ডুকরে কাঁদে পঞ্চান্ন হাজার বর্গমাইল
সবুজ ছেঁড়া শাড়ী উড়ে যায় উলঙ্গ মাতৃভূমি।
লজ্জা, আবেগ, ভালোবাসা কাঁপে থরথর
গোলাপ বাগানে, কেউটের দখলে।
ঐতিহ্য ইতিহাস বিপন্ন, লুটেরা দালালের হাতে।
জোনাক জ্বলা শ্যামল মাকে মর্ডান সেক্সি সাজে
পর্ণগ্রাফী পণ্যরূপে বেঁচে দিতে হওনা দ্বিধাগ্রস্থ।
মানুষের সেবাদাসী নিজেকে ভেবেছো রাজরাণী
গণমানুষের বিন্দুবিন্দু রক্তে গড়ে হাওয়ার ইমারত
এখনো হাসছো উদ্ধত কাপালিক হাসি।
বিভৎস তাণ্ডবে মারছো মানুষ মহোৎসবে
অবুজ শিশুর চোখের তারা ঠিকরে থমকে থাকে
গণলাশের মাঝে।
তোমাদের সুরম্য প্রাসাদ থেকে
অশ্রুবিন্দুর মতন ঝরবে রক্ত।
তোমাদের ভাতের থালায় ঝোল হবে রক্ত।
পানির গ্লাসে চুমুকে চুমুকে উঠবে রক্ত
তোমাদের গায়ে ফুটবে ঘাম রক্ত
লিপিষ্টিকের লাল ঠোঁটে ভাসবে রক্ত
পেঁচিয়ে উঠবে শরীর শিফন-অজগর
তোমাদের চারপাশ ভরে যাবে
রক্তঘ্রানে পুতিগন্ধময়।
রক্ত ডোবা রাজপথে পদচিহ্ন এঁকে
হেঁটে যায় অগুনতি বাংলারমানুষ
নতুন ভোরের দিকে মুক্তির পথ খুঁজে
বেপরোয়া র্দূবিনীত ভালোবাসায়
হাসবে বিপন্ন স্বদেশ মুক্তি আনন্দে...
সেই দিনের বিভৎসতার স্মুতি নিয়ে সেই সময়ের একটি লেখা
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।