পুলিশ জনগণের বন্ধু; পুলিশের জন্ম ইতিহাস কিন্তু তা বলে না। বরং পুলিশের জন্ম ইতিহাস বলে পুলিশ শাসক ও ক্ষমতাবানদের আজ্ঞাবহ। পুলিশের আচরণ, দায়িত্ব পালন, সততা ইত্যাদি সম্পর্কে হতাশ হওয়ার ও কোন অবকাশ নেই। কারণ শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার নামে শাসকদের স্বার্থে অত্যাচার নিপীড়ন করার জন্যই পুলিশের সৃষ্টি। বিশেষ করে বাংলদেশ সহ ভারতীয় উপমহাদেশের বিগত ২০০ বছরের ইতিহাস সেই প্রমাণ দেয়।
এই অবস্থায় ব্যক্তি বা বিশেষ পরিপ্রেক্ষিতে যা ঘটে তা প্রতিষ্ঠানের পরিচয় নয়।
বাংলাদেশে সোসিও- পলিটিকাল এবং সোসিও-ইকোনমিক ক্ষমতা সামান্য সংখ্যক ব্যক্তি অথবা দল ও শ্রেণীর কাছে কুক্ষিগত শাসন ও শোষণ মূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় " ্রাষ্ট্র বনাম জনগণ" অবস্থা বিরাজ করছে। বঞ্চিত ও বিক্ষুব্দ জনগণকে শাসন শোষণ করার চিরাচরিত নিয়ম " ডিভাইড এন্ড রুল" ব্যবহৃত হচ্ছে। শাসিত শোষিত জনগণ যাতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শাসক ও শোষকদের বিরুদ্ধে জয়ী হতে নয়া পারে; সে জন্য রাজনৈতিকভাবে জনগণকে সরকারী দল ও বিরোধী দলে বিভক্ত করে রাখা হয়েছে। বঞ্চিত ও বিক্ষুব্দ জনগণকে প্রতিশ্রুতির লোভ ও টোপ দিয়ে ক্ষমতা দখলের ইচ্ছায় বিরোধী দল ( যারাই ক্ষমতার বাইরে থাকে) মারমুখী আন্দোলন করে।
ক্ষমতার লড়াই এভাবে চালু আছে এব্লং জনগণের অবস্থান সর্বদা বঞ্চিত দল হিসেবে থাকে।
উপরোক্ত সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পরিবেশে পুলিশ নিরপেক্ষ ও স্বাধীন হতে পারে না। কারণ অন্যান্য সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনীর ন্যায় পুলিশ ও রাষ্ট্রের বল প্রয়োগকারী পেশী শক্তির প্রতিষ্ঠান এবং তারা রাষ্ট্র পরিচালনাকারীদের অধীনে কাজ করে। সুতরাং জনগণের বন্ধু হতে হলে পুলিশকে জনগণের পক্ষে শাসকদের, ক্ষমতাবানদের, রাষ্ট্র পরিচালনাকারীদের বিপক্ষে যেতে হবে তথা রাষ্ট্র বিরোধী হতে হবে। রাষ্ট্রের একটা প্রতিষ্ঠান হয়ে সেটা একমাত্র ১৯৭১ সালের মত ঐতিহাসিক মূহুর্তে সম্ভব।
তাই জনগণের বন্ধু হওয়া পুলিশের পক্ষে সেইদিন সম্ভব হবে; যেদিন " রাষ্ট্র বনাম জনগণ" অবস্থার নিরসন হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।