আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পরীক্ষা নয়, ক্লাসে উপস্থিতির ভিত্তিতে এসএসসি আর এইচএসসির গ্রেড নির্ধারণ করা উচিৎ !!

:::...ইউনিকর্নের প্রতিদিনের ডায়রি...::: যারা মেডিক্যালের অ্যাডমিশন টেস্টের বিপক্ষে তাদের কথা হল, ১ ঘণ্টার অ্যাডমিশন পরীক্ষা দিয়ে একজন ছাত্রকে মূল্যায়ন করা ঠিক না । এতে নাকি তার সঠিক মূল্যায়ন হয় না । ঠিক করে বলতে গেলে, মেধার অবমূল্যায়ন করা হয় । কিন্তু এসএসসিতে (১১×৩=৩৩ ঘণ্টা) আর এইচএসসিতে (১২×৩=৩৬ ঘণ্টা), সর্বমোট ৬৯ ঘণ্টা দিয়ে যে ছাত্রকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে, সেটাকে ভিত্তি ধরা উচিৎ । সুতরাং অ্যাডমিশন টেস্ট আসলে কোন সিলেকশন প্রক্রিয়া না, এটা সিমপ্লি একটা রিজেকশন প্রসেস ।

উপরোক্ত কথাগুলোকে ভিত্তি ধরে এবার আমার মতামত (কিছুটা হাস্যকর হতে পারে, কিন্তু তা বাস্তবতা বিবেচনায় ধ্রুব সত্য । ) আমার মতামতঃ কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করাটাই যদি মূল উদ্দেশ্য হয় তবে ভেবে পাচ্ছিনা অ্যাডমিশন টেস্ট কেন বন্ধ করা হবে? অ্যাডমিশন কোচিং কি আর বন্ধ থাকবে ?? তারা তো তখন নতুন ভাবে, কিংবা নতুন নামে একাডেমিক কোচিং শুরু করবে গোল্ডেন A+ এর ফুলঝুরি ফোটানোর জন্য, ফলশ্রুতিতে ৪ মাসের অ্যাডমিশন বিজনেস হয়ে যাবে ১২ বছরের একাডেমিক বিজনেস । তার মানে এক্কেবারেই লারে-লাপ্পা, আর সরকারি নীতিনির্ধারকদের পকেটে ঢুকবে কাড়িকাড়ি টাকা । ভাবতেই অবাক লাগছে, কি বিচিত্র আমাদের এই দেশ । সাধারন মানুষের চাওয়া পাওয়া এক নিমিষে উপেক্ষা করে চার মিনিটও লাগে না, চার দশকের নিয়ম ভাঙতে ।

আর যদি মহামান্য নীতিনির্ধারকরা এইটাই যদি ধ্রুব সত্য মনে করে, যে তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাই সঠিক, তাহলে আমার কিছু সাজেশন আছে, যা তারা নিশ্চিতে পরবর্তীতে এপ্লাই করতে পারে । পিএসসি, জেএসসি সহ এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়া উচিতঃ কারনঃ এতে করে শিক্ষকদের ব্যাচ পড়ান বন্ধ হবে, মডেল টেস্টের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনৈতিক টাকা নেয়া বন্ধ হবে । আর সর্বপরি জনগনের কয়েকশ কোটি টাকা সেইভ হবে অযাচিত পরীক্ষা নেয়ার নামে। আর কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা কক্সবাজার কিংবা কুয়াকাটায় ঘোরাঘুরি করার আরও সময় পাবে । সামাজিক কার্যক্রমে আরও বেশি সময় দিতে পারবে ।

আর প্রতিদিন স্কুলে ৫ ঘণ্টা সময় কাটালে শুক্রবার আর অন্যান্য ছুটির দিন বাদে একবছরে হবে প্রায় (২০০×৫ = ১০০০ ঘণ্টা) আর ১২ বছরে তা হবে ১২০০০ ঘণ্টা । এই সময়ের তুলনায় পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি কিংবা এইচএসসি এর পরীক্ষার হলে কাটানো সময় নিতান্তই নগণ্য। আর অবশ্যই প্রশ্ন থেকে যায়, এই সামান্য চারটা পরীক্ষা ১২০০০ ঘণ্টার মেধার সঠিক মূল্যায়ন করতে পারে কিনা ?? (ব্লগার ভাই/আপুরা, আপনাদের কাছেও একই প্রশ্ন রেখে গেলাম । ) তাহলে তাদের মূল্যায়ন পদ্ধতি কি থাকবে না?? অবশ্যই থাকবে, তবে তা হবে বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতি । বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতিঃ পরীক্ষার বদলে প্রত্যেক ক্লাসে নাম ডাকা (Roll Call) হবে ।

যার ক্লাসে উপস্থিতি ৮০% এর উপরে সে ওই সাবজেক্টে A+, এই ভাবে বাকি গুলো মূল্যায়িত হবে । ফলে তারা ক্লাসে আরও বেশি উপস্থিত হবে, আর বেশি বেশি শিখতে পারবে । আরও অনেক কিছু লেখার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু মেজাজ ঠিক নাই বলে ভালো লাগছে না । (তাহলে আমি ঢাকা মেডিক্যাল থেকে পাশ করা ডাক্তার হয়ে যেতাম এতদিনে । ) শুধু আমার বিকল্প পদ্ধতি সম্বন্ধে বলব, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নয়, শুধুমাত্র ক্লাসে উপস্থিত হওয়াটাই (বাংলাদেশের) শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য ।

(দীর্ঘশ্বাস !!) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.