আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নির্মিত চলচিত্র – “ তোর নাকি পাইলস ? “

তুমি আমি আমরা ...... শ্রেষ্ঠাংশে – উসাইন বোল্ট – প্রধান লায়ক লালি , কুতকুতি , কামিনী – প্রধান লায়িকা , এম এ জলিল অনন্ত – প্রধান গুটিবাজ পটভূমি - গাও গেরামের প্রেম পিরিতি কাহিনী সংক্ষেপ - লালি ও কুতকুতি দুইজন ছোটবেলার সাথী । তাদের বন্ধুতের কথা সারা গ্রামশুদ্ধ প্রসিদ্ধ । পাশাপাশি দুই জনের বাড়ি , সারাদিন তারা একসাথে থাকে । একজন আরেকজনকে মুখে তুলে খাওয়াইয়া দেয় , গোসল করাইয়া দেয় , চুলে বিলি করে দেয় , হাতে বুকে বেথা হলে টিপে দেয় , দুলে দুলে একসাথে গান গায় । মোটকথা একজন আরেকজনের প্রান জুস ! একদিন তারা পাশের গ্রামে দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে যায় ।

দৌড় দিবে অত্র অঞ্চলের সেরা দৌড়বিদ আভুল । তাই স্বচক্ষে আভুলের দৌড় দেখতে হাজির হয় মাঠে । মাঠে উপস্থিত হয়ে দেখে আভুল দৌড় দিবে এক ফর্সা ধবধবে পোলার সাথে । বেঁটে ওই পোলার নাম উসাইন বোল্ট । মাঠের ধর্ষকরা আভুলের পতিপক্ষ দেখে হা হা লু খু ফে ( হাসতে হাসতে লুঙ্গী খুলে ফেলে ) , দৌড়বিদ আভুলের সাথে বাছুর দৌড়াইয়া কোনদিন পারে নাই আর এ কোন বাঁটুল উসাইন বোল্ট ! যাই হোক দৌড় শুরু হয় এবং সবাইকে ভেল্কী দেখিয়ে আভুলকে একদম পিছনে ফেলে উসাইন বোল্ট ৯.৫৮ সেকেন্ডে ফাস্ট হয় ! ধর্ষকরা পুড়া ত্থ ! আভুইল্লা হেরে গেল ! এইডা কিছু হইলো ! লাইন ক্রস করার পর উসাইন বোল্ট তীর দিয়ে একটা গেঁদা ফুল লালি আর কুতকুতির দিকে ছুড়ে দেয় ! গেঁদা তাদের দুজনার পায়ের কাছে এসে পড়ে ।

বিস্ময়ে হতাবাক দু জন উসাইন বোল্ট এর দিকে তাকালে সে দুই জনের দিকে চোখ টিপি মারে । আর ঠিক সেই মুহূর্তেই দুইজন একসাথে উসাইন বোল্টের প্রেমের গাঁতায় পড়ে যায় । দুই জনই উসাইন বোল্টকে তাদের স্ব স্ব মন দিয়ে দেয় । আর চিনেমায় কাইমেক্সের শুরু হয় তখন থেকেই । লালি ফুল নিতে নিতে বলে – সে আমাকে ফুল দিয়েছে , কুতকুতি ফুল ছিনিয়ে নিয়ে বলে – তোর মাথা ঠিক আছে ? সে তীর ছুড়েছে আমার দিকে চেয়ে , সে আমাকে গেঁদা ফুল দিয়েছে ।

“ ব্যাস আর কই যায় কে ! এতদিনের বন্ধুত্ব এক গেঁদা ফুলের কাছে শেষ । মাঠেই দুই জন চুলাচুলি শুরু করে গেঁদা ফুলের অধিকার নিয়ে ( বাস্তবের সাথে কেউ মিল পেলে আমার কি করার নেই ) মাঠের ধর্ষক নতুন খেলায় মজা পেয়ে আবার “ হা হা লু খু ফে “ অবস্থা যখন কাপড় ছিঁড়াছিরি পর্যায়ে তখন উসাইন বোল্ট হাজির হয় । সে সমাধান দিয়ে বলে – “ আমার মায়ের ইচ্ছা তার ছেলের বউ ডাকতর হবে তাই যে এইবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় পাস করবে , আমার নেক্সট গেঁদা ফুলের তীর শুধুই তার দিকে ছোড়া হবে “ । লালি কুতকুতির মাথা নষ্ট । কি করে কি করে ! উসাইন বোল্ট কে পাবার জন্য তাদের মেডিকেলে ভর্তি হতেই হবে ।

সারারাত লালি , কুতকুতি ঘুমাতে পারে না । ছটফট করে । ফেবুতে দুই জন একই স্ট্যাটাস দেয় - “ কিছুই ভাল লাগে না , শুধু তীর ছুড়তে মন চায় , হে তীরন্দাজ আমায় তীর ছুড়া শিখাও । “ শুধু তাই না একজনের স্ট্যাটাস যেন অন্য জন দেখতে না পারে তাই তারা একে অপরকে ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে ডিলিট করে ব্লক মেরে দেয় । আগে বান্ধবী ছিল তো কি হয়েছে এখন তারা শত্রু , মুখ দেখাদেখি বন্ধ ।

এই সুযোগে কিছু “ জুয়াখেলা পরিষদ “ তাদের পরিষদের নাম পরিবর্তন করে রাখে “ ওমুক তমুক মেডিকেল ভর্তি কোচিং “ একানে ১০০% গ্যারান্টি সহকারে ( প্রশ্নপত্র ফাঁস ) মেডিকেলে ভর্তি করানো হয় “ লালি আর কুতকুতি দুইজনে জুয়ার আসরে ভর্তি হয় । তারা মন প্রান ঢেলে কোচিং করে । লেকচার শিট মুখস্ত করে , কুইজে তা বমি করে , আর সেই বমি করানোর জন্য সেই জুয়ার আসর বেনামে কোচিং সেন্টার গুলো লালি আর কুতকুতির বাপের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় হাজার হাজার টাকা ! এইদিকে গ্রামের প্রসিদ্ধ গুটিবাজ এম এ জলিল অনন্ত গাঁয়ের বড় ভাইদের কাছে গুটি চালে যে কোচিং সেন্টারগুলান তারা যেই পরিমান টাকা কামায় এলাকার বড় ভাইদের কিন্তু সেই তুলনায় কমিশন দেয় না । অনেক কম দেয় । ভাগ বাঁটোয়ারায় ন্যায় ইনসাফ হচ্ছে না ।

ব্যাস ! বড় ভাইদের টনক নড়ে । এলাকার বড় ভাইরা হিংসা করে গ্রামের আইনে সংশোধন আনতে উঠে পড়ে লাগলো । তারা মানুষকে লাগলো এই তিন মাস পড়াশুনার নামে এই সব জুয়ার আসর রমরমা করতে দেয়া ঠিক নয় । তাই ভর্তি পরীক্ষাই উঠাইয়া দিতে হবে । মেডিকেলে ভর্তি হবে মাধ্যমিকের রেজাল্টের ভিত্তিতে ( কারন ওইখান থেকে কমিশন আদায়ে কোন মাইরের চান্স নাই ) এই কথা শুনে লালি আর কুতকুতির আবার মাথায় হাত ।

বলে কি ! তারা তো আগে ভাল মতো পড়ালেখা করেনি । কারণ তখন তো উসাইন বোল্ট তাদের মন কেড়ে নেয়নি ! তাই তাদের জিপিএ অনেক কম । অপরদিকে তাদের বাড়ির বুয়া মর্জিনার মেয়ে কামিনীর জিপিএ ভাল । সোনার এ + , তাইলে কি উসাইন বোল্ট কামিনীর দিকে প্রেমের তীর ছুড়ে দিবে ! এই সংকটে দুই বান্ধবী আবার হাত মিলিয়ে ফেলে । তারা অনেক গবেষণা একটা সমাধান বের করে “ তালা সমাধান “ ; তারা প্ল্যান করলো কামিনীকে একটা ঘরে তালা মেরে রাখতে হবে ।

যেই প্ল্যান সেই কাজ , তারা কামিনীকে তালা মেরে দেয় । কোন মতেই কামিনী আর উসাইন বোল্ট এর প্রেম হতে দেয়া যাবে না । যেদিন মেডিকেল রেজাল্ট সেদিন আবার স্ক্রিনে হাজির গুটিবাজ এম এ জলিল অনন্ত । সে খড়ের আগা দিয়ে নাক চুল্কাতে চুল্কাতে লালি আর কুতকুতিকে খবর দিল উসাইন বোল্টের নাকি পাইলস ! এই কথা শুনে রাগে দুক্ষে দুই বান্ধবী ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে দেয় । যার জন্য এতো কিছু সেই উসাইন বোল্ট এর পাইলস ! দুই বান্ধবী টানটান উত্তেজনায় একসাথে উসাইন বোল্ট এর ফেইসবুক ওয়ালে পোষ্ট দেয় – “ হে ধোঁকাবাজ ! তোর নাকি পাইলস ! এতদিনে বুঝলাম কেনু তোর ডাক্তার বউ লাগবে ! তোর নিজের পুটুর চিকিৎসা করানোর জন্যই তুমি ডাক্তার বউ খুজতেছিলি ! ছে ছে ! তোকে ডিসলাইক ।

“ কাহিনীর শেষ দিকে বারী সিদ্দিকির ইমোশুনাল গানের সাথে দেখা যাবে দুই বান্ধবী গলাগলি ধরে কাঁদছে , ওইদিকে তালা বদ্ধ ঘরে কামিনী চিতকুর পেরে কাঁদছে , লালি কুতকুতির পোষ্ট পেয়ে উসাইন বোল্ট পুড়া তব্দা খেয়ে যায় ! এরা বলে কি ! অপমান সইতে না পেরে সে দৌড়াতে দৌড়াতে কাঁদে । অপরদিকে জুয়ার আসর ভেঙ্গে যাওয়ায় জুয়াড়িরা তাস শাফল করতে করতে কাঁদে আর কল্কিতে টান দেয় , এলাকার বড় ভাইরা কমিশন না পেয়ে ঢেঁকুর তুলে কাঁদে ! চারিদিকে একটা বিশাল ট্র্যাজিক সিচুয়েশন এর ভিতরে গাঁয়ের সেরা গুটিবাজ এম এ জলিল অনন্ত বগল বাজিয়ে হাসে আর নাচে কারন তার প্ল্যান সার্থক । সে তুরি বাজিয়ে গান ধরে – “ তুতুতু তুতু তারা পুটুতে পুটুতে পাইলস ধরা ! “ ( বি দ্র - এইখানে চলচিত্রের গল্প তুলে দেয়া হয়েছে , সিকোয়েন্স ভাগ করে স্ক্রিপ্ট খুব তাড়াতাড়ি প্রকাশ করে শুটিং শুরু করা হইবেক ) আরও একটি রম্য ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.