আমার খুব কষ্ট হয়, যখন RAJAKAR বানানটা বাংলা বর্ণমালায় লিখা হয়। এটা বর্ণমালার জন্য অপমান। রঙ লেগেছে, বদলে গেছে সুদূর চারিদিক
যাচ্ছে সবে জয়োৎসবে, বরণ করে নিক।
নীল আকাশে তারই আশে-উড়ছে যে সব আশা
সকাল বেলায় মেঘের ভেলায় নামছে ভালোবাসা।
দূর গগণে, হিম পবনে, রামধনুরই রঙে
রঙের ঝিলিক দিচ্ছে যে ঠিক-পিছলে পড়ার ঢঙে।
ঐতো দেখি রঙিন পাখি ছড়ায় খুশির রেণু
মনকে সাজায়, মনযে বাজায় প্রেম পিয়াসী বেণু।
ইচ্ছে করে জীবন ভরে সুর তুলে যাই মনে
তাকিয়ে থাকি-যত্নে রাখি মণিকোঠার কোণে
এমন রঙিন এমনই দিন হয়তো আর জীবনে
আসবে না যে, জীবন সাজে ভালো লাগার ক্ষণে।
পাঠটীকাঃ
এই কবিতাটি ১৯৯৫ সালে লিখা। কৈশোরে ছন্দ নিয়ে খেলতে ভালোবাসতাম। কবিতার চতুর্থ মাত্রায় এবং অষ্টম মাত্রায় অন্ত্যমিল রেখেছিলাম।
সেই সাথে জোড়া লাইন শেষে অন্ত্যমিল। কৈশোরে কোন এক শরতের সকালে নদীর পারে বসে মাথায় এসে গিয়েছিলো "তাকিয়ে থাকি-যত্নে রাখি মণিকোঠার কোণে"-এই লাইনটি। তাকে জায়গা করে দিতেই বাকি লাইনগুলোর অবতারণা। কবিতাটি ছাপা হয়েছিলো ১৯৯৮ সালে ভোরের কাগজ পত্রিকার সাহিত্য পাতায় (আংশিক) এবং নটরডেম কলেজের ব্লু এন্ড গোল্ড-১৯৯৯ সংখ্যায়। ভোরের কাগজ পত্রিকায় শ্রদ্ধেয় বিপ্রদাশ বড়ুয়া অনেক যত্ন করে একটা ভূমিকা লিখেছিলেন কবিতাটির।
এতদিন পরে কি মনে করে ব্লগে দিলাম-নিজেও জানিনা।
=========================
ছবিঃ আন্তর্জাল। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।