আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জনগণের টাকা এতোই কি মূল্যহীন ??

একটা গল্প দিয়ে শুরু করি - আমার স্যার এর কাছে ঘটনাটা শুনছি । তাদের গ্রামে একটা জায়গায় খাল খননের কথা । এর জন্য দশ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে । কিন্তু যারা কাজ করবে তারা পুরো টাকা ভাগাভাগি কইরা মাইরা দিছে । গ্রামের উপরের পরজায়ের কয়েকজনরেও খাওাইছে ।

এরপর একদন ম্যাজিস্ট্রেট আসে । স্যার এইটুকু বলার পর আমি মনে করলাম ম্যাজিস্ট্রেট মনে হয় সবার পুঙ্গি বাজায়া দিছে । কিন্তু স্যার যা বলল তাতে বুঝা গেলো লেখা পড়ার কত দাম !!!! ম্যাজিস্ট্রেট এরপর একটা চিঠি লেইখা পাঠাইল । যেখানে সে আরও দশ কোটি টাকা চাইছে খাল ভরাটের জন্য এবং এর পিছনে কারণ দেখাইছে । এই দশ কোটি টাকার বরাদ্দ হওয়ার পড় পুরা টাকা সে নিজে খাইছে ।

কেউ কোন কামই করলো না অথচ বিশ কোটি টাকা গায়েব । দেশ বড়ই আজব । আর এখন আসি আসল কথায় - আমার ইংরেজি বইয়ের হিসাব অনুযায়ী জাতীয় সংসদের বাৎসরিক শুধু MAINTANENCE খরচ পাঁচ কোটি টাকা । সেইখানে সরকার দলীয়রা বইসা খোস গল্প করে । আরেকদল মাইন্ড খাইয়া যায় না ।

তাগো এর লিগা আবার বেতন দেয়া লাগে । তারা জনগণের টাকায় বানানো ভবনে বইসা ফাউ কাম করে । গালিগালাজ করে । যা ফ্রিতে রাস্তায় রিক্সাওয়ালাগো কাছ থিকা শুনা যায় । তাগো ভাতা আছে ।

হেইডাও জনগণের টাকা । তারা যেই বাড়িতে থাকে হাগা মুতা করে সেই বাড়িও জনগণের টাকার । কিন্তু কেউই জনগণরে নিয়া চিন্তা করে না । সংসদে প্রধানমন্ত্রী নিজের বেতন নিজে আইন কইরা বাড়ায় কেউ কিছু কয় না । কারণ এরপর তাগোটা বাড়বো ।

মজাই মজা । আমগো হাতেও এই রকম ক্ষমতার দরকার ছিল । সরকার যখন ভালো লাগবো না লাথি দিয়া ফালায়া দিমু । বিরোধীদল ফাজলামি করবো থাবড়া মারুম / জনগণের নামে হরতাল ডাইকা জনগণের গাড়ি ভাংলে টেংরি ভাইঙ্গা ফালামু । জনগণের হাতে সকল ক্ষমতা চাই ।

বাকি সব কয়টারে ডাস্টবিনে দেখতে চাই । আর রাজনীতিতে নতুন মুখ দেখতে চাই । কারণ একদিন পুরাতনরা সব অতীত হয়ে যাবে । তখন হটাৎ কইরা নতুনরা আইসা দেশ চালাইতে পারবো না । তখন আরেক ঝামেলা লাগবো ।

অন্য দেশ এর সুবিধা নিতে পারে । আমগো দেশপ্রেম বেশি তো । '' বদলে যান, বদলে দিন '' শ্লোগান দিয়া আউ ফাউ খবর ছাপাইয়া টা বদলাইয়া দেই । ''রঙ্গ ভরা বঙ্গ আমার '' ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.