আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোয়ান্টাম মেথডের প্রশ্নবিদ্ধ জাকাত ফান্ড!! বিধর্মীকে জাকাত দেওয়া যাবে কি?

আপনি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য জাকাত দিবেন। আল্লাহর নির্দেশ পালন করবেন। কিন্তু কাকে জাকাত কাকে দিবেন? যে ব্যক্তি আল্লাহকে কিংবা রাসুল (সাঃ) কে মানেন না, তাকে কি আপনি জাকাত দিবেন? তাদেরকে জাকাত দিলে আপনার জাকাত কি আদায় হবে? কোয়ান্টামের মহাজাতক কি বলে দেখুন। এই মহাজাতক বান্দরবানের লামাতে একটা পিকনিক স্পট কাম আশ্রম টাইপের কিছু একটা চালু করেছে। মূলত উপজাতিরা সেখানে থাকে।

সেখানে খরচ করার মানসে জাকাতের টাকা হালাল করার জন্য এই ফতোয়া জারী করেছেন। আরো একটু বলি। যাকাত যখন আপনি দিয়ে দিবেন, তখন জাকাতের ঐ টাকার উপর আপনার কোনো অধিকার, দাবী দাওয়া কিংবা শর্তারোপ করতে পারবেন না। এটা নিঃশর্তে দেওয়ার মতো একটা ব্যাপার। কিন্তু এই কোয়ান্টামীরা জাকাতের নামে ক্ষুদ্রঋণ টাইপের একটা সিস্টেম চালু করেছে।

যেমন: মানুষের দেওয়া জাকাতের টাকা থেকে তারা একজন গরীবকে একটা গরু কিনে দিলো। তবে শর্ত থাকে যে, ঐ গরুর দাম তাকে পরিশোধ করতে হবে, দুধ বিক্রির মাধ্যমে। কিংবা একটা সিএনজি কিনে দিলো, সেই সিএনজির মূল্য ভাড়া বাবদ পরিশোধ করতে হবে কিস্তিতে। আসুন এইবার যেনে নিই কাদের উপর জাকাত ফরজ, এবং জাকাত কাদেরকে দেওয়া যাবে। (এই অংশটুকু কপিপেস্ট) যাকাত পাওয়ার হক্বদার কে? নিম্নলিখিত আট খাতে যাকাতের অর্থ ব্যয় করা ফরয।

পবিত্র কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “যাকাত কেবল ফকির, মিসকিন ও যাকাত আদায়কারী কর্মচারীদের জন্য, যাদের চিত্ত আকর্ষণ করা প্রয়োজন তাদের জন্য অর্থাৎ নও মুসলিম, দাস মুক্তির জন্য, ঋণে জর্জরিত ব্যক্তিদের ঋণমুক্তির জন্য, আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় জিহাদকারী এবং মুসাফিরদের জন্য। এটা আল্লাহ পাক উনার নির্ধারিত বিধান এবং আল্লাহ পাক সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়। ” ১। ফকির : ফকির ওই ব্যক্তি যার নিকট খুবই সামান্য সহায় সম্বল আছে। ২।

মিসকীন : মিসকীন ওই ব্যক্তি যার আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি এবং আত্ম সম্মানের খাতিরে কারো কাছে হাত পাততে পারে না। ৩। আমিল বা যাকাত আদায় ও বিতরণের কর্মচারী। ৪। মন জয় করার জন্য নওমুসলিম : অন্য ধর্ম ছাড়ার কারণে পারিবারিক, সামাজিক ও আর্থিকভাবে বঞ্চিত হয়েছে।

অভাবে তাদের সাহায্য করে ইসলামে সুদৃঢ় করা। ৫। ঋণমুক্তির জন্য : জীবনের মৌলিক বা প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণের জন্য সঙ্গতকারণে ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিদের ঋণ মুক্তির জন্য যাকাত প্রদান করা যাবে। ৬। দাসমুক্তি : কৃতদাসের মুক্তির জন্য।

৭। ফি সাবিলিল্লাহ বা জিহাদ : অর্থাৎ ইসলামকে বোল-বালা বা বিজয়ী করার লক্ষ্যে যারা কাফির বা বিধর্মীদের সাথে জিহাদে রত সে সকল মুজাহিদদের প্রয়োজনে যাকাত দেয়া যাবে। ৮। মুসাফির : মুসাফির অবস্থায় কোন ব্যক্তি বিশেষ কারণে অভাবগ্রস্থ হলে ওই ব্যক্তির বাড়িতে যতই ধন-সম্পদ থাকুক না কেন তাকে যাকাত প্রদান করা যাবে। কাদেরকে যাকাত দেয়া যাবে না: ১।

উলামায়ে ছূ’ বা ধর্মব্যবসায়ী মাওলানা দ্বারা পরিচালিত মাদরাসা অর্থাৎ যারা জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও অন্যান্য কুফরী মতবাদের সাথে সম্পৃক্ত সেই সমস্ত মাদরাসাতে যাকাত প্রদান করলে যাকাত আদায় হবে না। ২। নিসাব পরিমাণ মালের অধিকারী বা ধনী ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া যাবে না। ৩। মুতাক্বাদ্দিমীন অর্থাৎ পূর্ববর্তী আলিমগণের মতে কুরাঈশ গোত্রের বনু হাশিম-এর অন্তর্গত আব্বাস, জাফর, আকীল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের বংশধরের জন্য যাকাত গ্রহণ বৈধ নয়।

তবে মুতাআখখিরীন অর্থাৎ পরবর্তী আলিমগণের মতে বৈধ। ৪। অমুসলিম ব্যক্তিকে যাকাত দেওয়া যাবে না ৫। যে সমস্ত মাদরাসায় ইয়াতীমখানা ও লিল্লাহ বোডিং আছে সেখানে যাকাত দেয়া যাবে এবং যে সমস্ত মাদরাসায় লিল্লাহ বোডিং নেই সেখানে যাকাত দেয়া যাবে না। ৬।

দরিদ্র পিতামাতাকে, সন্তানকে, স্বামী বা স্ত্রীকে যাকাত দেয়া যাবে না। ৭। প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ইয়াতীমখানা লিল্লাহ বোডিংয়ের জন্য যাকাত আদায়কারী নিযুক্ত হলে তাকে যাকাত দেয়া যাবে না। ৮। উপার্জনক্ষম ব্যক্তি যদি উপার্জন ছেড়ে দিয়ে নামায-রোযা ইত্যাদি নফল ইবাদতে মশগুল হয়ে যায় তাকে যাকাত দেয়া যাবে না।

তবে সে যদি উপার্জন না থাকার কারণে যাকাত পাওয়ার উপযুক্ত হয় তবে যাকাত দেয়া যাবে। ৯। বেতন বা ভাতা হিসেবে নিজ চাকর-চাকরানীকে যাকাতের টাকা দেয়া যাবে না। সাথে এই মহাজাতকের আর একটা ভন্ডামী দেখুন। মাটির ব্যাংকের গুনাগুণ দেখুন---ব্লগে দ্রুত সেফ হওয়ার অব্যর্থ উপায়, বিফলে মূল্য ফেরত।

আরো দেখতে পারেন। কোয়ান্টাম মেথড: মেডিটেশনের আড়ালে পীর ব্যবসা ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.