Raindrops falling from heaven.. Will never wash away my misery..
“Morning shows the day, is it true?” আমার এটা সত্যি বলে মনে হয় না। এই যে আজকের দিনটা সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন, তাই বলে যে আজকের দিনে সূর্য উঠবে না এমন কি বলা যায়? কিংবা কোমদিন সকালে উঠে যদি দেখি আজকের দিনটা ঝকঝকে তকতকে রৌদ্রজ্জল একটা দিন, তো কি ধরে নেব? আজকের দিনটায় আকাশে মেঘ দেখা অসম্ভব?
ধরুন এক্ষেত্রে আমি একটা বাস্তব উদাহরন। হ্যা আজকে আমি সম্পূর্ন আমার কথাই লিখব। বাস্তব আমি, আমি এই ভূত। আমার ছোট বেলা থেকে আজ পর্যন্ত যেসব উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে, তার যতটুকু আপনাদের সাথে শেয়ার করা সম্ভব ততটুকু আমি আজ আপনাদের বলব।
কেন বলব? কোন কারন নেই। না আসলে কারন আছে। কারনটা হল “Morning shows the day” এটাকে বাস্তব উদাহরন দ্বারা ভুল প্রমানিত করা। কিন্তু কেন এই ভুল প্রমানিত করার প্রচেষ্টা তা আমার জানা নেই।
আমার সকালবেলা (অর্থাৎ ছেলেবেলা):
আমি ছোটবেলায় ছিলাম অত্যন্ত শান্তশিষ্ট একটি মেয়ে।
যাকে নিয়ে বাবা-মা ও বিশেষ করে আমার বড় ভাইয়ের অনেক স্বপ্ন ছিল (হ্যা ছিল বলাই ভাল)। এই স্বপ্নের অনেক কারনও ছিল। একসময় ধারনা করা হত আমার মত শান্তশিষ্ট (লেজ বিশিষ্ট) মেয়ে আর দুনিয়ায় দ্বিতীয়টি নেই। আমাকে যেভাবে বসিয়ে রাখা হত আমি সেভাবেই বসে থাকতাম। চুপ থাকতে বললে চুপ থাকতাম, ঘুমাতে বললে ঘুমাতাম, খেতে বললে খেতাম (অবশ্য খাওয়া নিয়ে বহুত ঝামেলা আছে, ছিল এবং থাকবে) এই রকম ধরনের একজন।
তাছাড়াও আমি সকল পরীক্ষায় ১০০ তে ১০০ পেতেই বেশি অভ্যস্ত ছিলাম। পাওয়ার কারনও ছিল, সেই বয়সেই আমার আঁতলামির সীমা ছিল না। রোজ স্কুল থেকে এসে পড়তে বসতাম। ক্লাস ওয়ানে যে আমি অত কি পড়তাম আল্লাহ্ই জানে। এখন মনে হয় অতটুকু পড়লেও অনেক ভাল করতাম।
এভাবে করে গেল ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত। ক্লাস ফাইভে বৃত্তি পরীক্ষা দিলাম বৃত্তি পেলাম না, অতঃপর কান্নাকাটি আঁতলামির পরিমান বৃদ্ধি। এভাবে গেল আমার জীবনের কাক ডাকা ভোর।
এখন আসা যাক কাক ডাকা ভোরের পরের বেলায়। ক্লাস সিক্স থেকে সেভেন এ ওঠার পরও ভাল করেই চালিয়ে গেলাম পড়া লেখা।
উঠলাম ক্লাস এইটে। এবার চিন্তা হল যেভাবেই হোক না কেন এবার আমাকে বৃত্তি পেতেই হবে। তখনকার কথা মনে পড়লে আজকের আমিকে আমি নিজে চিনতে পারি না। সকালে উঠে পড়া শুরু করতাম পড়া শেষ করে ১০:৩০ এ স্কুলে যেতাম এসে কিছুক্ষন রেস্ট নিয়ে আবার পড়তে বসতাম। সেই পড়া কোন কোন দিন রাত ৪ টা ৫ টা পর্যন্ত চলত।
তখন পড়াই ছিল আমার জীবন মরন।
আমাদের সময় বৃত্তি পরীক্ষা সিডরের কারনে প্রায় ১ মাস পিছিয়ে জানুয়ারির ৮ তারিখে যাওয়ার সাথে সাথে আমার পড়ালেখায়ও ছেদ হল, আর সেটাই ছিল আমার বিধি বাম। আমার আঁতলামির অবসান ঘটল।
অতঃপর রোদেলা দুপুরঃ
এই রোদেলা দুপুরে এসেই আমি আঁতেল থেকে হলাম মহা ফাঁকিবাজ। এত পড়ার কথা আর কোনদিন ভাবতেই পারলাম না।
আমার, আমার বাবা-মা, ভাইয়া সবার স্বপ্নই মলিন হল। হয়ত মুছে যায় নি পুরোপুরি কিন্তু বাস্তবায়নের সম্ভাবনা অনেক কম।
এখন আমাকে যদি আমার সকালবেলা দিয়ে বিচার করা হয় তাহলে আমাকে কি মনে করা হবে? কিন্তু বর্তমান আমি কি আসলেই তাই? তাই নই। তাই বলব “Morning doesn’t show the day………”
বরং জীবনের শেষে যা অবশিষ্ট থাকে সেটাই ultimate result.
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।