আত্মহত্যার চেষ্টার পর শারীরিকভাবে সেরে উঠলেও, এখনো মানসিকভাবে পুরোপুরি ধাতস্থ হতে পারেনি জ্যাকসন-কন্যা প্যারিস। এ মুহূর্তে এইসিএলএ মেডিকেল সেন্টারে তার মানসিক চিকিত্সা চলছে। প্যারিস মনে করে, তার বাবার মৃত্যুর পর যে পরিমাণ শোক তার প্রকাশ করা উচিত ছিল, তা এখন পর্যন্ত সে করতে পারেনি। আর এ বিষয়টিই তাকে প্রচণ্ড মানসিক যন্ত্রণা দিচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের ‘ফিমেলফার্স্ট’ পত্রিকা ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, ২০০৯ সালে মাত্রাতিরিক্ত প্রপোফল সেবন করায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন ‘পপ কিং’ মাইকেল জ্যাকসন।
বাবার মৃত্যুতে যথাযথভাবে শোক প্রকাশ করা হয়নি—এমন উপলব্ধি প্যারিসকে কুরে কুরে খাচ্ছে। আসলে বাবার মৃত্যুকে মেনে নিতে পারেনি বলেই সে এমনটা ভাবছে।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, মাইকেল জ্যাকসনকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় স্কুলের এক সহপাঠীকে ঘুষি মেরেছিল প্যারিস। এ ঘটনায় ১৫ বছর বয়সী প্যারিসকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ারও প্রক্রিয়া শুরু করেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, আত্মহত্যার চেষ্টা করার কয়েক দিন আগে থেকেই মা ডেবি রোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছিল প্যারিসের।
যুক্তরাষ্ট্রের এইসিএলএ মেডিকেল সেন্টার থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ছয় থেকে আট সপ্তাহ সে থাকবে মায়ের কাছে।
কবজির রগ কেটে ও ঘুমের বড়ি খেয়ে ৫ জুন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল প্যারিস। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক মিশেল বেকলফ প্যারিসের পরিবারের সদস্যদের পরিবর্তে তার দেখভালের দায়িত্ব পালন করতে বলেছেন চিলড্রেন প্রোটেকশন সার্ভিসেস (সিপিএস) কর্তৃপক্ষকে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্যারিসের স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ তাকে ভালো রাখার জন্য যা কিছু করা দরকার, তার সবই করবে সিপিএস। প্যারিসকে তার মা ৫৪ বছর বয়সী ডেবি রোর জিম্মায় দেওয়া হবে, নাকি কেয়ার হোমে পাঠানো হবে, শিগগিরই সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেবে সিপিএস কর্তৃপক্ষ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।