ভালো নেই । এই বছরটা মনে হয় খারাপের মধ্যেই যাবে । বলার কিছু নাই । ছোট বেলা এমনই গাধা ছিলাম । ক্লাস টুতে পড়ি সময়ে আমি পুরা গদর্ভ নাম্বার ওয়ান ।
এখনও গর্দভ রয়ে গেছি কিন্ত সেইসময়ের মত না । কতটুকু গর্দভ ছিলাম যা এখনো মনে পড়লে হাসি পায় । সেদিন ক্লাসে নতূন স্যার এসেছিলেন । তিনি সবার নাম-বাবার নাম , বাবা কি করে তা জানতে চাইছিলেন । এক সময়ে আমার পালা এল ।
তিনি আমাকে প্রশ্ন করলেন- এই ছেলে তোমার নাম কী ? তোমার বাবা কি করে ?
আমি ভীষণ ঘাবড়ে গিয়েছিলাম । তাই তাড়াতাড়ি বললাম-স্যার আমার নাম জাহিদ । আর আমার বাবা মোটরসাইকেল চালায় ।
আর সাথে সাথে ক্লাসজুড়ে হাসির রোল পড়ে গেল । এমনকি আমার ফ্রেন্ডরাও আমার দিকে তাকিয়ে হাসতে লাগল ।
আমি মনে মনে বলি দাড়া তোদের মজা দেখাবো । ক্লাসটা শেষ হোক । যদিও ওইদিন কাউকে কিছু বলিনি কিন্ত মনে মনে ভেবে রেখেছি এমন কিছু করতে হবে যাতে প্রমাণিত হয় আমি গর্দভ নই ।
কয়েকদিন পরের কথা । আমাদের ক্লাসে ক্লাস করাচ্ছিলেন এক ম্যাডাম ।
তিনি সবার নাম জানতেন না । কারন নতুন ক্লাস । আমি যদিও খুব পূরাতন তবুও তিনি যে আমার নাম জানতেন না তা আমি জানতাম না । তিনি আমাকে দাড় করালেন । আমি ভাবলাম পড়া বলতে বলেছেন ।
আমি ভাবলাম এটাই আমার জন্য সুযোগ । আমি সবাইকে জানাবো আমি ভালো ছাত্র-গর্দভ নই । কিন্ত তিনি বললেন - তোমার নাম কী?
আমি ফ্যানের আওয়াজে শুনতে পেলাম না । তিনি বাংলা ক্লাস করাচ্ছিলেন । সেদিন ছিল কবিতা ।
আমি চোখ বন্ধ করে বলতে লাগলাম । -কানা বগীর ছা” খান মুহাম্মাদ মঈনুদ্দীন ।
ম্যাডাম বললেন - এই ছেলে তুমি কী বললা তোমার নাম কানা বগীর ছা ? ক্লাস জুড়ে সবার হাসা-হাসি শুরু হয়ে গেল । আমি যে গর্দভ এটা আবারও প্রমাণিত হল ।
এখন সবশেষে একটা কথাই বলব - এই গল্পগুলো আমার জীবনে ঘটেনি,কারো জীবনে ঘটেনি , এগুলো আমি বানিয়েছি ।
আমার বাবার মোটরসাইকেল নেই , CARআছে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।