রানা প্লাজা ধ্বসের দুই মাস পরে এসে আজ আর কোন উদ্ধার কর্মীর কথা মিডিয়াতে নেই। এরই মধ্যে বাবু মারা গেছে। হয়ত আরো অনেকেই সামনে নিজেকে রানা প্লাজার লাশের সারিদের সাথে যুক্ত করবে। আমরা কোনদিনও হয়ত তাদের নামও জানবো না। তারা যেমন নিজের জীবন বাজি রেখে অন্যের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিল, তেমনি সকলের অগোচরেই চলে যাবে পৃথিবী ছেড়ে।
আমরা কেবল নিজেদের নিয়েই ব্যবস্থা কোন দিনও তাদের কোন খবর নেব না। এটাই পৃথিবী। এরই নাম জীবন। উদ্ধারকর্মীদের সর্বশেষ অবস্থা: http://www.notun-din.com/?p=3221
মৃত্যুর মিছিলে জীবনের গান গাওয়ার নাম বেঁচে থাকা। আমরা বেঁচে থাকবো।
হাজারো বাবুদের আত্মহত্যা আমাদের কাঙ্ক্ষিত জীবন থেকে আমাদের এক চুলও সরাতে পারবে না।
মর বাবু, রফিকুল ইসলাম, ওমর ফারুক তোরা মরে আমাদের শান্তি দে। আমরা বাচতে চাই।
এপ্রিল মাসে রানা প্লাজা ধ্বসে মারা গেছে হাজারের বেশি শ্রমিক। আরো অনেকেই এখনো নিখোঁজ।
আর কোনদিনই তাদের মুখ দেখতে পাবে না তাদের মা বাবা, সন্তান বা ভাই বোনরা। তারা হারিয়ে গেছে স্মৃতির অতলে।
রানা প্লাজা থেকে ১৭ দিন পরে বেঁচে বের হওয়া রেশমা ভালো আছে। চাকরি পেয়ে তার জীবন সুখে কাটবে। কিন্তু যারা এই রেশমাদের বাঁচাতে নিজেদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে সেদিন নেমেছিল মৃত্যুপুরীতে, তারা কেমন আছে?
তারা কী জীবনের স্বাভাবিক স্রোতে ফিরে গেছে নাকি রানা প্লাজার লাশের সারি তাদেরকেও ডাকছে তাদের দলে সামিল হতে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।