অন্য রকম একটা জীবনের স্বপ্ন আমার আজও গেল না.............. আমেরিকার ঋতু বৈচিত্র বাংলাদেশের মত নয়। আমাদের বাংলাদেশীদের কাছে তো সম্পূর্ণই আলাদা। এখানে বর্ষা আসে না টিনের চালে রিমঝিম শব্দ নিয়ে, ছেলে পেলের রাস্তায় পানিতে দাপাদাপির আনন্দ নিয়ে, ঘরের কোনে থাকা মেয়েটার ছাদে উঠে বৃষ্টিতে ভেজার অপরিসীম উচ্ছ্বাস নিয়ে। এখানে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে কোনো ছেলে দেয়না চায়ের কাপে তৃপ্তির চুমুক। বৃষ্টি আমেরিকায় শুধুই আকাশ থেকে পানি পরা, ভেজা আবহাওয়া, হাইওয়েতে দ্রুতগতিতে চলা গাড়ি গুলোর গতি কমে আসা।
গ্রীষ্মে যদিও চারিদিক সবুজ হয়ে যায়, আমেরিকানরা মেতে ওঠে ক্যাম্পিং, হান্টিং আর ঘোরাঘুরিতে কিন্তু এই গ্রীষ্ম সাথে করে নিয়ে আসে না কালবৈশাখীর মাতাল পরিবেশ। আমের লোভনীয় স্বাদ পাবার জন্য গ্রীষ্মের অপেক্ষা করতে হয়না, এখানে সারা বছরই আম পাওয়া যায়। শীত আসলে এইখানে বাতাসে অদ্ভুত একটা গন্ধ ভেসে বেড়ায়। হয়ত তুষারের হয়তবা অন্য কিছুর। পৃথিবীর অন্য প্রান্তের এই আমার কাছে যা একদমই অচেনা।
গন্ধটা কেমন যেন উদাস ভাবে মনে পরিয়ে দেয় যে আমি আর দেশে নেই............শীতের সাথে আসেনা খেজুরের রস, ভাপা পিঠা, কুলি পিঠা। শীতের মধ্যে একটা জানালা খুলে লেপের মধ্যে ঢুকে ঘুমানোর যে মজা তা আমেরিকায় থেকে উপভোগ করা যায়না। এখানে প্রযুক্তি হয়ত হারিয়ে দিয়েছে শীতকে কিন্তু কেড়ে নিয়েছে এই আনন্দগুলো ও। কিন্তু একটা ঋতু এখানে খুব ভালো লেগেছে। সেটা হলো শরত কাল।
শরতের এমন অপরূপ চেহারা আমি বাংলাদেশে কখনো দেখিনি। অবশ্য আমি সারা বাংলাদেশ যে ঘুরেছি এমন না। আমার দেখা কোনো জায়গায় এত সুন্দর শরত দেখিনি। আমেরিকায় সাধারনত সেপ্টেম্বর এর দিকে শরত কাল আসে। নিচে আমার তোলা কিছু ছবি দিলাম কানেকটিকাট স্টেটের শরত কালের।
ছবিগুলো একটু পুরনো। ২০১২ সালের। তাও দিলাম। এমন সৌন্দর্য নিজের কাছে রেখে দেয়াই পাপ। এমনেই পাপী বান্দা, আরো পাপের বোঝা বাড়িয়ে কোনো লাভ নেই।
আপনারা দেখে আমার বোঝা হালকা করে যান ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।