জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী নারী। তিনি টানা দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্বস ম্যাগাজিনের করা তালিকার শীর্ষ স্থানে রয়েছেন। এবারের তালিকায় প্রভাব বিস্তার করেছে রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত নারীরা। ফোর্বস প্রতিবছর এই তালিকা প্রকাশ করে থাকে। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন।
এর ঠিক পরের স্থানেই আছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রৌসেফ। আর ভারতের ন্যাশনাল কংগ্রেস এর প্রধান সোনিয়া গান্ধি তালিকায় ছয় নম্বর স্থানে রয়েছেন। নীতি নির্ধারণ, বিনোদন, প্রযুক্তি, অলাভজনক সংস্থাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে যেসব নারী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন তাদের মধ্য থেকেই প্রভাবশালী শত নারীর তালিকা তৈরি করে থাকে ফোর্বস। এ ক্ষেত্রে মানুষের ওপর তাদের প্রভাব, অর্থ নিয়ন্ত্রণ ও আয় এবং গণমাধ্যমে উপস্থিতির বিষয়টি বিবেচনা করা হয়ে থাকে। ফোর্বসওমেন -এর প্রেসিডেন্ট ও প্রকাশক ময়রা ফোর্বস বলেন, "ক্ষমতাশালী এই নারীরা বিভিন্ন ভাবে তাদের প্রভাব বিস্তার করে চলেছেন।
বিশ্ব সমপ্রদায়ের ওপর তাদের পৃথক পৃথক প্রভাবক ভূমিকা রয়েছে। " শীর্ষ তিন ক্ষমতাশালী নারী সম্পর্কে ফোর্বস জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন টিকিয়ে রাখায় মেরকেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ইউরো জোনের অর্থনৈতিক ঘাটতি মোকাবিলায় তার কার্যকরী প্রভাব ছিল। উইকিলিকসে যুক্তরাষ্ট্রের লাখ রাখ গোপন কূটনৈতিক বার্তা প্রকাশিত হয়ে যাওয়ার পর হিলারি ক্লিনটন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ব্রাজিলকে নেতৃত্ব দেওয়ায় অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করে চলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট দিলমা রৌসেফ।
তালিকায় বিল ও মিলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো চেয়ারম্যান মেলিন্ডা গেটস চতুর্থ ও নিউ ইয়র্ক টাইমসের নির্বাহী সম্পাদক জিল আব্রামসন পঞ্চম স্থানে রয়েছেন। আর যুক্তরাষ্ট্রের ফাস্ট লেডি মিশেল ওবামা রয়েছেন তালিকার সপ্তম স্থানে। এবারের তালিকায় ২৮টি দেশের নারীরা স্থান পেয়েছেন। তাদের গড় বয়স ৫৫ বছর।
সুত্র : click here ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।