ধর্মান্ধ মুমিন বান্দাদের লন্ডভন্ড করব !
আওয়ামীলীগ জিতলেই বাংলাদেশ জিতেনা কিন্তু আওয়ামী লীগ হারলে বাংলাদেশ হারে। প্রতিক্রিয়াশীলতার কাছে হারে। বাঙ্গালী জাতিকে আরেকবার মূর্খ বলতে ইচ্ছ করছে। এই মুর্খ বাঙ্গালী ধর্ম ছাড়া কিছু বোঝে না। যারা রাজাকারের সমর্থক, যারা রগ কাটে, যাদের শরীর ২০০১ এর ধর্ষিতাদের রক্ত লেগে আছে তাদের মুখে ধর্মের কথা শুনে বিলকুল গলে যায় বাঙ্গালী।
এরা ভুলে গেছে সেই মায়ের আর্তনাদ “আমার মেয়েটা ছোট. বাবারা তোমরা একজন একজন করে আস”। এই বাঙ্গালী মায়ের উপর নির্যাতনের প্রতিশোধ চায় না। এই বাঙ্গালী খালি বোঝে ধর্ম !! এদেশের মুসলমানের কাছে ইসলাম ছাড়া আর কিছুই নেই গর্ব করার মতো। মাস্টার্স-পিএইচডি করা লোকগুলোও পূর্বপুরুষদের সামান্যতম ইতিহাস জানে না, তারা জানতেও চায় না। তাদের কাছে ইসলামের ইতিহাসই ইতিহাস, তাও আবার ইসলামের ইতিহাসের বিজ্ঞান-দর্শন-মুক্তচিন্তার ইতিহাসটুকু বাদ দিয়ে কেবল তলোয়ার ও রক্তের ইতিহাসটুকু।
আহমদ শরীফ বলেছিলেনbr />
"এদেশের বেশিরভাগ মুসলমানই নিম্নবর্ণের হিন্দু থেকে মুসলমান হয়েছে, তাই সেখানে নিপিড়ীত, নিগৃহীত পূর্বপুরুষ নিয়ে তারা কীইবা গর্ব করবে?"
নজরুল ভীষণ আক্ষেপ করে বলেছিলেন:--
“আজ বাঙালি মুসলমানের মধ্যে একজন চিত্রশিল্পী নাই, ভাস্কর নাই, সঙ্গীতজ্ঞ নাই, বৈজ্ঞানিক নাই, ইহা অপেক্ষা লজ্জার কী আছে? এই সবে যাহারা জন্মগত প্রেরণা লইয়া আসিয়াছিল, আমাদের গোঁড়া সমাজ তাহাদের টুঁটি টিপিয়া মারিয়া ফেলিয়াছে ও ফেলিতেছে। এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে আমাদের সমস্ত শক্তি লইয়া যুঝিতে হইবে। নতুবা আর্টে বাঙালি মুসলমানের দান বলিয়া কোন কিছু থাকিবে না। পশুর মত সংখ্যাগরিষ্ঠ হইয়া বাঁচিয়া আমাদের লাভ কী, যদি আমাদের গৌরব করিবার কিছু না থাকে। ভিতরের দিকে আমরা যত মরিতেছি, বাহিরের দিকে তত সংখ্যায় বাড়িয়া চলিতেছি।
”
এখন বলুন তো মানুষ কেন ভোট দেবে আওয়ামীলীগ কে ? আজ আওয়ামীলীগের পক্ষে ভোট না গিয়ে যদি রাজাকারের পক্ষে যায়, তার জন্য আওয়ামীলীগ নিজেই দায়ী। পদ্মা সেতু, হলমার্ক, শেয়ার বাজার, সোনালী ব্যাংক, রেলওয়েসহ অসংখ্য অনিয়ম দূর্নীতির মধ্য দিয়ে চলছে তাদের শাসনকাল। সেই সাথে আছে যুবলীগ- ছাত্রলীগের সোনার ছেলেদের অপকর্ম। ভাবতে অবাক লাগে যে আওয়ামীলীগ একটি প্রথম সারির দল যারা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, ত্রিশ লাখ শহীদের স্বপ্ন, আওয়ামীলীগের মাঝেই বেঁচে আছে।
কারন অপরদিকে অবস্থান করছে একাত্তরের ঘাতক ও তাদের সমর্থকচক্র !! যারা ধর্ম দিয়ে মুর্খ বাঙ্গালীদের কিনে নেয় খুব সহজেই। এবার কি তারা বুঝতে পারবেন যে মুক্তিযুদ্ধের অজুহাতে বেশিদিন মানুষের কাছে ভাল থাকা যায় না।
সরকার হেফাজতকে খুশি করতে গণজাগরণ মঞ্চকে চট্টগ্রামে যেতে দেয়নি। ঢাকায় গণজাগরণ মঞ্চ রাতের বেলা ভেঙ্গে দিয়েছে! হেফাজতকে খুশি করতে নিরীহ ব্লগারদের ধরে জেলে পুরে রেখেছে। সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে আটকে রেখেছে মুজাহিদ আর গোলাম আযমের মামলার রায়! এবার প্রমাণ হচ্ছে কি যে হেফাজতিদের হাতে পায়ে ধরে সারাদিন হেফাজত করলেও একটি ভোটও তারা আপনাদের দেবে না।
ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার দল আওয়ামীলীগ নয়। তাদের কাছে মানুষ এটা প্রত্যাশা করে না। জিয়া আর এরশাদ যা করেনি, সংবিধানের সেই শেষ হত্যাটা করলো আওয়ামীলীগ! কোথায় গেল ৭২এর সংবিধান ? কোথায় গেল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা?
এটা যদি হয় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সতর্কবার্তা তবে চিন্তার কিছু অবকাশ থেকেই যায়। প্রতিক্রিয়াশীলরা ক্ষমতায় আসবে, নাস্তিক আখ্যা দিয়ে হত্যা করা হবে মুক্তমনাদের। ঘরে ঘরে চলবে ধর্ষণের মহোৎসব, মা-মেয়ে-বধুকে শরীয়ামতে (!) ধর্ষণ করা হবে।
। ইন্টারনেট, ব্লগ বন্ধ করে দেয়া হবে। উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা মারবে । জন্ম নিবে আরও অনেক বাংলা ভাই। রাজাকারেরা ছাড়া পেয়ে যাবে।
তাদের গাড়িতে আ্ববারো উড়বে জাতীয় পতাকা। তাদের নারকীয় উল্লাসে কাঁপবে রাজপথ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি পরিনত হবে শিবিরের অস্ত্র প্রশিক্ষণ ঘাটিতে। লীগাররা তখন টাকা পয়সা দিয়ে ম্যনেজ করে নিবে, কিংবা পাড়ি জমাবে বিদেশে । আর আমাদের জন্য তৈরি থাকবে শান দেয়া ছুরি আর চাপাতি।
আমরা বাঙ্গালী, আমরা আবেগী, আমরা মূর্খ !!!! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।