আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঈদের দিনের সাজুগুজু

আমি উচ্চারিত সত্যের মতো স্বপ্নের কথা বলতে চাই ঈদের দিনের সাজুগুজু দেখতে দেখতেই কাঙ্খিত আনন্দের দিনটি চলেই এলো। বৃষ্টি বিঘিœত সকাল হলেও আকাশ এখন বেশ পরিষ্কার। ঈদের বর্ণিল কর্মসুচি নিয়ে ব্যস্ততা শুরু হবে দুপুরের পরেই। বাইওে যেহেতু বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা কমবেশি সবার স্বভাবতই চলে আসে সাজ-পোশাকের ব্যাপারটি। কিন্তু কিভাবে সাজবেন, কেমন করে সাজলে আপনি হবেন মার্জিত, স্মার্ট এবং প্রিয়দর্শিনী।

তাই বিভিন্ন পোশাকের সঙ্গে কিভাবে সাজবেন এখানে তার বর্ণনা দেয়া হল। *******জিন্স-ফতুয়া****** যদি আপনার পোশাকটি হয় জিন্স-ফতুয়া তাহলে ভারি মেকআপ না নেয়াই ভালো বা যে কোন উজ্জ্বল রঙের শ্যাডো বা লিপস্টিক ব্যবহার না করাই ভালো। জিন্স-ফতুয়ার সঙ্গে ছোট ওড়না বা স্কার্ফ ব্যবহার করতে পারেন; মেকআপের শুরুতে ত্বক পরিষ্কার করে টোনার ও ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে মুখের উপরে স্কিন টোনের সঙ্গে মিলিয়ে ফাউন্ডেশন দিয়ে ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। দিনের বেলায় আপনি যদি চোখে কাজল পরতে চান, কালো না পরে ব্রাউন কালার ভালো দেখাবে। রাতের বেলায় কালো, নীল, সবুজ, ছাই ইত্যাদি যে কোন রঙের সমন্বয়ে সুন্দর করে আই-শ্যাডো লাগাতে পারেন।

আই-লাইনার, মাশকারা এবং হালকা যে কোন রঙের লিপস্টিক, অবশ্য যেটা আপনার স্কিন টোনের সঙ্গে মানিয়ে যাবে সেই রঙটিও লাগাতে পারেন। দু’গালে খুব হালকা করে গোলাপি, পিচ্ অথবা ব্রোঞ্জ রঙের ব্লাশার লাগিয়ে নিতে পারেন। তবে আপনি খেয়াল রাখবেন, এই পোশাকের সঙ্গে মেকআপ নিলে অবশ্যই যাতে ফিনিশিংটা ম্যাট হয়। শাইনি বা গ্লসি লুককে অবশ্যই এড়িয়ে যেতে হবে। এমনও হতে পারে আপনি তেমন কোন মেকআপ নিতে চাচ্ছেন না, সেক্ষেত্রে মুখের উপরে ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার বুলিয়ে হালকা যে কোন রঙের লিপস্টিক লাগাতে পারেন।

চুল যদি বিভিন্ন স্টাইলে কাটা থাকে তবে তা ড্রায়ার বা আয়রন করে সেট করে নিন। আর যদি লম্বায় পিঠ বা কোমর সমান হয় তাহলে হালকা ড্রায়ার বা আয়রন ব্যবহার করে কানের দু’পাশ থেকে নিয়ে পেছনের দিকে ক্লিপআপ করতে পারেন। স্পাইরাল বা কার্ল করে পিঠের উপরে চুলগুলোকে ছড়িয়ে রাখতে পারেন অথবা মাথার সামনের অংশের চুল কিছুটা ফুলিয়ে হেয়ার ব্যান্ড বা ছোট পাঞ্চ ক্লিপ বা কালো ক্লিপ দিয়ে আটকে দেয়া যায়। *****সালোয়ার-কামিজ******* ঈদের আগের দিন রাতেই দিনের কোন সময়ে কোন কাপড়টি পরবেন, তা ঠিক করে ফেলুন। দিনের বেলায় হালকা রঙের আরামদায়ক এবং রাতের বেলায় গাঢ়, উজ্জ্বল এবং গর্জিয়াস কাপড়টি বেছে নিলে ভালো।

দিনের সাজে হালকা ধরনের মেকআপ নিতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী ত্বক পরিষ্কার করে টোনার এবং ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফাউন্ডেশন লাগান। এর উপরে ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার বুলিয়ে ফাউন্ডেশন ভালোভাবে বসিয়ে দিন। ড্রেসের সঙ্গে ম্যাচিং করে অথবা যে কোন কন্ট্র্যাস্ট কালারের লাইট শ্যাড আই-শ্যাডো ব্যবহার করতে পারেন। তবে দিনের বেলায় রঙ পছন্দ করার সময় অবশ্যই ব্লু, রেড, ইয়েলো, গ্রিনÑ এই চারটি কালারকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।

দিনের বেলায় ব্লাশারের ক্ষেত্রে হালকা রঙ বেছে নিন। চোখে মাসকারা এবং আই-লাইনার লাগাতে পারেন। দিনের বেলায় খুব গাঢ় রঙের না পরে হালকা কালারের লিপস্টিককেই প্রাধান্য দিন। রাতের বেলার সাজে গাঢ়, উজ্জ্বল রঙের আই-শ্যাডো বেছে নেয়া যায়। চোখে মাসকারা এবং আই-লাইনার লাগান।

চোখকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে চোখের সাজে অনন্য দ্যোতনা এনে দিতে ম্যাচিং করে লেন্স পরে সুন্দর করে খানিকটা কাজল দিতে পারেন। ব্লাশার দিন এবং ঠোঁটে লাগান লিপস্টিক। চোখের সাজ বেশি জমকালো হলে লাইট কালারের লিপস্টিক পরুন। লিপস্টিকের উপরে লিপগ্লস লাগাতে পারেন। আজকাল ফ্রস্টেড লিপস্টিকও খুব চলছে।

লিপস্টিকের কালারের সঙ্গে মিলিয়ে ব্লাশার লাগান। তবে ব্রোঞ্জ কালারের ব্লাশার যে কোন ড্রেসের সঙ্গে মানিয়ে যায়। সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে টিপ না পরাই ভালো; তবে যদি খুব পরতে ইচ্ছা হয়, ছোট টিপ বেছে নিন। *******শাড়ি******* ঈদের দিনে আপনার পোশাকটি যদি হয় শাড়ি, তবে আপনার সাজটি হবে কিছুটা ভিন্ন। একইভাবে আই-শ্যাডোর রঙ, লিপস্টিকের রঙ, গহনা, স্যান্ডেল, হ্যান্ডব্যাগ ইত্যাদি বেছে নিন।

ব্লো-ড্রাই করলে অথবা চুল শুকানোর জন্য ড্রায়ার ব্যবহার করলে মেকআপের আগেই করে নিন। মেকআপ বা ড্রেসআপের পরেই সাধারণত চুল বাঁধা সুবিধাজনক। আপনার শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে অথবা যেকোন কন্ট্র্যাস্ট কালারের আই-শ্যাডো ব্যবহার করতে পারেন, আই-শ্যাডোর রঙ এমন হওয়া উচিত যেন আপনাকে পরিচ্ছন্ন ও উজ্জ্বল দেখায়। তবে শাড়ির সঙ্গে আই-শ্যাডো ও লিপস্টিকের রঙ কিছুটা গাঢ় ও উজ্জ্বল হওয়া উচিত। চোখের সাইজ যদি বড় হয় তবে একটু মোটা করে টেনে আই-লাইনার লাগাতে পারেন।

চোখের নিচে কালো আইলাইনার পেনসিল আর যদি চোখের সাইজ ছোট হয় তবে সাদা আই লাইনার পেনসিল দিয়ে নিচের ইনার লাইন আঁকুন। মাশকারা লাগাতে ভুলবেন না। তবে ব্লাশারের রঙ বেশি উজ্জ্বল না হওয়াই ভালো। ব্লাশার খুব ভালোভাবে ব্লেন্ড করে স্কিনের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। ড্রেসআপ সেরে নিয়ে চুল সেটিং করে নিতে পারেন।

চুলের ধরন ও দৈর্ঘ্য অনুযায়ী চুল সেটিং, ক্লিপআপ অথবা যে কোন খোঁপা বাঁধতে পারেন। যেমনÑ চুল যদি রিবন্ডিং অথবা স্ট্রেইটনিং করা থাকে তবে হালকা আয়রন বা ব্লো-ড্রাই করে ছেড়ে দিতে পারেন, এছাড়াও ঘাড় বা পিঠ সমান লম্বা যেসব চুল, সেসব চুলকেও আয়রন বা ব্লো-ড্রাই করে ছেড়ে দিতে পারেন, ফ্রেঞ্চ-নট্ বাঁধতে পারেন,ফ্রেঞ্চ-বান করতে পারেন,স্পাইরাল করতে পারেন, সামনের অংশের চুলকে সামান্য ব্যাককম্ব করে ফুলিয়ে ক্লিপ দিয়ে আটকে পেছনের চুল ছেড়ে দিতে পারেন; অথবা বেণীও করতে পারেন। চুলের সামনে ও মাঝখানে হালকা ব্যাক-ব্রাশ করে ফুলিয়ে নিয়ে পেছনের চুলকে মুখের সঙ্গে মানানসই স্টাইলে ক্লিপআপ করতে পারেন বা ঢিলেঢালা যে কোন খোঁপা বাঁধতে পারেন। এভাবে মুখের সঙ্গে মিলিয়ে যেকোন ভাবে চুল বাঁধতে পারেন। দিনের অনুষ্ঠানের জন্য শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে এক রঙের বা হালকা কাজ করা ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন।

তবে রাতের বেলায় পুঁতি বা স্টোন বসানো একটু ভারি কাজের ছোট পার্টিব্যাগ অথবা টিস্যু বা কাতান কাপড়ে তৈরি ফ্যাশনেবল বটুয়া নিতে পারেন। লেখা : যাকারিয়া ইবনে ইউসুফ মডেল : ভাবনা  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.