গডউইনের পলিটিকাল জাষ্টিস বইটি শেলীর মনকে গভীর ভাবে নাড়া দিয়েছিলো। গডউইনের সাথে প্রথমে চিঠি পত্রের মাধ্যমে যোগাযোগ ছিলো। তারপর দুজনের পরিচয় হলো। গডউইনের সাথে ছিলো তার প্রথম পক্ষের ১৭ বছরের কন্যা মেরি। শেলীর সাথে গড়ে উঠলো তার গোপন প্রণয় এবং ক্রমেই হ্যারিয়েটর এর কাছ থেকে দূরে সরে জেতে লাগলেন শেলী।
পুত্র সন্তান জন্মের দু বছর পর আত্নহত্যা করেন হ্যারিয়েট। শেলীর জীবনে তখন তার কোন ভূমিকা ছিলো না।
১৮১৫ সালে লিকলেন 'এ্যলাস্টার' । অমিত্রাক্ষ ছন্দে লেখা এক কাব্য এবং সেটি ছিলে একটি আত্নজীবনী মূলক রচনা। Alastor or the spirit of solitude প্রকাশের দু মাস পর শেলী জেনেভায় গেলেন।
সাথে মেরি ও কবি বায়রনের প্রেমিকা জেনি। তারা জেনেভায পৌছবার অল্প দিনের মধ্যে বায়রন এলেন সেখানে। দেখা হলো দুই কবির। আগষ্ট মাসে শেলি ফিরে এলেন ইংল্যন্ডে, এসে পরিচয় হলো কবি লে হান্টের সাথে। হান্ট ছিলেন তৎকালীন কবিদের উৎসাহদাতা।
শেলি মে রি কে বিয়ে করলেন। এর পর হাত দিলেন Prome-theus Unbound এর কাজে।
এর মধ্যে নাটক এবং গীতিকবিতার এক আশ্চর্য সংমিশ্রন ঘটিয়েছেন।
১৮১৮ সালে শেলি রওনা হলেন ইটালি পথে। সাথে মেরি, জেনি ও তাদের ছেলে মেয়ে।
এই সময়ে রচিত হয় তার জীবনের সমস্ত শ্রেষ্ঠ কবিতা। শেলীর জীবনের শেষ চারটি বছর অতিবাহিত হয় ইটালিতে। ইটারিতে এসে শেলি কোন স্থায়ী বাসা বাঁধেননি। তার ইচ্ছা হলো তিনি সমগ্র ইটালি পরিভ্রমণ করবেন। বর্তমানে জগত থেকে ফিরে যাবেন অতীতের জগতে।
এখানেই পরিচয় হলো এক অধ্যাপকের সাথে। তিনিও যোগ দিলেন তাদের মজলিসে।
(চলবে........) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।