আমার খুব কষ্ট হয়, যখন RAJAKAR বানানটা বাংলা বর্ণমালায় লিখা হয়। এটা বর্ণমালার জন্য অপমান।
(ইতিহাসঃ এই কবিতাটা লিখেছিলাম আমি যখন নবম শ্রেণী। শুনলাম কবিতা পাঠের আসর হবে। ওখানে স্বরচিত কবিতা পাঠ করতে হবে।
যার কবিতা ভালো হবে, সে পাবে প্রচুর বই। একদিকে বইয়ের লোভ, অন্যদিকে কবিতা লিখার অক্ষমতা। প্রতিদিন একটা লাইন লিখার জন্য হা-পিত্যেস করে বসে থাকি! বর্ণমালারা ধরা দেয়না। মাথার চুল টানতে টানতে অর্ধেক খালি করে ফেলেছি। ধুরছাই! আমাকে দিয়ে ওসব হবেনা।
দিবনা কবিতা-সিদ্ধান্ত নিলাম। হাফ ছেড়ে বাঁচলাম যেন।
তার দু'এক দিন পর বৃষ্টি শেষে বসে আছি বিলের পাড়ে। আকাশে ছোপ ছোপ মেঘ, চারপাশে ভেজা মাটির গন্ধ। পলকে তাকিয়ে থাকতে থাকতেই যেন রংধনুটা উঠল আকাশে।
এক্কেবারে চোখের সামনে। সে এক অদ্ভুত অনুভূতি! অপার্থিব। সেদিন আর কবিতা লিখতে ভাবতে হয়নি। সব বর্ণমালারা যেন রংধনু বেয়ে ঠাঁই পাচ্ছে কলমে।
প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছিলাম।
এত্তোগুলো বই পেয়েছিলাম। বিচারক ছিলেন তৎকালীন ভোরের কাগজ পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক, কলামিস্ট বিপ্রদাস বড়ুয়া, ছড়াকার রহিম শাহ, ছড়াকার আলম তালুকদার। আর বাড়তি পাওনা ছিল, বিপ্রদাস বড়ুয়া উনার সে সপ্তাহের সাহিত্য পাতায় আমার এই কবিতাটি নিয়ে পুরো একটি কলাম লিখেছিলেন। কি সৌভাগ্য!)
একদিন শরতে; একদিন শৈশবে
রং লেগেছে,বদলে গেছে সুদূর চারিদিক,
যাচ্ছে সবে জয়োৎসবে, বরণ করে নিক।
নীল আকাশে, তারই আশে উড়ছে যে সব আশা,
সকাল বেলায় মেঘের ভেলায়, নামছে ভালোবাসা।
দূর গগণে, হিম পবণে, রামধনুরই রঙ্গে,
রং এর ঝিলিক, দিচ্ছে যে ঠিক পিছলে পড়ার ঢঙ্গে।
ওইতো দেখি, রঙ্গিন পাখি ছড়ায় খুশির রেণু,
মনকে সাজায়, মন যে বাজায় প্রেমপিয়াসী বেণু।
ইচ্ছে করে, জীবন ভরে সুর তুলে যাই মনে,
তাকিয়ে থাকি, যত্নে রাখি মণিকোঠার কোনে।
এমন রঙ্গিন-এমনই দিন হয়তো বা জীবনে
আসবেনা যে জীবন সাঁঝে-ভালোলাগার ক্ষণে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।