আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তালার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি

আমি একজন অলস মানুষ। কথা বেশি বলি। কাজ করি কম। তবে নিজের পায়ে হাটি। সুদূর অতীতে যিনি তালা-চাবি আবিষ্কার করেছিলেন, তিনি কল্পনাও করতে পারেননি যে বাংলার মাটিতে একদিন তালা হয়ে উঠবে একটি গুরুতর আলোচ্য বিষয়।

তালা পাবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। কথাটি সৈয়দ আবুল মকসুদ এর। আসলেই কথাটি একেবার খাঁটি। কারণ গত সপ্তাহে 'তালা' কে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রানালয় থেকে রাষ্ট্রীয় ভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। 'তালা' কে করা হয়েছে নিরাপত্তার অন্যতম মাধ্যম।

তাই আজ দেশের মানুষের কাছে তালার গুরুত্ব একটু আলাদা। তালার ব্যাবহারও দিনে দিনে বেড়ে যাবে। যেমন, আসছে নির্বাচনে রাজনৈতিক দল গুলো তাদের ইশতেহারে লিখবে , " আমরা ক্ষমতায় গেলে আলাদা ভাবে তালা মন্ত্রনালয় খুলব, থাকবেন তালা মন্ত্রী, প্রতি মন্ত্রী। যাদের কাজ হবে নাগরিকের প্রয়োজনে তালা সরবরাহ করা এবং সরবরাহকৃত তালার মেরামত করার নজরদারি করা । " আবার অনেক অর্থনীতিবিদ পাঠ্য বইয়ে ৬ টি মৌলিক চাহিদা যোগ করার জন্যে তাগিদ দিবে।

কেননা নতুনটি হচ্ছে 'তালা'। আবার বাংলা পরীক্ষায় গরুর রচনার পাশাপাশি নতুন রচনা আসবে। তা হল - 'তালা'। বোধ করি ২০১২ সালের এস এস সি পরীক্ষার জন্যেও এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ রচনা, পরীক্ষায় আসার মত। বানিজ্য মেলার নতুন আকর্ষণ থাকবে আলাদা ভাবে তালার শো-রুম।

নতুন যেসব নিরাপত্তা সংস্থা আছে দেশে, তাদেরও রমরমা ব্যাবসার একটা সুযোগ আছে। যেমন, এমন কোনও কোম্পানি আসতে পারে - 'তালা সিকিউরিটি সার্ভিস'। বিশ্ববিদ্যালয় এ নতুন বিষয়ে পড়ানো হবে - 'ডিপার্টমেন্ট অফ তালা'। সিমান্তে আলাদা ভাবে পাহারা দেয়ার দরকার হবেনা। শুধু একটা দল থাকবে , যারা নিজ দায়িত্বে সিমান্তে তালা লাগাবে আর ঘরে গিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাবে।

ব্লগাররা 'তালা' নিয়ে লিখে কেউ জেনারেল থেকে সেইফ হবে। আবার কেউ এর বিরুদ্ধে লিখে ব্লকড হবেন। তাই অবশেষে আমরা বলতে পারি , বাঙালির জীবনে তালার গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা বিদেশ থেকে তালা আমদানি করে প্রচুর দেশিয় মুদ্রা রপ্তানি করতে পারি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।