কিছু গাছের বিভিন্ন অংশ থেকে জৈব রাসায়নিক কীটনাশক তৈরীর উপায় ও তাদের ব্যবহার
১. আতা ও সরিফা গাছের পাতা:-
এক ভাগ আতা অথবা সরিফা গাছের পাতা ৫ ভাগ পানির মাঝে ৫-১০মিনিট ভিজিয়ে রেখে পানিটা ছেঁকে নিয়ে ফসলে ব্যবহার করা যায়।
অন্যদিকে আতার শুষ্ক বীজ পিশে নিয়ে ১লিটার পানিতে মিশিয়ে সারারাত রেখে পরের দিন শস্যে স্প্রে করলে উপকার পাওয়া যায়।
এই দুইটা মুলত এফিড, রেড পামকিন বিটেল, মথ ইত্যাদি কীটের বিরুদ্ধে ভালো কাজ করে।
২.বিসকাটালী:-
বিসকাটালীর পাতা ও কান্ডের নির্যাস পানিতে (১কে.জি. ঃ ৮-১০লিটার) মিশিয়ে পাতলা কাপড় দিয়ে ফিল্টার করে নিয়ে ফসলে স্প্রে করলে উপকার পাওয়া যায়।
এটা মাছি ও এফিড এর বিরুদ্ধে ভালো কাজ করে।
৩.মরিচ:-
১০০গ্রাম মরিচের গুড়া ১লিটার পানিতে মিশেয়ে সারারাত রেখে দিতে হবে। পরের দিন সকালে ৫০গ্রাম সাবান ৫লিটার পানিতে মিশিয়ে আগের মরিচে গুড়ার মিশ্রণের সাথে মিশেয়ে ফসলে প্রয়োগ করলে উপকার পাওয়া যায়।
যে সব পোকার বিরুদ্ধে এটা কার্যকর-পিপড়া, এফিড, এছাড়া টি.এম.ভি ও ফাংগাল ঘটিতো রোগের জন্যও এটা ভালো কাজ করে।
৪.নিমের ফল ও পাতা:-
প্রথমে হালকা সবুজ থেকে হলুদ রংয়ের ফল সংগ্রহ করে রোদে শুকাতে হবে, তারপর শুকনো ফল পিশে পাউডার তেরী করতে হবে। এরপর ২মুষ্টি পাউডার ১লিটার পানিতে মিশেয়ে সারারাত কোনো পাত্রে ঢ়েকে রাখতে হবে, পরের দিন এটা জৈব কীটনাশক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
অন্য দিকে ১কে.জি. নিমপাতা ৬কে.জি. পানিতে রেখে ১৫-২০মিনিট উত্তপ্ত করে, ঠান্ডা করার পর ছেকে সেই পানি জৈব রাসায়নিক হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
যে সব পোকার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যায়-মাছি, বিটেল, ক্যাটারপিলার
৫.টমেটো:-
প্রথমে ১কে.জি. টমেটো পাতা ও কান্ড ৫লিটার পানিতে মিশিয়ে ১৫-২০মিনিট উত্তপ্ত করতে হবে, তারপর মিশ্রণটিকে ঠান্ডা করে ছেকে নিতে হবে। সবশেষে এই পানি ফসলে স্প্রে করলে উপকার পাওয়া যায়।
যে সব পোকার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যায়-মাছি
৬.এলামোন্ডার পাতা ও ফুল:-
প্রথমে এলামোন্ডার পাতা কয়েক মিনিট বয়েল করতে হবে তারপর বয়েলকৃত ১লিটার সামগ্রী পাঁচ লিটার পানিতে মিশিয়ে ফানজিসাইড হিসেবে ফসলে ব্যবহার করা যায়।
৭.গবাদী পশুর মুত্র:-
প্রথমে গবাদী পশুর মুত্র একটা পাত্রে সংগ্রহ করতে হবে, এরপর এটা পলিব্যাগ দিয়ে ২সপ্তাহ ঢ়েকে রাখতে হবে।
সবশেষে ১ভাগ মুত্র ২ভাগ পানিতে মিশিয়ে ফসলের কীটনাশক হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।