুশিক্ষিত মানুষ, গরু-ছাগল চিনতে পারে এমন ড্রাইভারদেরকেও ভয় হয়না। এটাতো স্বাভাবিক যারা কুকুরের ফ্রিকোয়েন্সিতে কথা বলে তাদের আমি কেমন করে চিনবো। আমি এখন উচু উচু ইমারতের দিকে তাকিয়ে হাঁটি, কালো কিংবা স্টিকার যুক্ত গ্লাসের ভেতর ঠান্ডা হাওয়ায় বেড়ে উঠা অশ্লীল ভুড়িওয়ালাদের কিংবা বড় বড় এপার্টম্যান্ট গুলোর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দেখি আমার হাতের আঙুল একটা অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। তাদের আমার ভীষণ ভয় হয় গল্পের রাক্ষস-খোক্ষসদের মত ভয় কিন্তু মক্ষীরানীদের মত সমীহ করি।
যদি এসে বলে টাকা দে নইলে ডিম পোচ করে দিব। পোশাকি দায়িত্বের বেড়াজালে জড়িত জায়গাগুলোর পাশ দিয়ে অথবা তাদের কেউ কেউ হেঁটে গেলেও আমার এমনটা হচ্ছে। আমি এই ব্যাপারটা খেয়াল করার পর থেকেই রাতে ঘুমের মাঝেও দুঃস্বপ্নে তাদের সাথে যুদ্ধ করতে ছিনেমার আশ্রয় নেই। আমার সাথে কি তাহলে আমার স্নায়ুও বিশ্বাস ঘাতককতা করছে তারাও কি বুঝে গেছে আমি একটা ভীরু, কল্পনার জগতেও প্রতিবাদ করার সাহস আমার নেই। আমি শুধু নীরবেই, দূর হতেই অসীম প্রতিবাদী, আমি ঝড় তোলা সে স্রোতা বা পাঠক যার নিজেকে বুঝতেই দ্বিতীয়বার ভাবতে হয়।
রিক্সাওয়ালার বৃষ্টিতে, রোদে, গরমে কিংবা শীতে খুবই কষ্ট হয় তাই ভাড়া একটু বেশিই হাঁকিয়ে বসে। গ্যাসের দাম বাড়লে তেলে চলা গাড়িরও ভাড়া বাড়তেই পারে ৫০ পয়সার এন্টাসিড এখন ১ টাকা, তাতেও কাজ হয়না, ২ টাকারটা খেতেই হয়। বড় বাবুদের দেশে সিপ্রোসিন এখনও উচ্চ শক্তিশালী এন্টিবায়োটিক। কিন্তু আমাদের দেশে নতুন নতুন আরও আছে, পুরাতনগুলো আর কাজে আসেনা। গিনিপিগদের দৈহিক সহনশীলতার অভাব কোনকালেই কমতি ছিলনা, এখনও নেই।
প্রাচীন কালের খাম্বা আর বর্তমানের কার্ড ব্যাবসায়ীরা নিত্যনতুন ব্যাবসা ফেঁদে নতুন মোনাফাখোর হচ্ছে তাতে আমাদের লাভ কি হচ্ছে? অবশ্য ক্ষতিও কিছু হচ্ছে বলে টের পাচ্ছিনা। সবই যেন কাগজে-কলমে কিংবা টাকায় কেনা আন্তঃজালের গিগাবাইটের খরচের পাল্লার ভার বাড়ছে। আমার মত কিছু মানুষ হাপিতেশ করছে, কিছু মানুষ তাদের সান্তনা দিয়ে কলম ধরছে। কেউ হিরো, কেউ ভিলেন আমরা সবাই নায়িকা শুধুই প্রয়োজনের সময় ডাক পরে। ভোটের বাজারে কিছুটা দামেই বিকোয় আর নায়িকার মত বিনোদনে অংশ নিয়ে বিনোদিত হই।
প্রযোজক টাকা কামায়, পরিচালক সুনাম বা দুর্নাম কামায়, দর্শক টাকা দেয় কিন্তু হিসাব পায়না। আমি বলি কি দর্শক জানেইনা হিসাব কি করে নিতে হয়। আর কেনইবা সে দর্শক?
ছোটবেলায় কত দানবীরদের গল্প শুনেছি, কেউ কেউ শেষ পর্যন্ত নিজের বস্ত্র পর্যন্ত দান করে ফেলেছে একবারও চিন্তা করেনি পরে কি হবে। আবার অনেক দানবীরের কথা শুনেছি তারা নাকি টাকা আয় করে শুধু মানুষদের দেবার জন্য সেটা অসৎ পথেও হতে পারে, সিনেমাতেও অনেক দেখেছি।
আচ্ছা আমার একটা প্রশ্ন দেশ কি দানবীর হতে পারে? যদি তাই হয় আর কত বার বস্ত্রহীন হলে আমরা এই দানবীরের উপমা থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পারবো।
অনেকবারতো উলঙ্গ হয়ে গাছের ছাল-বাকল দিয়ে আব্রু-ইজ্জত ঢেকেছি আর কত?
নতুন করে আর কে কে আছেন দেশ নামক দানবীরকে উলঙ্গ করবেন? কেউ একজন বলুন এইবারই শেষ বার, আর কখনও দেশকে দানবীরের ভুমিকায় দেখতে হবেনা, এখন থেকে উল্টোটাই হবে দেশের জন্য আমরা সবাই দানবীর হবো। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।