বহু বছরের সৌর চক্রের ফলে সৃষ্ট শক্তি বিশাল এক সৌর ঝড়ের কারন হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করছে বিজ্ঞানিরা । ১৮৫৯ সালে একটা উল্লেখযোগ্য সৌরঝড় সংঘটিত হলেও, তখনকার একমাত্র প্রযুক্তি ছিল টেলিগ্রাফ। কিন্তু বর্তমান বহুমুখী প্রযুক্তির যুগে একটি সৌরঝড় সভ্যতার বিনাশে হুমকির কারন হয়ে দাড়াতে পারে।
সূর্য প্রতি ১১ বছর পর ম্যাগনেটিক ফিল্ড এর বিপরিতে ঘুরে যায়, সে হিসেবে ২২ বছর পর এটা পৃথিবীর দিকে ঘুরে। এই সময় সূর্য বিরূপ আচরণ করতে থাকে, যখন সৌরঝড় এর ঝুকিও বেড়ে যায়।
সৌরঝড় এর তীব্রতা এবং সম্ভবনা হারিকেনের মতই অনিশ্চিত।
সৌরঝড়ের ফলে সৃষ্ট তাপমাত্রার পরিমাণ প্রায় ১০ মিলিয়ন °C , যা এক মিলিয়ন আনবিক বোমার শক্তির সমান।
২০০১ সালে সর্বশেষ সৌরঝড় পরিলক্ষিত হয়, সে অনুযায়ী পরবর্তী সৌরঝড়ের সম্ভাব্য সাল ২০১২।
ছবিটি জটিল ম্যাগনেটিক ফিল্ডের কম্পিউটার সিমিউলেশন।
ম্যাগনেটস্ফিয়ার হলো সূর্য থেকে চার্জ পাওয়া কণা আর ম্যাগনেটিক ফিল্ডের সম্মেলন।
সূর্য থেকে চার্জ পাওয়া কণা যখন পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে তখন অরোরার আবির্ভাব হয়। এই সময় কৃত্রিম উপগ্রহের সাথে যোগাযোগ ও ইলেক্ট্রিক্যাল পাওয়ার গ্রিডে সমস্যা দেখা দেয়।
Oak Ridge National Laboratory,Tennessee এর গবেষকরা সৌরঝড়কে সম্পূর্ণভাবে বোঝার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। পৃথিবীর জীবন বৈচিত্রে সৌরঝড়ের ছোট থেকে বড় সব ধরনের প্রভাব অনুধাবন করাই এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য।
সূর্যে অতিরিক্ত শক্তি উৎপন্ন হলে তাকে 'সোলার ম্যাক্সিমাম' বলা হয়, আর বিজ্ঞানিদের ধারনা ২০১২ সালেই এই পর্যায়ে চলে যাবে সূর্য।
এই সৌরঝড়ের ভয়ষ্কর রেডিয়েশন এবং এনার্জি নির্গমনের ফলে ভূপৃষ্ঠে বা মহাকাশে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে নানা সমস্যা দেখে দিবে। কৃত্রিম উপগ্রহগুলো নষ্ট হলে ফোনে যোগাযোগ, টেলিভিশন সম্প্রচার, এটিএম লেনদেন বন্ধ হয়ে যাবে। বেড়ে যেতে পারে মানুষের অসুখ , দুঘর্টনা ও ভয়াবহ সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ফলে পৃথিবী এগিয়ে যাবে চুড়ান্ত পরিণতির দিকে। বিজ্ঞানিদের আশংকা সত্যি হলে কয়েক মুহূর্তই পৃথিবী মহাকাশের বিশালত্বে বিলীন হয়ে যাবে।
সৃষ্টি যে করেছে ধ্বংস করার ক্ষমতা তারই আছে। তবে বিপর্যয় একটা স্বাভাবিক ঘটনা। বহু দুর্যোগ কালে কালে উন্নত সভ্যতাগুলোর ধংসের এবং নতুন করে গড়ার কারণ হয়েছে।
নিচে এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদনের ভিডিও লিঙ্ক দেয়া হল...
ফেইসবুকে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।