যখন একা বসে ভাবি তখন সেই ভাবনাগুলোই গান হয়ে যায়। তারপর গীটারটা হাতে নেই সেই ভাবনাকে সুরের মূর্ছনায় ছড়িয়ে দিতে। এভাবেই চলছে গান, ভাবনা আর বেচে থাকা।
১.
আর্জেন্টিনা ৩ - জার্মানী ১, আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করেন (মেসি, ডি মারিয়া, স্যামি খেদিরা - আত্নঘাতী), জার্মানীর হয়ে একমাত্র গোল করেন (বেনেডিক্ট হওডেস)।
খেলার সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজড়িত ঘটনাটি ছিল লিও মেসির পেনাল্টি মিস।
তবে ২য় হাফ পুরোটাই এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড নিজের করে নেন। নিজে একটি গোল করেন এবং অন্য একটি গোলের পেছনের কারিগড়ও ছিলেন তিনি। একের পর এক দারুন সব বল যোগান দিতে থাকেন সতীর্থদের। গঞ্জালো হিগুয়েন সেগুলোকে গোলে পরিনত করতে ব্যর্থ হন প্রতিবারই। অন্যদিকে গোলকীপারের লাল কার্ডের বলী হয়ে খেলার শুরুতেই মাঠে ছাড়েন জার্মান আক্রমনভাগের অন্যতম নির্ভরতা থমাস মুলার।
তার কিছুক্ষন পড়েই আত্নঘাতী গোল খেয়ে যায় জার্মানীরা। ১০ জনের জার্মানী এরপর বল দখলের লড়াইয়ে আস্তে আস্তে পেছনে পড়তে থাকে। তার ছন্দে ভাংগন ধরে। সুযোগটা পুরোপুরিই নেয় লিও মেসির আর্জেন্টিনা। চোখের পলকে তারা ব্যবধানটা ৩-০ করে নেয়।
তবে শেষ ২০ মিনিটের চিত্রটা ভিন্ন। সেখানে ১০ জনের জার্মানী তার ভয়ালরুপটা নিয়ে চড়াও হয়। কাউন্টার অ্যাটাকের তরবারী বারবার চালাতে থাকে আর্জেন্টাইন ডিফেন্সের উপর এবং ছিনিয়ে আনে একটি দূর্দান্ত গোল।
এ বিজয় আর্জেন্টিনার আত্নবিশ্বাসকে অনেক বাড়িয়ে দেবে। অন্যদিকে জার্মানদেরও হতাশ হবার কিছুই নেই।
মূল একাদশের বড় ৪ জন খেলোয়াড় ছাড়াও ১০ জনের দল নিয়ে এমন সাহসী ফুটবল আর কেউ খেলতে পারে কিনা সেটা এখনো প্রশ্নই হয়ে থাকল।
২.
ব্রাজিল ৩ - সুইডেন ০, ব্রাজিলের হয়ে গোল করেন (দামিও, পাতো, পাতো)
সুইডেনের একমাত্র অস্ত্র জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ কাল দলে ছিলেন না। তাই ব্রাজিলের জন্য কাজটা ছিল একেবারেই সহজ। সেই সহজ কাজটাকে বাস্তবে রুপ দিলেন পাতো আর দামিও। দামিওর গোলে ব্রাজিল প্রথমে লীড নেয়।
শেষের দিকে দামিওর বদলি হিসেবে নেমে জোড়া গোল করে এসি মিলান স্ট্রাইকার পাতো ব্রাজিলকে দেয় সাম্বার ছন্দে ফেরানোর প্রতিশ্রুতি। অন্যদিকে অপেক্ষাকৃ্ত দুর্বল দল সুইডেন তেমন কোন প্রতিরোধ গড়তে কিংবা আক্রমন করতে সক্ষম হয় নি। এই জয়ে ব্রাজিলের আত্নবিশ্বাস বেড়েছে অবশ্যই তবে শক্তির পরীক্ষার যাচাইটা হয় নি এখনো। জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ না থাকার কারণে ব্রাজিলের ডিফেন্সকে পরীক্ষা নেয়ার মত কেউই ছিল না সুইডেনে।
৩.
ইংল্যান্ড ২ - ইতালি ১, ইংল্যান্ডের হয়ে গোল করেন (ফিল জাগিলকা, ডিফো), ইতালীর হয়ে গোল করেন (ড্যানিয়েল ডি রসসি)
একটি হতাশাময় ইউরো পার করার পর ইংল্যান্ডও ঘুরে দাড়ালো।
ইউরো রানার্স আপ ইতালিকে তারা দারুন এক হারের স্বাদ দিল।
৪.
স্পেন ২ - পোর্তো রিকো ১, স্পেনের হয়ে গোল করেন (সেস ফ্যাব্রিগাস,সানতি কাজোর্লার)
বড় দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিস্প্রান পারফরমেন্স ছিল বর্তমান বিশ্বকাপ এবং ইউরোপীয়ান কাপ চ্যাম্পিয়নদের। সেস ফ্যাব্রিগাস আর সানতি কাজোর্লার গোলে কোনমতেই যেন মান সম্মানটা রক্ষা করে তারা।
৫. ফ্রান্স ০ - উরুগুয়ে ০
৬. পর্তুগাল ২ - পানামা ০ (পর্তুগালের হয়ে গোল করে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং মিগুয়েল)
রিপোর্টঃ জন রাসেল ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।