আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘ক্যাপিটাল অব ইসলামিক কালচার’ হিসেবে ঢাকার স্বীকৃতি

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা নিয়ে আমাদের গর্বের সীমা নেই। যুগে যুগে এর নানা রূপ ও সৌন্দর্য মানুষকে মুগ্ধ করেছে। মোগল আমলে সুবে বাংলার রাজধানী ঢাকা নগরীর চারশ’ বছর ইতোমধ্যে উদ্যাপিত হয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে বুড়িগঙ্গা তীরবর্তী এই এলাকাটি বহু আগে থেকে মানুষের কাছে একটি আকর্ষণীয় জনপদ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

কেউ এ শহরকে অভিহিত করেছেন ‘মসলিনের শহর’ হিসাবে; কারও কাছে এ শহর ‘মসজিদের শহর’ আবার অনেকের কাছে ইসলামী সংস্কৃতির একটি বিশিষ্ট কেন্দ্র হিসেবে ঢাকা শহরের একটি আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। নারিন্দায় অবস্থিত বিনত বিবির মসজিদসহ দু-একটি মুসলিম স্থাপনা গৌরবময় ইসলামী ঐতিহ্যের পরিচয় বহন করে। এসব কথা বিবেচনা করেই সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবার ঢাকাকে ‘ক্যাপিটাল অব ইসলামিক কালচার’ বা ইসলামী সংস্কৃতির রাজধানী হিসেবে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে বর্ষব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ জুলাই ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এর উদ্বোধন করেন। জানা গেছে, ২০০১ সালের ডিসেম্বরে ওআইসিভুক্ত দেশসমূহের সংস্কৃতি মন্ত্রীদের সম্মেলনে কয়েকটি দেশের রাজধানীকে ‘ক্যাপিটাল অব ইসলামিক কালচার’ হিসেবে মনোনীত করে ইসলামী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য প্রচারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।

ওআইসির অঙ্গ সংগঠন ‘ইসলামিক এডুকেশনাল, সায়েন্টেফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন’ এই সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও বাংলাদেশে সকল ধর্মের সমান গুরুত্ব রয়েছে; কিন্তু দেশের বেশিরভাগ মানুষ মুসলমান। ওআইসিভুক্ত দেশসমূহের অন্যতম হিসেবে বাংলাদেশ এই বাস্তবতাকে অস্বীকার করতে পারে না। একই সঙ্গে ওআইসিভুক্ত অনেক দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় সম্পর্ক রয়েছে। ওআইসিভুক্ত অনেক দেশই তেল ও জ্বালানি সম্পদের দিক থেকে সমৃদ্ধ।

অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতেই এসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশকে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। তাই ওআইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইসলামী সংস্কৃতির রাজধানী হিসেবে ঢাকায় বর্ষব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ সরকারের বিচক্ষণতার প্রমাণ বহন করে। এবার ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে তিনটি শহরকে ‘ইসলামী সংস্কৃতির রাজধানী’ হিসেবে মনোনীত করা হয়। এর অন্যতম ঢাকা। বিষয়টি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য গৌরবের।

এর ফলে বর্ষব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ঢাকা শহরের ইসলামী সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সংশ্লিষ্ট সবার কাছে তুলে ধরা সম্ভব হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মুসলিম দেশসমূহে বাংলাদেশের পরিচিতি ও ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে। ইসলামে যে মানবতাবাদী রূপটি বহুকাল ধরে আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে তার সঙ্গে বিশ্ববাসী পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।