আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই! (গ্রান্ড ইউনিফাইড থিওরেমের উপর স্টিফেন বারের একটা লেকচার শুনে মনে হলো কিছু একটা লিখি, ঈশ্বর ভাবনাটা কেমন যেনো মিলে গেলো!)
প্রথমেই প্রশ্নটা করে ফেলি:
কোয়ান্টাম ফিজিক্স কি ঈশ্বরের অস্তিত্বকে সহজ ভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে?
না, কখনোই তা করেনি। তা কোয়ান্টাম ফিজিক্স যেটা করেছে সেটা নাস্তকতাবাদকে সরাসরি বাশ মেরে দিয়েছে! ঈশ্বরের ধারনার বিপরীত যে বস্তুবাদী দর্শন সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে খুব ভালো ভাবেই।
বস্তুবাদী চিন্তা আমাদেরকে বুঝতে শিখায় জগতের সবকিছু পদার্থ আর তার ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার ফলাফল। যেহেতু এই কনসেপ্টটা বিজ্ঞানের মেথডোলজীর উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল সেহেতু যারা ঈশ্বর বিশ্বাসী নন তারা এটাকে খুব ভালোভাবে গ্রহন করেছেন।
তারা মনে করেন যে এই যে মহাবিশ্ব এর পুরোটাই পদার্থবিজ্ঞানের মাধ্যমে একটা বদ্ধ সিস্টেম হিসেবে দেখানো যায় এবং এই বদ্ধ সিস্টেমে বহিঃর্ভাগ থেকে কোনো শক্তি বা কোনো প্রভাব কাজ করবে না। যেহেতু বস্তুভাবনা গুলো আমাদেরকে শিখিয়েছে যে আত্মা বা নিয়ত বলতে কিছু নেই, সবকিছুই শুধু নির্বাচনের ভিত্তিতে গঠিত সেহেতু দেখা যাচ্ছে আমাদের আশেপাশের পুরো মহাবিশ্বের সকল ঘটনাই আমাদের কাছে আমাদের মনোঃজগৎ এবং ইন্দ্রিয়ভিত্তিক অনুধাবনের উপরই নির্ভর করছে। তাই ইদানিং নাস্তিক থেকে শুরু করে সাধারন্যের সবাই নিজেদেরকে রক্ত মাংসের মেশিন ভাবতেই ভালোবাসি!
কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স আবার এক কাঠি সরেস। যদি ভালো করে লক্ষ্য করা যায় তাহলে দেখা যাবে আমরা যদি আমরা মস্তিষ্কের চিন্তাভাবনার সাথে কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সের ধারনা একত্রিত করি তাহলে উদ্ভট এক পরিস্হিতির জন্ম নেয়। যেমন ধরা যায় একটা বিশাল বনান্ঞ্চলে একটা গাছের উপর বিজলীপাত হলে সেটা ভেঙ্গে পড়ে।
এখন যদি কোনো মানুষের পন্ঞ্চইন্দ্রিয়ের আওতায় এই ঘটনাটা না পড়ে তাহলে ব্যাপারটা কি দাড়াবে? দাড়াবে যে এখানে কোনো গাছ ভাঙ্গেনি। বনমালী যতক্ষন না দেখছে বৃক্ষটি ভেঙ্গে পড়েছে ততক্ষন ঐ গাছটি সবার মনেই বেচে আছে।
তার মানে প্রথম ধাক্কায় দেখা যাচ্ছে আমরা আমাদের আহরিত জ্ঞান, প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়েই এই জগৎসংসার বিচার করি।
আপনারা কেউ কেউ প্রশ্ন করতে পারেন যে এইযে কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স এটা কি মানুষের মন নিয়ে কোনো কাজ করতে পারে? মানুষের মন বা মস্তিষ্ককে কি কোনোকিছু দিয়ে পরিমাপ সম্ভব যেমনটা আমরা কোনো কনিকা, বলের ক্ষেত্রে করি? একটু ভালো করে ভাবলে দেখা যাবে আসলে সেটা মানুষের মন বা মস্তিষ্ক যেটা এই সব বল বা কনিকা, তাদের ভূত ভবিষ্যত গননা করে। এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
কিন্তু এখন যদি কেউ দাবী করে বসে যে না, মানুষের মনকেও এই সব বাহ্যিক কনিকা, বল ইত্যাদী দিয়ে বিচার করা সম্ভব তাহলে ব্যাপারটা দুর্বোধ্য হয়ে যাবে, অনেক কঠিন হয়ে যাবে। এই ব্যাপারটা ৩০ এর দশকের এক গণিতবিদ সুন্দরভাবে বর্ননা করেন। আমার রচনাটা সেই গণিতবিদের ধারনার উপর লেখা হয়েছে আরকি!
শ্রোয়েডিঙ্গার সাহেব যখন তার বিড়ালের জন্মমৃত্যুর সম্ভাব্যতা নিয়ে একটা কাল্পনিক পরীক্ষার কথা বললেন তখনই কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সে প্রোবাবিলিটি ঢুকে গেছে। ক্লাসিক্যাল ফিজিক্স এখনও অনেকক্ষেত্রে কোনো ঘটনার ফলাফল নির্ধারন থেকে শুরু করে কিভাবে ঘটলো কোয়ান্টাম ফিজিক্সের থেকে বেশ ভালোভাবেই ব্যাখ্যা করতে পারে এবং দেখা যায় যে অনেক ব্যাপারে ক্লাসিক্যাল ফিজিক্সও এই প্রোবাবিলিটির দ্বারস্হ হয় কিন্তু সেটা সে তখনই করে যখন তার কাছে পর্যাপ্ত উপাত্ত না থাকে। সে হিসেবে কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স সর্বৈবভাবে আলাদা: যদি একটা বদ্ধ সিস্টেমের পূর্ন উপাত্তও বিদ্যমান থাকে তবুও কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স দ্বারা আপনি এর ফলাফল কি হতে পারে সেটার প্রোবাবিলিটির কথা বলতে পারবেন।
এই প্রোবাবিলিটিকে সিস্টেমের তরঙ্গতত্বের মাধ্যমে ব্যাখ্যা দেয়া হয়।
আরো আলোচনায় যাবার পূর্বে তেজস্ক্রিয় পদার্থের অর্ধায়ু নিয়ে একটু কথা বলি। তেজস্ক্রিয় পদার্থের নিউক্লিগুলা সর্বদা তেজস্ক্রিয়তা বিকিরন করতে থাকে এবং ক্ষয় হয় অপেক্ষাকৃত ছোট আকৃতির অনুতে পরিনত হয়। সাথে তেজস্ক্রিয় বিকিরন হিসেবে বেশ কিছু কনিকা এবং শক্তি নির্গমন করে। ধরা যাক একটা তেজস্ক্রিয় পদার্থের অর্ধায়ু ১ ঘন্টা তাহলে এর মানে দাড়ায় যে উক্ত নিউক্লিয়াসের ৫০ ভাগ সম্ভাবনা থাকে ১ ঘন্টার মধ্যে ক্ষয় হবার, ৭৫ ভাগ সম্ভাবনা থাকে দু ঘন্টার মধ্যে ক্ষয় হবার ইত্যাদি।
কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স কখনোই বলবে না যে ঐ অনু ক্ষয় হয়ে নিঃশেষিত হয়ে যাবে বা হবে না, সে শুধু বলবে সময়ের সাপেক্ষে এর ক্ষয় হবার কথা কতটুকু। শুনতে অদ্ভূত মনে হলেও এটাই বাস্তবতা এবং এই কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স দিয়েই তেজস্ক্রিয় বস্তুর এরকম ক্ষয় নির্ধারন করা হয়ে থাকে।
সমস্যার শুরু এখান থেকেই। ধাধা মনে হলেও এই প্রোবাবিলিটিই আপনাকে একটা ধারনা দিতে পারে ঘটনা কোন দিকে যাচ্ছে। আরও একটা উদাহরন দেয়া যেতে পারে মজিফের ইংলিশ পরীক্ষার পাশ করার সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ।
কিন্তু দেখা গেলো পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর সে খুব ভালো গ্রেড পেলো তখন তার পাশ পরার সম্ভাবনার কথাটা অর্থহীন এমনকি সে যদি ফেলও করে বসে তাহলেও সেটা অর্থহীন। কারন যখন আপনি ফলাফলটা হাতের কাছে পাবেন তখন মফিজের ইংলিশে পাশ করবার সম্ভাবনা হবে একটি সেটা হলো হয় সে ১০০ ভাগ সম্ভাবনা নিয়ে পাশ করেছে অথবা ০ ভাগ সম্ভাবনা নিয়ে ডাব্বা মেরেছে। ০ থেকে ১০০ এর মাঝে কোথাও থাকবে না!
০ থেকে সোজা ১০০ তে গিয়ে ঠেকবে এটা কিন্তু আমাদের জন্য আশানুরূপ নয়। যদি ফলাফল দেখেই আমাদের শিওর হতে হয় যে ফলাফল ০ অথবা ১০০ হবে তাহলে এমন তত্বের কি কোনো দরকার আছে? কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সের জন্য এ এক কঠিন সমস্যা। শ্রোয়েডিঙ্গারের ইকোয়েশন দিয়ে আমরা সাধারনত এই সম্ভাবনার হার বা প্রোবাবিলিটি নির্নয় করি যার মান সাধারনত ০ থেকে বেশী এবং ১০০ থেকে কম।
শ্রোয়েডিঙ্গারের সেই কাল্পনিক বিড়ালের কাহিনীটা যদি লক্ষ্য করি তাহলে দেখা যাবে যে ঐ তেজস্ক্রিয় নিউক্লির ক্ষয় হবার সম্ভাবনা ১০০ থেকে কমে ৫০ শতাংশে ঠেকবে যখন তার অর্ধায়ুর প্রথম একক সময় অতিক্রান্ত হবে (মানে প্রথম এক ঘন্টা), দ্বিতীয় একক সময়ে (মানে দ্বিতীয় ঘন্টায়) এর সম্ভাবনা পৌছে যাবে ২৫ শতাংশে এবং এভাবে চলতেই থাকবে প্রগমনিক হারে। (যদি সত্যিকার ভাবেই বলা সম্ভব হতো যে তেজস্ক্রিয় নিউক্লি টা ক্ষয় হবে তাহলে ঐ বিড়ালের বেচে থাকাটা ০ তে গিয়ে ঠেকতো। )
তাহলে আমাদের মনে বিড়ালের কোন ছবিটা ভেসে আসছে?
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স কোনো একটা ঘটনার পর্যবেক্ষন আর তার ফলাফল কি হতে পারে সেটার একটা সম্ভাব্য ছবি আমাদের সামনে হাজির করতে পারে (কথাটা কেউ যদি উল্টোভাবে বলে সেটাও সত্য)! যদি কোনো পর্যবেক্ষকের দৃষ্টিতে সময়ের কোনো একটা পয়েন্টে ঐ তেজস্ক্রিয় নিউক্লির ক্ষয় ধরা পরে (গীগার কাউন্টার দিয়ে মেপে) তাহলে তার উত্তর সে হা অথবা না তে পাবে মানে প্রোবাবিলিটি হয় ০ অথবা ১০০ হবে, কারন পর্যবেক্ষক তখন জেনে গেছে ঘটনা কি ঘটতে যাচ্ছে। এটা বোঝার জন্য মনে হয় রকেট সায়েন্টিস্ট হবার দরকার নাই।
তাহলে বোঝা যাচ্ছে পুরো ঘটনার ফলাফলের সম্ভাব্যতা যেটা কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সের তরঙ্গতত্ব দিয়ে নির্নয় করা হয় সেটা আসলে আর কিছুই না, মানব মস্তিষ্কের জানার পরিধি কতটুকু সেটার উপর নির্ভর করছে।
তার মানে তরঙ্গ তত্ব হতে পারে একটা পোশাকী নাম যার আসল নাম হওয়া উচিত ছিলো জ্ঞান তরঙ্গ তত্ব। এখন যদি ঐ পর্যবেক্ষক তার নিজের জ্ঞানকে এই তরঙ্গতত্বের মাধ্যমে প্রকাশ করতে চান, তাহলে সে নিজের ইচ্ছা মতোই সেটা পরিবর্তন করতে পারবেন কারন সে ততক্ষনে জেনে গেছেন এর ফলাফল কি হবে (ঠিক এই পরিস্হিতিতে তরঙ্গতত্ব পুরোপুরি অকেজো হয়ে যায়)। আর সেজন্যই শ্রোয়েডিঙ্গার সাহেব তার ইকোয়েশনে উল্লেখ করেছেন যে কোনো একটা বাহ্যিক সিস্টেমে এরকম ভাবে ফলাফল ওঠানামা করতে পারে না, কারন সিস্টেমটা বদ্ধ। যদি সেটা করতেই হয় তাহলে ঐ সিস্টেমে কোনো কিছুর সংশ্লিষ্টতা থাকা দরকার যেটা ঘটনার ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে।
এখন আপনি যদি একটু বুদ্ধি করে প্রশ্ন করেন এই যে বদ্ধ সিস্টেমে যে গীগার কাউন্টার দিয়ে তেজস্ক্রিয়তার পরিমাপ করা হয় তার সাথে পর্যবেক্ষকের জ্ঞান আর মনের ব্যাপারটাকে কোনোভাবে কি সংশ্লিষ্ট বা প্রভাবিত করা যায়? কিন্তু তখন একটা বড় সমস্যা দেখা দিবে।
যদি পর্যবেক্ষককে একটা বাহ্যিক বস্তুর সাথে তুলনা করি যার হাতে গীগার কাউন্টারটি থাকবে, তাহলে একজনকে তরঙ্গতত্ব দিয়ে এমন একটি ইকোয়েশন লিখতে হবে যেখানে ঐ পর্যবেক্ষকের মন এবং মস্তিষ্ক দুটোকেই উল্লেখ করতে হবে। পরে যখন এটি শ্রোয়েডিঙ্গারের ইকোয়েশন হিসেবে দাড় করানো হবে তখন এটির বিশালত্ব এতোঢ়বে যে এখানে প্রোবাবিলিটি লাফও দেবে না, নীচেও নামবে না। তাই আবারও বলছি বাহ্যিক সংশ্লিষ্টতার মাধ্যমে পুরো ইকোয়েশনের তেরোটা বাজবে এবং তখন এই প্রোবাবিলিটির প্রগমনিক ক্রমান্বয় আর থাকবে না।
তাহলে কেউ যদি প্রশ্ন করে এই পর্যবেক্ষক যদি কোনো মেশিন যেমন কম্পিউটার হয় তাহলে কি হবে, তখন এর উত্তর হলো কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সের মূল ধারনাই হলো পর্যবেক্ষককে অবশ্য আহরিত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং কি হচ্ছে সেটার সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানও রাখে। আর এই কাজটির জন্য একটি মানব মস্তিষ্কের অবশ্যই প্রয়োজন।
এখন যদি গোয়ার্তুমি করে এই সিদ্ধান্তকে অস্বীকার করা শুরু করি এবং এটা প্রমানের চেষ্টা করি যে মানব মস্তিষ্কের সবকিছুই পদার্থবিজ্ঞানের ইকোয়েশন দিয়ে বর্ননা সম্ভব তখন কি হবে?
তাহলে দেখা যাবে প্রত্যেকটা প্রোবাবিলিটির জন্য আমাদের ভিন্ন ভিন্ন বাস্তবতার দরকার হয়ে পড়বে এবং কোনো একটা ঘটনার ফলাফলের প্রোবাবিলিটি ০ অথবা ১০০ থাকবে না। সেটা ০ থেকে ১০০ এর মধ্যে ঝুলে যাবে। তখন দেখা যাবে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে এবং এর প্রত্যেকটা ফলাফলের জন্য ভিন্ন ভিন্ন বাস্তবতার দরকার। এই ব্যাপারটা সমাধানের জন্য কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সে বহুবিশ্বের ধারনা প্রচলিত যেটার আরেক নাম মাল্টিভার্স।
এই ধারনা অনুসারে প্রত্যোকটা ঘটনার সম্ভাব্য ফলাফলগুলোর জন্য ভিন্ন ভিন্ন বাস্তবতা অস্তিত্ব লাভ করে।
সহজ ভাষায় বলি ধরা যাক আমি এই ব্লগটা লিখলাম। আপনার এই ব্লগটা পড়বার সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ, তবে আপনি যে পড়বেনই সেটাও যেমন বলা যাচ্ছে না অথবা আপনি আমার ব্লগ পড়বেন না সেটাও বলা যাচ্ছে না। যতক্ষন না সামহোয়ারইন ব্লগে আমার পোস্টটি আছে আপনার এই ব্লগটি পড়বার সম্ভাবনা ৭০ শতাংশই থাকবে।
তার মানে এখান থেকে আমরা দুটো বাস্তবতা পেলাম। সেটা হলো ৭০ শতাংশের জন্য একটা বাস্তবতা আর ৩০ শতাংশের জন্য আরেকটি বাস্তবতা।
যদি আপনি ব হুবিশ্বের কনসেপ্ট টে যান তাহলে দেখা যাবে আপনার মতো অসীম সংখ্যক আপনি অসীম সংখ্যক আলাদা আলাদা মহাবিশ্বে ছড়িয়ে আছেন। এর কোনোটায় আপনি আপনি আমার ব্লগ পড়ছেন, কোনাটায় পড়ছেন না, কোনোটায় ঘুমিয়ে আছেন কালকে পড়বেন হয়তোবা, কোনোটাতে আপনি জন্মই নেননি এখনো। তার প্রতিটা সম্ভাবনার জন্য নতুন একেকটা আপনাকে দরকার। ঠিক একইভাবে কোনো একটা মহাবিশ্বে আপনি নিউক্লিয়াসটির ক্ষয় দেখতে পেলেন আবার কোনো একটি মহাবিশ্বে এর ক্ষয় হলো না মোটেও। কিন্তু পুরো ব্যাপারটা কি আপনার কাছে পাগলাটে আর অবিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না?
মোদ্দা কথা, গাণিতিকভাবে কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স যদি ঠিক থাকে (যেটা বেশীরভাগ পদার্থবিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন) এবং যদি বস্তুবাদী ধারনাও ঠিক থাকে, তাহলে একজনকে বিশ্বাস করতে হবে যে তার মতো অসীম সংখ্যক লোক অসীম সংখ্যক মহাবিশ্ব বা প্যারালাল ইউনিভার্সে বিদ্যমান, যেটা আসলে গেলাটা একটু কষ্টকর।
আপনি কি এটা গিলতে পারছেন?
যদি আমরা গতানুগতিক বাস্তবতার মিশেলে কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সকে বুঝতে চেষ্টা করি যে সবকিছুই পদার্থের গতিশীলতা আর তার ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার উপর চলে না, চলে মানব মস্তিষ্কের ভাবনার আদলে যেখানে পদার্থের সাথে তার সূত্রগুলোর একটা যোগসূত্র স্হাপিত হয় অনুধাবনের জন্য। তাহলে একটা প্রশ্ন বেশ গুরু গম্ভীর ভাবেই উচ্চারিত হয় যে এই মানবমস্তিষ্কের মধ্যেই যদি এই মহাবিশ্বের সকল কিছু পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রে গ্রোথিত হয় তাহলে এসব কিছুর পিছনে কি অন্তিম কোনো মস্তিষ্কের দরকার কি নেই?
সবাইকে ঈদ মোবারক! তো ভাই কে কয়টা রোজা করলেন? আমি ২৯ টা করছি ৩০ টার মধ্যে! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।