আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুখে থাকতে ভুতে কিলায়, আওয়ামী লীগ পড়ছে ঠেলায়।

মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার, ধর্মান্ধতা ও দলান্ধতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। শাহবাগ আন্দোলন যখন শুরু হয় আওয়ামী লীগ সরকার মরিয়া হয়ে তার দখল নেয়ার জন্য এমন কোন হীন কাজ নেই যা করে নাই। কিন্তু আওয়ামী লগি যদি বুঝতে পারতো এই শাহবাগ আন্দোলন একদিন তাদের জন্য গলার ফাঁস হবে তবে কি তারা নির্দলীয় কিছু তরুন প্রজন্মের আন্দোলনকে কুক্ষিগত করত? শাহবাগ এখন তাদের জন্য ফাটা বাঁশের চিপা। রাজীবের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তাদের উপর নতুন গজব হয়ে নাজিল হলো হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন। এখন যে করে হোক হেফাজতকে রুখতে হবে, কেননা ব্লগ, ফেসবুক, ও মিডিয়ার কিছু বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের দিয়েতো আর ভোটের বাক্স ভরবে না।

দেশের সিংহ ভাগ মানুষ ধর্ম ভীরু, অতএব খুলতে হবে নতুন ফ্রন্ট এবং সেটা হতে হবে হেফাজতে ইসলামের প্রতিপক্ষ আর সেই নতুন ফ্রন্টের নাম আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত। চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে আগামী শনিবারের সুন্নী মহাসমাবেশে ১০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে বলে আশা করছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত। মহানবীকে নিয়ে অবমাননাকর কটূক্তিকারীদের কঠোর শাস্তি দাবির পাশাপাশি ইসলামের নামে নৈরাজ্য ও সহিংসতা এবং মওদুদীবাদীদের অপতৎপরতা বন্ধে আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে সুন্নী আকিদায় বিশ্বাসী জনতার এই মহাসমাবেশ থেকে। এখন দেখার বিষয় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এর সমাবেশকে ঘিরে দেশ নতুন করে কোন দিকে মোড় নেয়, সরকার হয়তো ভাবছে এই কোর্ট থেকে ঐ কোর্টে বল ছুড়ে বাকী কয়েক মাস পার করে দিলেই ভোটের সময় ঘনিয়ে আসবে। তখন নতুন আঙ্গিকে হিজাব,তসবিহ হাতে নতুন কোন চাল চেলে পার হবে ক্ষমতার বৈতরী।

কিন্তু গর্দভ আওয়ামী লীগ কি একবারও চিন্তা করে দেখেছে, পদ্শাসেতু, শেয়ার মার্কেট, হলমার্ক, সহ অনান্য ‍‍‍অপকর্মের সাথে যে, ভোটের সময় এই শাহবাগ, হেফাজত, ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত তাদের জন্য বুমেরাং হয়ে দাঁড়াবে। কেননা শাহবাগে যে তরুন প্রজন্ম গেছে তাদের দাবী ছিল জামাতকে নিষিদ্ধ করা, হাসিনা তা না করে নিজের মুখোশ খুলে দিছে। এই তরুন প্রজন্ম কি ভোটের সময় তাকে ভোট দিবে? এই একই কথা হেফাজতের বেলায়ও। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত তাদের দীর্ঘ দিনের সেই পুরনো দাবী কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষনা করতে হবে তা যদি তুলে ধরে তবে হাসিনা কই যাবে? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।