অন্ধকার; মৃত নাসপাতিটির মতন নীরব' জাদুকর তার কোন বেঢপ টুপি ছিল না যেখান থেকে বের হয়ে আসবে মায়াবী শাদা খরগোশ কিংবা একগুচ্ছ লাল গোলাপ । তার রুমাল থেকে কখনো জন্ম হতো না শান্তির পায়রা কিংবা বিভ্রমের রঙপেনসিল । উড়ন্ত শিফন স্কার্ফ হয়ে উঠতো না ডানা ঝাপটানো ব্যাকুল কোন ঘুঘু । তবে তাকে আমি জাদুকর বলি । জাদুকর লুব্ধকের আলো জ্বেলে ঘোর কালির আঁধারে খুঁজে ফেরে সপ্তর্ষির সাত প্রশ্নের রহস্য । উষরের বুকে শব্দের মায়ায় ফোটাতে পারে নীলপদ্ম । ময়ুরপঙ্খী মেঘে চেপে ঘুরে বেড়ায় রঙধনু রঙে সাজানো স্বপ্নের দেশে । তীক্ষ্ণ দুপুরের পাপিয়া-শব্দ সুরে মুছে দিতে পারে অবসাদ । কবিতার জাদু মাছরাঙ্গার মত জ্যোতির্ময়, চোখ ধাঁধানো; ছড়ায় মন্ত্রমুগ্ধতার আলো । সিঁদুরে মেঘ, অলীক প্রজাপতি ও আমাদের প্রেমিকারা সিঁদুরে মেঘ ভাষে আকাশে, লঘুগ্রামে ঝরছে ম্যান্ডোলিন বৃষ্টি, বেড়ালের মত নিমীলিত নীল চোখে নিঃসঙ্গ চোখে অলীক প্রজাপতিরা ভেষে থাকে বারীবাহে শুধুই জল থইথই ভ্রম অশ্রুতে চোখের আলোআধাঁরির রঙে ধরাতল সাজে ব্যাগপাইপের অবসন্ন গুনগুন কুহকের অস্পষ্ট স্বরে পলকা নিশ্বাসে ফুলমুখো ড্যান্ডিলায়নের জানালায় হিম ঝড়ে উড়ে যায় সব পুষ্পিকা, অতপর কুহক প্রেমিকারা আমাদের বাহুতলে লুটিয়ে পড়ে রৌদ্ররঙিন নীল রুপকথার মত কবিতার পৃষ্ঠা থেকে উড়ে যায় ডানাহারা মৌটুসি গ্রাফিটি প্যালেট থেকে দৃশ্যের প্রচ্ছদে মিশিয়ে কল্পনার সাতরঙ একজন বর্ষীয়ান মৃণ্ময়শিল্পি মেতে উঠেছে সৃষ্টির উল্লাসে নীলাভ্র কাছিমের খোলে গড়ে তুলছে কুমরেপোকার ঘর হিমাদ্রীর বুকে লেপটে দিয়েছে আর্দ্র পয়োধর আঙ্গুলের আঁচড়ে আঁকছে হিমসরের গ্রাফিটি জলধরের তটে লিখে চলেছে জাদুর অক্ষর অবেলার পটে ফুটন্ত ম্যাগমার জলকন্ঠ ছড়িয়ে পড়লে কুম্ভশালায় কলসির ভিতরে আবারো হারিয়ে যায় ক্যালোরিহীন একটা চীজবল
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।