১. কালের শপথ, ২. মানুষ অবশ্যই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে, ৩. কিন্তু তারা নয়, যারা ঈমান আনে ও সৎআমল করে এবং পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয়, ধৈর্য ধারণে পরস্পরকে উদ্বুদ্ধ করে থাকে।
সুরা আছর ঃ১-৩
“রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ ইমাম নির্ধারণ করা হয় তাঁকে অনুসরন করার জন্যই। তাই তিনি যখন দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করেন তখন তোমরাও দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবে। আর তিনি যখন রুকু করেন তখন তোমরাও রুকু করবে। তিনি যখন সিজদা করেন তখন তোমরাও সিজদা করবে।
তিনি যখন সামিআল্লাহ হুলিমান হামিদা বলেন, তখন তোমরা রাব্বানা ওয়া লাকাদ হামদ বলবে। ”
বুখারী-২য় খন্ড/৪৭৪ অনুচ্ছেদ/৬৯৬ নং হাদিস/পৃষ্ঠা-৯৯
তাহলে ইমাম কাকে অনুসরণ করবে বা কেহ একাকী সালাত আদায় করলে কার মত সালাত আদায় করবে ?
“নবী (সাঃ) বলেছিলেন ঃ তোমরা আমাকে যেভাবে সালাত আদায় করতে দেখেছ সেভাবে সালাত আদায় করবে। ”
বুখারী-২য় খন্ড/৪১০ অনুচ্ছেদ/৬০৩ নং হাদিস/পৃষ্ঠা-৫২
তাহলে এখানে স্পষ্ট আকারে বুঝা যায় যে, আমরা যে নামায পড়ি তা রাসুল (সাঃ) মতই পড়তে হবে এবং এখানে আর অন্য কাউকে অনুসরণ করা যাবে না। অনেকে বলেন, আমরা আমাদের পূর্ববর্তীগণের মতই সালাত আদায় করছি। আবার অনেকেই বলেন, আমরা ইমাম আবু হানিফা/ইমাম মালেক/ইমাম শাফী/ইমাম আহমদ এর মত, আবার কেউ তার বলে আমি আমার পীর বাবার মত সালাত আদায় করছি।
উপরোক্ত হাদীসের আলোকে বিবেচনা করে দেখুন আসলে এদের মত বা আপনার পূর্ববর্তীগণের অথবা ইমাম গণের মত সালাত আদায় করবেন না, বরং রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর মত সালাত আদায় করবেন।
এখানে ( http://www.facebook.com/Islamicamendmentcenter ) আমার সাধ্যমত সহীহ হাদীস গ্রন্থগুলো থেকে নবী (সাঃ) এর সালাত কিরূপ ছিল সে হাদীসগুলো রেফারেন্স সহকারে উপস্থাপন করলাম যাতে করে কোন সন্দেহ না থাকে। আশা করি, আপনারা গোঁড়ামী না করে গোমরাহীর রাস্তা অনুসরণ না করে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর রাস্তাই অনুসরণ করবেন এবং একমাত্র আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস আনবেন। আল্লাহ আপনাকে আমাকে হেদায়েত দান করুন এবং আমাদের সহীহ ভাবে বুঝার ও সহীহ ভাবে আমল করার তৌফিক দান করুন। (আমীন)
“যারা সত্য প্রত্যাখ্যান করেছে তারা কি মনে করে যে, তারা আমার পরিবর্তে আমার বান্দাদেরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করবে? আমি সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের অভ্যর্থনার জন্যে প্রস্তুত রেখেছি জাহান্নাম।
তুমি বল ঃ আমি কি তোমাদেরকে সুসংবাদ দেবো তাদের যারা কর্মে অধিক ক্ষতিগ্রস্থ? তারাই সেই লোক যাদের প্রচেষ্টা দুনিয়াবী জীবনে বিভ্রান্ত হয়। যদিও তারা মনে করে যে, তারা সৎকর্ম করছে।
সুরা কাহফ- ১০২-১০৪
“আর তিনি (নবী) নিজের ইচ্ছায় কিছু বলেন না; এ হলো ওহী, যা তার প্রতি নাযিল করা হয়। ”
সুরা নাজম-৩ ও ৪
“হে নবী (লোকদের) বলে দাও, তোমরা যদি (বাস্তবিকই) আল¬াহকে ভালবাসতে চাও, তবে আমাকে মেনে চলো; তাহলে তিনিও তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহসমূহ মাফ করে দেবেন। ”
সুরা আলে ইমরান-৩১
http://www.facebook.com/Islamicamendmentcenter ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।