কুড়িয়ে পাওয়া ডলার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার পর সম্মাননা দেওয়া হয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মনির আহম্মদকে।
সততার অন্যরকম এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ওই গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মনির আহম্মদ (৫০)। সাত লাখ টাকা মূল্যমানের ১০ হাজার ডলার রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়ে পুলিশের কাছে জমা দিতে সামান্যতম দ্বিধাও করেননি তিনি। আর পুলিশ প্রশাসনও সততার স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে দিয়েছে সম্মাননা। মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কাশেম নিজেই তাঁর হাতে সনদপত্র তুলে দেন।
এ প্রসঙ্গে সিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কাশেম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এখনো সৎ লোক আছে। মনির আহম্মদ চাইলে এসব ডলার নিয়ে যেতে পারতেন। হয়তো কেউ তা জানতই না। কিন্তু তিনি সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেলেন। তাঁকে তো আমরা বড় কিছু দিতে পারব না।
তার পরও যাতে অন্যরা এ ব্যাপারে উৎসাহিত হয় সে জন্য তাঁকে ক্ষুদ্র পরিসরে সম্মাননা জানিয়েছি। '
জানা গেছে, সাতকানিয়া ইছামতী গ্রামের মৃত এমদাদুর রহমানের ছেলে মনির আহম্মদ ব্যক্তিগত কাজে মঙ্গলবার দুপুরে আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় আসেন। এনসিসি ব্যাংকে লেনদেন শেষে গোসাইলডাঙ্গা এলাকার বাসায় ফেরার সময় ফুটপাতের ওপর ১০ হাজার মার্কিন ডলার কুড়িয়ে পান। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি স্থানীয় টহল পুলিশকে তা অবহিত করেন। ধারণা করা হচ্ছে, আগ্রাবাদের ব্যাংকপাড়ায় ডলার লেনদেনকারীদের কারো কাছ থেকে এসব ডলার পড়ে গিয়েছিল।
ঘটনাটি সিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কাশেম জানার পর তিনি মনিরকে লালদীঘি পাড়ে অবস্থিত সিএমপি সদর দপ্তরে ডেকে পাঠান। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তাঁকে সম্মাননা জানানো হয়। সিএমপি কমিশনার স্বাক্ষরিত সনদপত্রও দেওয়া হয় তাঁকে। উদ্ধারকৃত ১০ হাজার ডলার বর্তমানে ডবলমুরিং থানা কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। প্রকৃত মালিক উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে থানা থেকে ডলারগুলো নিয়ে যেতে পারবেন বলে সিএমপি কমিশনার জানান।
(কালের কণ্ঠ)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।