আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অভিনব এক প্রতারণা প্রত্যক্ষদর্শী হলাম আজ!

নিজের ভাবনা অন্যকে জানাতে ভালো লাগে। সেহেরি খাবারপর ঘুম আসছিল না দেখে সকাল ৫টা দিকে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলাম, তখনও রাজপথ অনেকটা নীরব। তবে মাঝে মাঝে কিছু নারী-পুরুষ দেখা যাচ্ছে, বুঝাযায় এরা গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মস্থল দূরে বিধায় আগেভাগেই ঘর থেকে বেরিয়ে গেছে। কিছুক্ষণ পর দেখলাম একটা চল্লিশ উধ্বলোক হাতে তাসনিয়ে জোড় কদমে হাটছে, পিচন পিচন ২৫/২৬বছরের একটা ছেলে অনেকটা কান্নার স্বরে বলছে, না তোমাকে খেলা শেষ করতেই হবে। এভাবে লাভ নিয়ে তুমি চলে যেতে পার না।

একসময় কোন ফঁাক দিয়ে বেরিয়ে এলো পাড়ার মাস্তান সুমনও। সুমন হুঙ্কার দিয়ে বললে, তুমি এভাবে লাভ নিয়ে যেতে পারো না, খেলতেই হবে। তাদের তিন জনের কথা কাটাকাটিতে আমিসহ আরো দুইজন কৌতুহলি যুবক দাঁড়ালো, লোকটা কাঁপা কাঁপা গলায় বললে, ঠিক আছে খেলবো। কথাটা বলেই রাস্তার উপর একটা পত্রিকা পেতে শুরু হলো খেলা, ২৫/২৬ বছরের ছেলেটা প্রথম হরতনে মারলো ২০০টাকা সে পেল ৪০০টাকা। আবার ইস্কাতে মারলো ৪০০টাকা পেল ৮০০টাকা আবার হরতনে মারলো ৮০০টাকায় পেল ১৬০০টাকা।

কৌতুহল বসতো এতক্ষণ দাড়িয়েঁ থাকা সেই দুই তরুণ আর লোভ সামলাতে পারলো না। এবার দুইজনেই খেলতে শুরু করলো। এভাবে ১০/১৫মিনিট চলার পর দেখলাম ওই কার্টওয়াল লোকটা২৫/২৬বছরের তরুণ আর পাড়ার মাস্তান সুমন তিনজনে বোগল দাবা করে হাসতে হাসতে চলে যাচ্ছে। সেই কৌতুহলি দুই মানুষ রাস্তায় দাড়িয়েঁ কঁাধছে। একজনের সাথে কথা বলে জানলাম, বাড়ি যাচ্ছি ঈদের ছুটিতে ৪০০০টাকা আর মোবাইল সেটা চলে গেছে।

দ্বিতীয় জনের সাথে আর কথা বললাম না। একটু সামনে গিয়ে সুমনের সাথে দেকা হতেই বললাম, এটা কী হলো বাবা?সুমন বললে, আর বলিয়েন মামা! ছুরিধরে টাকা নেওয়াটা মেহনতের কাজ, তাই সহজ রাস্তা ধরলাম। আমি স্বকরুণ ভাবে বললাম এমন বিপদেতো আমিও পড়তে পারতাম। সে বললে, স্রেফ নিজের লোভটাকে সামলে রাখবেন। দেখুন প্রত্যেক কার্টে আমাদের চিহ্ন দেওয়া আছে।

আর আর্ধ ঘন্টায় কামায় করলাম নয় হাজার টাকা আর দুইটা মোবাই সেট! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।