নাসার বিজ্ঞানীগণ গত মঙ্গলবার সকালে সূর্যের চারদিক থেকে এক প্রকান্ড জ্যোতির্বলয় নির্গত হতে দেখেছেন। সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হলো এটি থেকে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৫৭০ মাইল বেগে মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ছে বিলিয়ন বিলিয়ন টন বিভিন্ন ধরণের কণা। আর নাসার মতে, এই ঝড়টি এখন এগিয়ে আমাদের পৃথিবীর দিকেই।
নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- এই ঝড়টি আগামী এক থেকে তিন দিনের মাঝেই আঘাত হানবে আমাদের পৃথিবীতে এবং এর ফলে তৈরী হবে এক ভূচৌম্বকীয় ঝড়।
সুসংবাদ হলো এই সৌরঝড় নিয়ে আমাদের অর্থাৎ পৃথিবীর অধিবাসীদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীগণ।
কারণ এই কণাগুলো বায়ুমণ্ডল ভেদ করে আমাদের কাছে পৌঁছাতে পারবে না। তবে তারপরও পুরোপুরি দুশ্চিন্তামুক্ত হওয়া যাচ্ছে না। কারণ এই ঝড় আমাদের কোনো ক্ষতি না করলেও পৃথিবীর এবং স্যাটেলাইটের ইলেকট্রনিক সিস্টেম এর দ্বারা আক্রান্ত হবে বলে তারা আশংকা প্রকাশ করেছেন। ফলে আমাদের পাওয়ার গ্রিড, মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা কিংবা জিপিএস এর মতো দৈনন্দিন অপরিহার্য বিষয়গুলো ব্যবহারে কিছুটা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তবে এরকম সৌরঝড়ের কবলে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিকল হবার ঘটনা এটাই প্রথম নয়।
এই বছরের শুরুতেই এরকম এক ঝড়ের কারণে কিছু সময়ের জন্য অচল হয়ে পড়েছিলো আমাদের রেডিও কমিউনিকেশন সিস্টেম।
‘সেকেন্ডে ৫৭০ মাইল’ কথাটা শুনতে খুব ভয়ংকর শোনালেও এই ব্যাপারে নাসার মতামত, এরকম সৌরঝড়গুলো সাধারণত এই মাত্রার গড় গতিবেগেরই হয়ে থাকে। আর এ ধরণের সৌরঝড়ে এর আগেও ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ খুব একটা বেশি ছিলো না বলেই তাদের অভিমত।
এই তীব্র গতিশীল কণাগুলো আমাদের বায়ুমণ্ডল অতিক্রমের সময় পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হবে। ফলে ছড়িয়ে পড়বে লাল, নীল এবং সবুজ রঙের চোখ ধাঁধানো আলোকচ্ছটা।
এই তথ্যটি জানা যায় এখানে : http://news.cnet.com/8301-11386_3-57599632-76/stormy-weather-on-the-sun-heading-toward-earth/
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।