কয় দিন ধরে একটা বিষয় আমাকে ভাবিয়ে তুলছে। না লিখে থাকতে পারলামনা। ভেবে পাচ্ছিনা আসলে এইগুলোতে হচ্ছেটা কি?
আমি এই দেশের মাদ্রাসাগুলোর কথাই বলছিলাম। আমি ভেবে অস্থির হই যে মদ্রাসাগুলো আদৌ আমাদের সঠিক ধর্ম পালনের দিকে নির্দেষনা দিতে পারছে কি ? যেখানে তারা নিজেরাই ডুবে আছে ধর্মহীনতায় ? কথাটা কি খুব কঠিন-কর্কশ হয়ে গেল ? হ্যা সত্য সব সময় তিক্তই হয়। আচ্ছা আপনিই বলুননা একই সাথে কি আলো এবং আধার থাকতে পারে কখনো? নিশ্চয় আপনি নার পক্ষেই থাকবেন।
তাহলে এইবার বলুন যেখানে কোরআন-হাদিছ শিক্ষা দেয়া হয় সেখানে কেন আবার মাজার পুজা ও হয়? দেশের প্রায় বড়বড় মাদ্রাসাগুলোর পাশেই পাবেন বড়বড় সব মাজার যেগুলোতে প্রতিনিয়ত বিদাত, কুফুর এবং শিরক এর মত বড়বড় পাপ হতেই আছে এবং টিক এরই কয়েক বিগত দূরে মাওলানা সাহেবরা কোরআন এবং হাদিসের তালিম দিচ্ছেন! কী অদ্ভূত না? যুগযুগ ধরে এই বাতিল এবং হক এর সহাবস্থান চলে আসছে। এটা কেমনে সম্ভব?
মাওলানা সাহেবরা কোরআন হাদিসের আলো ছড়ানোর চাইতে এই গুলোকে পুজি করে পেটের ধান্ধায় ব্যাস্থ প্রতিনিয়ত। তবে কি মাদ্রাসা শিক্ষা এখন আস্তেআস্তে এর প্রয়োজনীয়তা ও প্রায়োগিকতা হারিয়ে ফেলছে? দেশে আজ প্রতি বছর হাজার হাজার কওমি ও সরকারি মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র বের হচ্ছে এবং তারই সাথে বাড়ছে দল-উপদলের সংখ্যা।
সঠিক ইসলাম মানুষের কাছে না ছড়িয়ে তারা আছে প্রতিনিয়ত স্বার্থের অন্বেষনে। এক আলেম আরেক আলেম কে তার অবর্তমানে কাফের ফতোয়া দেয়।
আবার খতম লাগলে এরা ঠিকই একই স্থানে বসতে পারে। পেটের ধান্ধার সময় বিবেধ ভুলে যায় কিন্তু ধর্মীয় বিষয়ে একমত হতে পারেননা কেন? আমি অনেক ইমাম সাহেব দেখেছি যারা জানে এইটা বিদাত ওইটা কুফুর এর পরেও শধুই পেট পালার জন্য অবলিলায় এইগুলো করে যান।
আল্লাহর দুনিয়ায় রিজিকের কি এতই স্বল্পতা? কেন আলেম রা শুধু টাকা উপার্জনের জন্য ইসলামী আদর্শ ও নিয়ম লঙ্গন করে? পেট চালানোর জন্য কি দুনিয়াতে হালাল অন্য কোনো পন্থা নাই?
এখন সময় হয়েছে এইগুলো ছেড়ে দেয়ার। আর এইগুলোতে যদি এতই স্বাদ ধরে যায় যে ছাড়তে কষ্ঠ হবে তবে পাঞ্জাবি-টুপি ছেড়ে দিয়ে মাঠে নেমে পড়ুন। দূর্নীতির আরোও মাঠ আছে।
ওইগুলোতে গিয়ে আপনাদের নৈপূন্য দেখান। অযথা মসজিদ-মাদ্রাসা গুলোকে আর কলংকিত করবেননা প্লিজ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।