আমি বাঙালি এবং বাংলাদেশী
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় মাদ্রসা শিক্ষা একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। দেশের প্রায় কয়েক লক্ষ শিক্ষার্থী এই মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহন করে থাকে। । একজন শিক্ষার্থী যখন মাদ্রসা থেকে তার শিক্ষা জীবন শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করে তখন সে সীমাহীন চ্যালেঞ্জ এর মুখোমুখি হয়। সাধারনত মসজিদ ইমাম ময়াজ্জিন অথবা মাদ্রাসার কিছু ছাড়া আর কোন ক্ষেত্রে চাকুরীর সুযোগ মেলে না।
চাকুরী বা কর্মক্ষেত্রে ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত না হতে পেরে লাখ লাখ মাদ্রসা শিক্ষার্থী চরম হতাশার মধ্যে দিন যাপন করছে। আর হতাশা মানুষকে কত ভংয়কার করে তুলতে পারে তা আমরা দেখেছি ২০০৫ সালের ১৭ আগষ্ট। সেদিন জেএমবির নেতৃত্বে এই হতাশাগ্রস্হ মাদ্রসা ছাত্ররা একযোগে ৬৪ জেলায় বোমা হামলা চালিয়ে বাংলাদেশে তালেবানী শাসন কায়েম করতে চেয়েছিল।
সাধারণ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে মোটা দাগে একটা শ্রেণীপার্থক্য বেশ স্পষ্টভাবেই দেখা যায়। একথা ঠিক যে, সাধারণ স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে গরিব পরিবারের ছেলেমেয়েদের সংখ্যা অনেক।
বিশেষত গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলোতে গরিবদের সংখ্যাই বেশি। কিন্তু মাদ্রাসাগুলোর ছাত্রছাত্রী সাধারণভাবেই গরিব, খুব গরিব। কিন্তু উভয়ের মধ্যে এই পার্থক্য শুধু গরিব এবং ধনী ও মধ্যবিত্তের পার্থক্য নয়। সাংস্কৃতিক দিক দিয়েও এই পার্থক্য যথেষ্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ। এখানে অবশ্য বলা দরকার যে, সাংস্কৃতিক পার্থক্য মূলত অর্থনৈতিক অবস্থানগত পার্থক্যের সঙ্গেই সম্পর্কিত।
শিক্ষা ও সাধারণ জ্ঞানবিজ্ঞানের শিক্ষা এক জিনিস নয়। প্রথমেই বলা দরকার যে, ধর্মীয় শিক্ষা ধর্মগ্রন্থের কাঠামো ও চৌহদ্দির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। প্রত্যেক ধর্মেই নিজেদের ধর্মের শিক্ষা দেয়ার জন্য বিশেষ প্রতিষ্ঠান আছে। হিন্দু ধর্মে টোল, খ্রিস্টান ধর্মে সেমিনারি, ইসলামে মক্তব-মাদ্রাসায় ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা থাকে।
প্রত্যেক ক্ষেত্রেই নিজ নিজ ধর্মীয় শিক্ষা নিজস্ব ধর্মগ্রন্থের ভিত্তিতেই দেয়া হয়ে থাকে।
টোলে কোরআন-বাইবেল যেমন পড়ানো হয় না, তেমনি খ্রিস্টান সেমিনারি ও মাদ্রাসায় বেদ-উপনিষদ শিক্ষার ব্যবস্থা থাকে না। সেমিনারি ও মাদ্রাসায় যথাক্রমে বাইবেল ও কোরআন-হাদিসকে ভিত্তি করেই ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া হয়ে থাকে। সাধারণ জ্ঞানবিজ্ঞান শিক্ষা কিন্তু অন্য ব্যাপার। এ শিক্ষা কোনো নির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে সীমাবদ্ধ বা ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে থাকে না। এ শিক্ষার দিগন্ত সুদূরপ্রসারী।
এ কারণে ধর্ম শিক্ষার মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের সৃষ্টিশীলতার বিকাশের বিশেষ কোনো সুযোগ ও সম্ভাবনা না থাকলেও সাধারণ শিক্ষা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে চিন্তা ও সৃষ্টিশীলতার বিকাশ ঘটায়। এ কারণে সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে সাধারণ জ্ঞানবিজ্ঞান শিক্ষার ওতপ্রোত সম্পর্ক। এভাবে জ্ঞানচর্চা ও বিদ্যা অর্জন মানুষের মধ্যে সৃষ্টিশীলতার বিকাশ ঘটানো তার চিন্তা-চেতনার দিগন্ত সম্প্রসারণই শুধু করে না, তাকে অগ্রসরমাণ সমাজ ব্যবস্থায় নানাভাবে ভূমিকা রাখার যোগ্যতাসম্পন্ন করে। এভাবে সভ্য সমাজে জীবিকা অর্জনের পথও তাদের জন্য উন্মুক্ত হয়।
ধর্মীয় শিক্ষার যে ব্যবস্থা টোল, সেমিনারি, মাদ্রাসা ইত্যাদিতে থাকে সেটা মানুষের চিন্তাকেই যে শুধু সঙ্কীর্ণ গণ্ডীর মধ্যে আবদ্ধ রাখে তাই নয়—তাকে চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য, বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান ও স্বাধীনভাবে জ্ঞানচর্চার যোগ্য করেও গড়ে তোলে না।
এ কারণে দেখা যায় যে, পশ্চিমা উন্নত দেশগুলোতে খ্রিস্টান সেমিনারি থাকলেও তার সংখ্যা সামান্য এবং সেখানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও এখন নগণ্য। ধর্ম শিক্ষার পরিবর্তে তাদের মধ্যে সাধারণ শিক্ষার তাগিদ ব্যাপক থাকায় ধর্মীয় শিক্ষার কোনো গুরুত্ব তাদের সমাজে নেই। এই একই কারণে ভারতে টোল প্রায় উচ্ছেদ হয়ে গেছে বলা চলে। অগ্রসর মুসলমানপ্রধান দেশগুলোতেও আগের তুলনায় মাদ্রাসার সংখ্যা এখন অনেক কম। মিসরের আল আজহার এক জগিবখ্যাত ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
কিন্তু মিসরে এখন সাধারণ শিক্ষার প্রসার যেভাবে হয়েছে তার তুলনায় মাদ্রাসা শিক্ষার কোনো গুরুত্ব নেই। ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, তুরস্ক, এমনকি ইরানের মতো দেশেও সাধারণ শিক্ষাই প্রধান শিক্ষাব্যবস্থা। সৌদি আরব বিশ্বের সব থেকে ধনী দেশগুলোর অন্যতম হলেও তার সমাজব্যবস্থা অতি পশ্চাত্পদ। কিন্তু তা সত্ত্বেও সাধারণ শিক্ষার গুরুত্বের কারণে সেখানে এখন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা হয়েছে, যেখানে সাধারণ শিক্ষা দেয়া হয়। লিবিয়ায় গাদ্দাফি তাঁর দেশের ট্রাইবাল জনগণের একটা বড় অংশকে অতি নিম্ন সামাজিক স্তর থেকে তুলে আধুনিক জীবনযাপনের উপযোগী করেছেন সাধারণ শিক্ষার প্রচলন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে।
মাদ্রাসার ধর্মীয় শিক্ষার মধ্যে জনগণকে আটকে না রেখে তাদের জন্য সাধারণ জ্ঞানবিজ্ঞান শিক্ষার ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে লিবিয়ায় শিক্ষিত মধ্যশ্রেণীর সৃষ্টি হয়েছে। দেশের উন্নতি সাধনের জন্য এছাড়া কোনো উপায় গাদ্দাফির ছিল না। মাদ্রাসার ও মাদ্রাসা ছাত্রের সংখ্যা বৃদ্ধি করে লিবিয়ার অর্থনীতি এবং জনগণের শিক্ষা-সংস্কৃতির উন্নতি সাধন সম্ভব ছিল না। অর্থনৈতিকসহ অন্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে মধ্যশ্রেণীর জন্ম হয়েছে সেই মধ্যশ্রেণীর একটা অংশই এখন নিজেদের আরও সামাজিক ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার জন্য গাদ্দাফির বিরুদ্ধে আন্দোলন ও সশস্ত্র যুদ্ধ করছে।
আসলে দুনিয়ার কোনোদিকে তাকালেই, এমনকি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ইত্যাদি দ্রুত উন্নতিশীল মুসলমানপ্রধান দেশেও সাধারণ শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব কোনোক্রমেই বেশি নয়।
উপরন্তু মাদ্রাসা শিক্ষার অস্তিত্ব থাকলেও তার সংখ্যা অতি অল্প। মাদ্রাসা শিক্ষার মধ্যে নিজেদের সন্তানদের আটকে রাখলে এসব দেশ যেভাবে উন্নতি করেছে এবং উন্নতির ধারা অব্যাহত রেখেছে সেটা তাদের পক্ষে সম্ভব হতো না। মাদ্রাসা শিক্ষার প্রসার খুব বেশি হয়েছে পাকিস্তানে। সেখানে সাধারণ শিক্ষার একটা গুরুত্ব থাকলেও মাদ্রাসা শিক্ষার গুরুত্ব যথেষ্ট। বিশেষত উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে সাধারণ শিক্ষা থেকে মাদ্রাসা শিক্ষার প্রচলন বেশি।
তাদের এই শিক্ষাগত অবস্থার কারণে ওই অঞ্চলের সাধারণ পশ্চাত্পদতা যে সম্পর্কিত এতে সন্দেহ নেই। কে না জানে যে, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের তুলনায় পাঞ্জাবে মাদ্রাসা শিক্ষার প্রচলন ও গুরুত্ব অনেক কম।
ব্রিটিশ ও পাকিস্তানি আমলে পূর্ব বাংলায় মাদ্রাসা থাকলেও তার সংখ্যা বেশি ছিল না। পাকিস্তানি আমলে নতুন প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসার সংখ্যা কমই ছিল। বিস্ময়কর ব্যাপার এই যে, বাংলাদেশ একটি সেক্যুলার রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এ অঞ্চলে মাদ্রাসা ও মাদ্রাসার ছাত্রসংখ্যা বৃদ্ধি যেভাবে হয়েছে দুনিয়ার কোনো জায়গাতেই তা এখন দেখা যায় না।
শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার শুধু যে বিদ্যমান মাদ্রাসাগুলোর আর্থিক গ্রান্টই বৃদ্ধি করেছিলেন তাই নয়, মাদ্রাসা শিক্ষা উত্সাহিত করার ফলে মাদ্রাসার সংখ্যা বৃদ্ধি তখন থেকেই শুরু হয়। তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে মাদ্রাসার সংখ্যা বাংলাদেশে ক্রমাগত ও দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে আসছে। শুধু সরকারি মাদ্রাসাই নয়, তার থেকে অনেক বেশি সংখ্যায় এখন বেসরকারি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এগুলো সরকারি আর্থিক সহায়তা লাভ করছে। বাংলাদেশে শিক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধির কথা বেশ জোর দিয়ে প্রত্যেকটি সরকারই বলে থাকে। হিসাব নিলে দেখা যাবে, মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য এই ব্যয় আনুপাতিকভাবে সাধারণ শিক্ষা খাতে ব্যয়ের থেকে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ কারণে শিক্ষা ব্যয়ের একটা বড় অংশ মাদ্রাসাগুলোতেই হচ্ছে। মাদ্রাসা শিক্ষার সমালোচনা করলে এবং তার গুরুত্বহীনতার কথা বললে শুধু মোল্লা ধরনের লোকরাই নয়, অনেক ‘আধুনিক’ লোকজনও রুষ্ট হন। তারা মাদ্রাসা শিক্ষার পক্ষে জোর বক্তব্য দেন এবং তার সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন। কিন্তু অবাক হওয়ার ব্যাপার এই যে, তারা নিজেদের সন্তানদের মাদ্রাসায় পাঠান না। তারা সাধারণ স্কুল-কলেজেই পড়ে এবং আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভালো চাকরি থেকে নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদির সব রকম সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে।
যারা মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য জোর গলায় কথা বলেন তাদের জিজ্ঞেস করলেই জানা যায় যে, তাদের নিজেদের, তাদের আত্মীয়-স্বজনদের, তাদের বন্ধুবান্ধবদের সন্তানরা মাদ্রাসায় পড়ে না। তারা পড়ে সাধারণ স্কুল-কলেজে। এর কারণ তারা ভালোভাবেই জানেন যে, মাদ্রাসায় পড়লে জীবন যুদ্ধে তাদের সন্তানরা পেছনে পড়ে থাকবে। সমাজে নিজেদের অবস্থান গড়ে তুলতে তারা কোনোমতেই সক্ষম হবে না। চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদির সব রকম সুযোগ থেকেই তারা বঞ্চিত হবে।
তাহলে মাদ্রাসা শিক্ষা কাদের জন্য? মাদ্রাসার ও মাদ্রাসা ছাত্রছাত্রীর এত সংখ্যাবৃদ্ধি কেন হচ্ছে? এর জবাব খুব সহজ। মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে গরিবদের সন্তানরা। এ দ্বারা দেশের শাসক শ্রেণীর লোকরা, ধনী ব্যক্তিরা এক ঢিলে দুই পাখি মারছেন। প্রথমত, গরিবদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহকে তারা ধর্মীয় শিক্ষার পথে চালনা করে তাদের মাদ্রাসায় আটকে রাখছেন। দ্বিতীয়ত, শিক্ষাগতভাবে তাদের অযোগ্য করে রেখে সমাজের গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে অকেজো করে রাখছেন।
দেশে চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদির যে সুবিধা আছে তার থেকে এই গরিব পরিবারের সন্তানদের বঞ্চিত রেখে নিজেদের সন্তানদের জন্যই তার ব্যবস্থা করছেন। মাদ্রাসা শিক্ষার প্রচলন রাখা, মাদ্রাসার সংখ্যা বৃদ্ধি ইত্যাদির জন্য জোর লড়াই করা এবং তা সত্ত্বেও নিজেদের সন্তানদের মাদ্রাসায় পড়ানোর ধারেকাছে না গিয়ে সাধারণ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর মধ্যে যে স্ববিরোধিতা আছে তার ‘রহস্য’ এখানেই। একটু চিন্তা করলেই দেখা যাবে যে, এই অবস্থা কোনো ধর্মীয় কারণে দেখা যায় না, এটা দেখা যায় তাদের শ্রেণীচরিত্রের কারণে। শাসক শ্রেণীর বিভিন্ন পর্যায়ের লোক, ধনী লোকেরা মাদ্রাসা শিক্ষার কড়া সমর্থক হয়ে নিজেদের সন্তানদের এই শিক্ষা না দেয়ার কারণ ধর্মের নামে গরিবদের পরিবর্তে নিজেদের সন্তানদের জন্য সমাজে প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধা যত বেশি সম্ভব আদায় করা। কাজেই মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য তাদের যুদ্ধংদেহী ভাবের মধ্যে ধর্মীয় কোনো ব্যাপার নেই।
এটা হলো পুরোপুরি শ্রেণীস্বার্থ সৃষ্ট ব্যাপার। এদিক দিয়ে সাধারণ শিক্ষিত ধনী ব্যক্তি এবং শেখ-মাশায়েখদের পরিবারের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য নেই। এক্ষেত্রে ধর্মীয় এবং ধর্মের প্রতি উদাসীন লোকদের শ্রেণী অবস্থান ও শ্রেণী আচরণ অভিন্ন! শুধু তাই নয়, যারা শেখ-মাশায়েখ নামে পরিচয় দিয়ে এ কাজ করেন তারা মাদ্রাসার ছাত্রদের নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেও ব্যবহার করে থাকেন। মাদ্রাসাগুলোতে যে ছাত্ররা পড়াশোনা করে তাদের ধর্মের কথা বলে এমন সব কাজে উদ্বুদ্ধ করা হয় যার প্রকৃত কোনো ধর্মীয় চরিত্র নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।