তরল মৃত্যু পান করে সক্রেটিস যে'দিন অমর হলেন, সে'দিন থেকে আমি দার্শনিক ! আমার বন্ধু আশরাফ। ডিভি লটারিতে জিতে আমেরিকা গিয়েছিল। আমি জানিনা আশরাফ এটা দেখলে রাগ করবে কীনা,তবে দরিদ্র মেধাবী ছাত্র বলতে যেই জিনিসটা বুঝায়, আশরাফ ঠিক তা'ই ছিল। ওর জন্মের আগেই মারা গিয়েছিল ওর বাবা। ক্লাস ফাইভে থাকতে ওর মা।
মামাদের আদর আর মামীদের। গঞ্জনা দু'টো নিয়েই বড় হয়েছিল সে । চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে ডিগ্রী নেয়ার পর চাকরি পাওয়া নিয়ে যখন দুইচোখে অন্ধকার দেখছিল তখনই হুট করে , যেনবা দৈববলে ডিভি লটারীর মাধ্যমে আমেরিকা যাওয়ার সুযোগ পেয়ে যায় সে।
অন্য আর দশজন বাংগালীর মত সে শ্রমিকের খাতায় নাম লিখিয়ে আংগুল ফুলে কলাগাছ হতে পারত। কিন্তু সে তা চায়নি।
তাই যাওয়ামাত্র নাম লেখায় একটা কলেজে, আবার গ্রাজুয়েশন করার জন্য। সায়েন্সে পড়ার শখ ছিল তার। কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এই শখ পূরণ হয়নি। আমেরিকাতো আর বাংলাদেশ নয়, তাই সেখানেই সে শুরু করে বায়োকেমিস্ট্রিতে পড়াশোনা। দিনে কলেজ, রাতে কাজ।
এইভাবে হাড়ভাংগা খাটুনিতে সে এগিয়ে যেতে থাকে। খাটুনির ফলও মিলেছে সম্প্রতি। তার গবেষনায় বেরিয়ে আসছে বিজ্ঞানের নতুন নতুন সব তথ্য, তাকে নিয়ে ফিচার করছে মার্কিন পত্রপত্রিকা।
জয়তু আশরাফ। আপনারা সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন যেন ও বাংগালীর পরিচয়টা আরো আলোকিত করতে পারে।
বি: দ্র: (কিছুটা অপ্রাসংগিক)- একটা ছোট্ট ঘটনা। আশরাফ যখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হল তখন আমাদের এক ইন্টারের সহপাঠিনীর সাথে তার দেখা। সহপাঠিনি তখন ভর্তি হয়েছিল পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে । আশরাফ জানাল সে আইনবিভাগে ভর্তি হয়েছে। সহপাঠিনী ঠোঁট উল্টে বলল,'ও, সায়েন্সে তাইলে চান্স পাও নাই?!'..........আজ কেন যেন ব্যান্কে কলম পিষতে থাকা সেই মেয়েটার কথা মনে পড়ছে।
তার সম্পর্কে ফিচারটা পড়তে হলে Click This Link
তাকে সরাসরি অভিনন্দন জানাতে পারেন তার ফেসবুক ওয়ালে। এটা তাকে ভাল কাজের প্রেরণা জোগাবে বলে মনে করি। https://www.facebook.com/shamsuddinmk
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।