ইসলাম ধর্মমতে সমকাম একটি জঘন্য হারাম কাজ হলেও বছরের পর বছর এ অপকর্মটি অবলীলায় করে যাচ্ছেন কওমি মাদ্রাসার যৌনবিকারগ্রস্ত কিছু শিক্ষক। এদের কবলে পড়ে প্রতিবছর অনেক কওমিশিক্ষার্থী মাদ্রাসা ছাড়তে বাধ্য হয় বলে জানিয়েছে কওমি মাদ্রাসার একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র। তাদের মতে, বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসাগুলো শুরুতে দারুল উলুম দেওবন্দের সিলসিলা অনুসারে পরিচালিত হলেও বর্তমানে সেই দ্বীনি ধারা থেকে বিচ্যুত। এখন কওমি মাদ্রাসা মানেই ব্যবসা ও রাজনীতি।
গত ৩ জুন আশুলিয়ার হাফিজিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার ৮ বছরের শিশুশিক্ষার্থী গোলাম রাব্বীকে বলাত্কারের পর হত্যা করে ওই মাদ্রাসারই শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মোশাররফ হোসেন।
এ ঘটনায় মাদ্রাসাটি থেকে শিক্ষার্থীদের ফেরত নিয়ে গেছেন অভিভাবকরা এবং দেশজুড়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক সমকামে বাধ্য করার ঘটনা কওমি মাদ্রাসায় নতুন নয়। তবে বলাত্কারের পর হত্যার ঘটনা এই প্রথম। ২০০৬ সালে মৌলভীবাজারের দারুল উলুম মাদ্রাসার এক ছাত্রকে জোরপূর্বক সমকামে বাধ্য করায় শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়া হয় প্রিন্সিপাল মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলামকে। ২০১১ সালের ১৩ জুলাই নেত্রকোনার আটপাড়ার কুতুবপুরে এক ছাত্রকে একটি রুমে আটকে রেখে বলাত্কার করেন শিক্ষক জাকির হোসেন।
২০০৫ সালে আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলাম মাদ্রাসার ৫ ছাত্র (যাদের বয়স ৮ থেকে ১০ বছর) যৌননির্যাতনের অভিযোগে সূত্রাপুর থানায় একটি মামলা করে। পরবর্তী সময়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ননী গোপাল বিশ্বাসের আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে তারা জানায়, এ ঘটনায় কয়েকজন সিনিয়র ছাত্রও জড়িত। তদন্তে হোস্টেল সুপার মোসলেহ উদ্দিনের জড়িত থাকার প্রমাণ পায় পুলিশ।
দেশের বিভিন্ন কওমি মাদ্রাসায় এভাবে শিক্ষার্থীদের ওপর যৌননিপীড়ন চলে আসছে যুগ-যুগ ধরে। তবে এসব খবর কমই আসে মিডিয়ায়।
আসতে দেওয়া হয় না।
ইসলামে সমকামের তীব্র বিরোধিতা ও শাস্তির কথা বলা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ নারীদের ছেড়ে পুরুষদের সঙ্গে কাম চর্চাকারীদের সীমালঙ্ঘনকারী উল্লেখ করে তাদের ওপর অগ্নি-পাথর বর্ষণের কথা বলেছেন। এমনকী হাদিস শরীফেও মহানবী সা. বলেছেন, যদি অবিবাহিত পুরুষগণ ‘পায়ু-কাম’-এ লিপ্ত হয়, তাকে পাথর-ছুড়ে হত্যা করতে হবে। (আবু দাউদ শরীফ ৪৪৪৮)।
সুত্র
সুত্র-২
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।