সোহাগ কনাকে ফোন করেছিল। মেয়েটার মন খারাপ। মেয়েটার মন বোধহয় খারপই থাকে। সোহাগ ফোন করলে মনটা আরও খারাপ হয়ে যায়।
সোহাগের দিনকাল অবশ্য ভালোই যাচ্ছে।
চাকরি পেল। পরশু প্রথম বেতন পেল। গতকাল প্রথম বোনসটাও পেল। যদিও ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছে its 5 times easier to get chance @ IBA than managing a girl, বোঝা যাচ্ছে গার্ল ম্যানেজমেন্টের ’টাফ’ কাজটাও তাকে আজকাল করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে রেমন্ডের মতো a complete man. সোহাগের লাইফ কার্ভটা কখনই স্ট্রেইট লাইন না।
যখন আপওয়ার্ড তখন খাড়া আপওয়ার্ড, আবার যখন ডাউনওয়ার্ড তখনও তেমনি।
সোহগ কবে যেন সানীকেও ফোন করেছিল। কথার সারমর্ম হলো- বিয়ে হয়েছে, একটা বাচ্চাও হলো। যেমনই হোক সংসারটা করতেই হবে বাকি জীবন।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস পৃথিবীতে মোট সুখ constant. সোহাগ একটু বেশী Happy আছে মানে অন্য কোথাও অন্য কেউ একই পরিমান Unhappy. যখন সানী লাকি ভাইকে নিয়ে সুখী হলো ঠিক অতখানি সুখ কমে গেল সোহাগের।
রিংকি বা মৌরীরা অন্যকে নিয়ে যখন সুখী হলো, তখন একই পরিমান অসুখী হলো রানা। তানিয়া অন্য ছেলেকে নিয়ে যখন সুখী হলো তখন অসুখী হলো টিটু। রানা-সোহাগরা চাকরি পেয়ে যেটুকু খুশি হলো, একই চাকরিতে ভাইভাতে বাদ পড়ে ততটুকু অসুখী হলো অন্যরা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।