পক্ষী আমার উড়াল পক্ষীবুঝলি না মোর ভাষা; দুই নয়ন মেলিয়া দেখলিভবের রং তামাশা তার পরনে ছিল হাতভর্তি নীল কাছের চুরি। আজকাল মেয়েরা সাধারণত হাতভর্তি চুরি পরে না। ও কেন পরেছে কে জানে ? বিধবাদের ধবধবে সাদা সারিতে যে কোনো মেয়ে কে এত সুন্দর লাগতে পারে তা আমার জানা ছিল না। মুখে তার শরতের স্নিগ্ধ রোদের মত এক চিলতে হাসি.মেয়েটি গুনগুনিয়ে কোনো গান গাইছে। আমি ঘোর লাগা মানুষের মত তার কাছে গেলাম ।
মেয়েটি গাইছিল --
"পুরান পল্টন, নয়া পল্টন ,আবার জিগায়,
ধানমন্ডি পাচ নম্বর আবার জিগায়
রাজীব ভাই জোরে জোরে চুইং গাম চাবায়...."
আমার ঘোর কেটে গেল। আমি বিছানা থেকে উঠে বসলাম। মনে মনে হিসাব করলাম -
"৪২ রাত" , আজ প্রায় দের মাস হতে চলল ওই ঘটনার পর থেকে।
প্রচন্ড পিপাসা পেয়েছে। . বিছানা থেকে নেমে দ্রুত এক গ্লাস পানি খেলাম।
বারান্দায় শীতল হাওয়া বইছে। আকাশে উথাল পাথাল জোস্না। জোস্নার আলোয় আমার যুক্তি লোপ পাচ্ছে । মনে হচ্ছে, স্বপ্নে যা দেখেছি তাই সত্যি। না, এমন তো হবার কথা নয়. আমি ডায়রির দিকে হাত বাড়ালাম।
সেদিন ফায়াজ এর বাসায় যেন ঈদ লেগেছিল. দোতলায় জোরে জোরে হিন্দী গান বাজছিল. ফায়াজ এর বন্ধু-বান্ধব রা " আজ পাশা খেলব রে " টাইপ প্ল্যান করায় বাস্ত ছিল. বেরসিকের মত আমার শুরু হলো মাথাবেথা . কি আর করা! ছাদে উঠলাম একা একা , মাথাবথা যেন কমে এই আশায় .লাভের মধে লাভ হলো এই যে, মাথাবথা আরো বাড়লো. হঠাত ছাদের অন্য প্রান্তে সাদা শাড়ি পরা একজন মেয়ের অস্তিত্ব টের পেলাম. সেদিন ছিল ঘোর অমাবস্যা . অমাবস্যায় সাদা রং আরো উজ্জল দেখাচ্ছে . আমি দুরত্ব বজায় রেখে মেয়েটির কাছে গেলাম. মেয়েটি এক পলক আমার দিকে তাকালো.আমর বুক ধক করে উঠলো . কান্নার কারণে মেয়েটির চোখের কাজল লেপ্টে গিয়েছিল .
মানুষের রূপ গড়ন এইসব বাজহিক বিষয় নিয়ে আমি কখনই বাড়াবাড়ি করি না . সেদিন করলাম,মনে মনে আওরালাম -
" কে বলে শারদ শশী সে মুখের তুলা
পদনখে পরে আছে তার কতগুলা "
তার নাম দিলাম "মেঘবতী " এবং ঘটনার শুরু এখান থেকেই . না, এটি কোনো প্রেমের গল্প নয় .
মেয়েটি ছাদ থেকে লাফ দিল . আমি দৌড়ে ওই প্রান্তে গেলাম. পড়ে যাবার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত আমি তাকে স্পষ্ট দেখতে পারছিলাম . আমার স্বপ্ন - খেলার শুরু ওই রাত থেকেই ...(to be continued....) ..
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।