বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক স্বকৃত নোমান এর ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং স্ট্যাটাস থেকে নেয়া। যদিও তিনি যেভাবে বলতে চেয়েছেন আমি সেরকম মনে করি না যে সব মাদ্রাসায় এই ধরণের আচরন অনেক। বিচ্ছিন্ন ঘটনা সবখানেই আছে। তবে এটাও সত্যি যে এই ধরণের আচরন গুলো হুজুর শ্রেণীর কিছু মানুষের মধ্যে বেশি দেখা যায়। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বললাম আর কি কারন বলতে লজ্জা নেই যে ছোট থাকতে, যখন আমার বয়স নিতান্তই কম তখন এইরকম দুই বার দুই হুজুর আমার সাথে এইরকম কুরুচিপূর্ণ আচরন করতে চেয়েছিলেন।
যাই হোক এখানে লেখকের একটা ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা শুধু আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
"কৈশোরে পিতার চাপে পড়ে মাসখানেক ক্বওমি মাদ্রাসায় পড়তে হয়েছিল, ফেনী হোসাইনিয়া মাদ্রাসায়। সঙ্গে বাল্যবন্ধু আলী ও আমান। এতে আমাদের সুবিধাই হয়েছিল। বাড়ি থেকে দশ টাকা ট্রেন ভাড়া দিয়ে শহরে সিনেমা দেখতে আসাটা সহজ ছিল না।
এই মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার পর দিনে আমরা মাদ্রাসায় ক্লাশ করি, সন্ধ্যার পর পাঞ্জাবির আর টুপিটা পলিথিনের ব্যাগে ভরে গেঞ্জি গায়ে দিয়ে ফেনী সুরত মহল সিনেমা হলে ছয় টাকায় থার্ড ক্লাশের টিকেট কেটে সিনেমা দেখি। আমরা থাকতাম হোসাইনিয়া মাদ্রাসার মসজিদে। এক রাতে সিনেমা দেখে চুপিচুপি মসজিদে ফিরলাম। লাইট জ্বেলে দেখি মাদ্রাসার এক মোদাররেস (শিক্ষক) এক ছাত্রের সঙ্গে সমকামে লিপ্ত! মসজিদের ভিতরেই! আমরা মিনিটখানেক ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলাম। পরে তিন বন্ধু মিলে দুই সমকামীকে দিলাম ধোলাই।
পরিণাম হয়েছিল খুব খারাপ। পরদিন আমানকে সিনেমা দেখার অপরাধে মাদ্রাসার মুহতামিম তার কক্ষের দরজা বন্ধ করে ব্যাপক মারধর করে। পরের ধাপে আমাকে ও আলীকে মারার জন্য ডাকা হলো। বললাম, ‘আমার গায়ে হাত তুললে আমি কিন্তু মসজিদে লুচ্চামির কথা সবাইকে বলে দেব। ’ হুজুর ভয় পেয়ে গেল।
শেষে সিনেমা দেখার অভিযোগ এনে তিন বন্ধুকে সেদিনই মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করা হলো। এই ঘটনা আব্বাকে বলার পর তিনি জীবনে আর কখনও আমাদেরকে ক্বওমি মাদ্রাসায় পড়াবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিলেন এবং তিনি জমিয়াতুল মোদাররেসিন (ক্বওমি মাদ্রাসার শিক্ষকদের সংগঠন) থেকে পদত্যাগ করলেন।
শুধু হোসাইনিয়া মাদ্রাসায় নয়, বাংলাদেশের সব ক্বওমি মাদ্রাসাতেই সমকাম চলে। মাদ্রাসার হোস্টেলে, মসজিদে, রান্নাঘরে এমনকি বাথরুমেও। শিক্ষক-ছাত্রে, ছাত্রে ছাত্রে।
তারা এটাকে বলে ‘খেদমত’ "
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।