এলোকেশে কুন্তলরাশি, যেন দস্যু মেঘের ভেলা,
বেদনার কুণ্ডলী চিরে হৃদয়ের কাশবনে মৃদু দোলা।
আজ তারাদের মিতালি ঝরঝরে হাসি,
শুকনো পাতার মর্মর ধ্বনি গহীনে বাজায় বাঁশি।
বিষাদের ফটকে আজ লেগেছে তালা,
যেন স্বপ্নচারী চন্দ্রালোকে পর্যটকের মেলা।
হরিণী তার উচ্ছ্বল পদাঙ্কে বন-বাদাড়ে দেয় ছুট,
অন্তলোকের ছায়াপথে রেখে হাতে হাত,
ঘোরের রাজ্যে আনন্দে ভাসে মোর কল্পনাতট।
আঁচলে তার ধীর ধীর মতি, শালিক পাখির মায়া।
স্পর্শে যেন গঙ্গাতীরে, রূপালী চাঁদের ছোঁয়া।
হৃদয়কুঞ্জে হাতুড়ি পিটায়ে পাশ কেটে যায় সে,
ক্ষণিকের গড়া অজস্র ভাবনা হারায় নিমিশে।
কাছে মোরে না রাখলেও যে আমি রাখি তারে,
যন্ত্রযোগে চলি মোরা আগপিছ করে আঁধারে।
ইঞ্চি সাতেক দূরে সে যে, তবু বহু দূর,
গাড়ির আসনটির জড় দেয়াল যেন আছড়ে দেয় বাতিনুর।
একগোছা তার ঘনকালো কেশ অভিকর্ষ মায়াটানে,
স্বর্গ হাওয়ায় দুলছে যেতে মোর ভরা আসমানে।
ঢিপঢিপ বুকের বাড়ছে কাঁপুনি সেতারা বাজছে সাথে,
সারা গায়ের জেব্রা ক্রসিং সাইমুম গতিতে মাতে।
ক্ষণ ক্ষণ করে আশা জাগায় সে মোর, রাশি রাশি স্বপ্ন আঁকে,
অপরিচিত এক গন্ধ ছড়ায় প্রশান্তপুরের বাঁকে।
কতজনে এলো সে আসনখানিতে নাইবা নিলাম খোঁজ,
মায়াবিনীটির কুন্তলা আবেশ ভাবায় আমায় রোজ।
দিগন্তে হায় সূর্যটির হেলে পড়ার মত,
নীল ভুবনের অসীম ঠিকানায় ছুটছে পঙ্খীরাজ শত।
এ আকাশটিরে মাড়িয়ে তারা যায় অপরিচিতের দেশে,
ছায়াবনের রাজত্বটিকেও লয়ে যায় মেজে ঘষে।
তেমনি করে চললাম আমি মায়াবিনীটিরে রেখে,
মুহূর্তের এই পরশ সুধা সারা তনু মনু মেখে।
জনারণ্যে নেমেও যেন জানালার পাশে খুঁজি,
কপাটটিতে হায় দালানি হামলার ছায়া পড়েছিল বুঝি।
সেই থেকে আমার অন্তরপুরটি ডুকরে ওঠে কেঁদে,
উঞ্চ আবেশের ছায়াপথ যেন হারায় শুধু জেদে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।