আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেডিকেল ভর্তি ও কিছু কথা।

আমার প্রথম ব্লগ লেখা এইটি । কোন বিষয় খুজে পেলাম না এখন ও । সাম্প্রতিক অনেক ঘটনা আমার মনে দাগ কেটে গেছে যেমন গুম নাটক, হুমায়ুন আহমেদ এর মৃতু নিয়ে এত সব নাটক, পদ্মা সেতু, আরও অনেক কিছুই। সব নিয়েই লেখা যাই কিন্তু আজ কে না অন্যদিন । আজকে শুধুই সবাই কে শুভেচ্ পাবলিক পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি নির্ধারণের নতুন প্রস্তাবটি বিতর্কিত।

তবে আগের ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতিটাও ধোয়া তুলসী পাতা ছিলো না। এই নিয়ে কিছু ভাবনা। ঢাকা ও রাজশাহী বোর্ডে বস্তা ভরে নম্বর দেয়া হয় (হতো?), আর সেই তুলনায় চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বোর্ডে চিপে চিপে দেয়া হয়। কাজেই SSC, HSC পরীক্ষায় যতদিন একই রকমের মূল্যায়ন না হবে, ততদিন সেই ফলাফল ঢাকা কিংবা চট্টগ্রাম বোর্ডের শিক্ষার্থীদের একই পাল্লায় মাপার জন্য গ্রহনযোগ্য না। তবে ভর্তি পরীক্ষাও কি গ্রহনযোগ্য? বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় আমাদের সময়ে রোল ১ (Physics, Chemistry, Math এর মোট নম্বরের ভিত্তিতে) ছিলো আমাদের আগের বছরে পাস করা একজন।

প্রথমবার বুয়েটএ চান্স না পেয়ে আবার চেষ্টা করছিলো। তার মেধা কম সেটা কী করে বলি? তার চাইতে রোল ৩ যে (আমাদের বছরে সারা দেশে প্রথম) তার মেধা কি বেশি না কম?) তবে এই ইস্যুতে আমার প্রতিক্রিয়া আসলে মিশ্র। ১) pro- প্রস্তাবিত পদ্ধতি -- একটা মাত্র ভর্তি পরীক্ষায় কারো মূল্যায়ন করাটা কি যৌক্তিক? যে কারো কোনো কারণে একটা দিন খারাপ যেতে পারে। ভর্তি পরীক্ষার দিন হঠাৎ শরীর খারাপ হতে পারে, নানা ঘটনা ঘটতে পারে। ভর্তি কোচিং এর ক্ষেত্রে ঢাকা কিংবা বড় শহরের শিক্ষার্থীরা একটা undue advantage পেয়ে থাকে।

(আমাকে ৬ মাস বাড়ির বাইরে থেকে কোচিং করতে হয়েছিলো)। প্রস্তাবিত পদ্ধতিতে সেটা হবে না। ভর্তি পরীক্ষার জন্য ক্লাস শুরু করতে দেরি হওয়াটা কমবে। পাবলিক পরীক্ষায় সিরিয়াস হতে হবে সবাইকে। ২) Against-প্রস্তাবিত পদ্ধতি - আগেই বলেছি, এক যাত্রায় দুই ফল দুই বোর্ডের দুই ছাত্র পেতে পারে।

মুড়ি মুড়কির এক দর হবে। ১টা ৩ ঘণ্টার পরীক্ষায় ভাগ্য নির্ধারণের বদলে হবে ২৩টা পরীক্ষায় ভাগ্য নির্ধারণ (এবং খারাপ দিন সম্ভাবনা ২৩ গুন বাড়বে)। অদ্ভুত সব টাই-ব্রেকার পদ্ধতি বের হবে (যে বয়সে ছোট সে চান্স পাবেনা একই সিজিপিএ পেলেও এরকম থিওরি, যা কলেজ পর্যায়ে চালু)। ---- বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে ন্যায্য কোনো ভর্তি পদ্ধতি কখনোই সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। অন্য অনেক জায়গায় যেমন একটা মাত্র পরীক্ষাকে নিয়ামক না ধরে ছাত্রের পূর্ণ ইতিহাস যাচাই করা হয়, সেটা বাংলাদেশে সম্ভব না, কারণ ওরকম সাবজেক্টিভ কিছুতে দুর্নীতি অবশ্যম্ভাবী।

একটা মাত্র ভর্তি পরীক্ষা যেমন ভাগ্যাহত অনেকের ক্যারিয়ার প্ল্যান নষ্ট করেছে, সেরকম এসেসসি বা এইচেসসির একটা মাত্র বিষয়ে খারাপ করাটাও করতে পারে। কাজেই দুই রকমের আনফেয়ার পদ্ধতির কোনোটাই একে অন্যের চাইতে ভালো তা বলতে পারছি না। নতুন প্রস্তাবিত পদ্ধতি আগেরটার চাইতে ভয়াবহ খারাপ তা বলা মুশকিল, কারণ যে কারণে নতুনটা খারাপ ঠেকছে, একই বা কাছাকাছি কারণে আগেরটাও খারাপ। অনেকেই বল্ছেন নতুন পদ্ধতিতে হলে তারা চান্স পেতেন না অমুক জায়গায়, কিন্তু এরকম আরো অনেক চান্স না পাওয়া আছেন যারা আগের পদ্ধতিতে চান্স পান নাই, কিন্তু নতুনটায় পেতেন। কে কার চেয়ে কম বা বেশি মেধাবী in the long run, সেটা বলা কঠিন।

ভর্তি পরীক্ষা কখনোই সেটার ভবিষ্যতবাণী করতে পারেনা, কিংবা পাবলিক পরীক্ষাও পারেনা। courtesy : Ragib Hasan ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.