ঢাকা থেকে রাজবাড়ি
রাস্তা জুড়ে কৃষ্ণচূড়ার সারি
দুধারেই শ্যমলিমার ছড়াছড়ি
আহা মরি!!!মরি!!!মরি!!!
পদ্মার পাড়ের এই জেলা এতই সাজানো গোছানো নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতে চাইবেন না। মনে হবে আমি বাড়িয়ে বলছি। দৌলতদিয়া পার হওয়ার পর থেকেই দুধারে কৃষ্ণচূড়া গাছের সারি মনে হবে এ যেন বাঙালি হিন্দু রমণীর সিদুর থেকে লাল রঙ চুরি করে নিয়ে এসে কে যেন এখানকার সমস্ত গাছগুলোতে ছড়িয়ে দিয়ে গেছে। এখন কৃষ্ণচূড়ার সৌরভ ছড়ানোর মাস। ঢাকা থেকে বৃষ্টি মাথায় করে গাড়িতে সৌন্দর্য্য অবলোকন করতে করতে যাচ্ছি, মাঝে দুই-তিনটা দুর্ঘটনাকবলিত বাস, ট্রাক, জিপ দেখে মন খারাপ হওয়াকে ঠেকিয়ে রেখেছে।
মানিকগঞ্জ আসার পরেই লক্ষ্য করলাম ঢাকার কৃষ্ণচূড়া এখানকার কৃষ্ণচূড়া গাছগুলোর মাঝে বিস্তর ফারাক। এককথায় বলতে গেলে রঙের দিক থেকে একটা গাঢ় রঙের হলে অন্যটি প্রগাঢ় হবে। আমার ক্যামেরা বন্দী ছবিগুলোতে লাল রঙের ছড়াছড়ি। শুধু মাঝে কয়েকটা ঐ এক্সিডেন্টের ছবি।
পদ্মা পাড়ি দিয়ে গাড়ি ছুটে চলেছে গন্তব্যস্থলের দিকে মাঝে মাঝেই সবুজের সমারোহ আমাকে ব্যকুল করে তুলেছে।
উপরে তাকালে গাঢ় সবুজের মাঝে প্রগাঢ় লাল কৃষ্ণচূড়া আর রাস্তার কিনারা থেকে দিগন্তের পানে ছুটেচলা সীমান্তের মাঝের সমস্ত এলাকা জুড়ে সবুজ সবুজ তিল গাছের সাদা ফুলের সমারোহ। এই অদ্ভুত সামঞ্জ্যসপূর্ণ বৃষ্টিস্নাত পরিবেশ আমাকে কবিতায় ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমার হৃদয় কুটিরে জমাকৃত লাইন গুলো এরকম……
“বরিষে আমিয় ধারা প্রকৃতির বুকে
সবুজের মাঝে সাদা ফুলের পর
আমি মধুকর
বধুকে মোর সিদুরে রাঙিয়ে
সাথে করে লয়ে ফিরছি
হঠাতই মনের খেয়ালে
সাদা ফুলেতে মাখিয়ে দিলাম
বধুর রেখে দেওয়া সিদুরের বাকিটুকুন
বধু জানিলোনা
তার গাঢ় ভালবাসা
কৃষ্ণচূড়ার প্রগাঢ়তার কাছে পরাজিত”। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।