আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুরো জাতিই আজ রক্তের নেশায় উন্মাদ। আমরা কি মানসিকভাবে অসুস্থ?

নামের সাথে কামের কিছু মিলতো থাকবোই থাবা বাবা মরলে আমরা খুশি হই, ফটিকছড়িতে লীগের লোক মরলে আমরা খুশি হই, রাতের অন্ধকারে হেফাজতের লোক গুলি করে মারলে আমরা খুশি হই। বগুড়াতে শত শত লোক জামাত-শিবির নিধনের নামে খুনকে আমরা জায়েজ করি। বিশ্বজিতকে ছাত্রলীগ মারলে আমাদের কষ্ট লাগে না, সাগর-রুনীর জন্য কষ্ট লাগে না। তকী হত্যায় জামায়াত জড়িত থাকলে আমরা ক্রোধে ফেটে পড়ি, আমার দলের লোক হলে চুপসে যাই... পুরো জাতিই আজ রক্তের নেশায় উন্মাদ। আমরা আজকে একজন আরেকজনকে খুন করার জন্য উন্মত্ত।

------------------------------------------------- ফেবু থেকে পাওয়া একজনের লেখা... -------------------------------------------------- গতকাল রাতের ঘটনা নিয়ে অনেকেই হয়তো অন্ধকারে আছেন। অনেকে হয়তো বলছেন ১০ মিনিটেই খালি! শ এর উপর লাশের মধ্য দিয়েই গতকালের অপারেশন শেষ হয়েছে। প্রথমে ওপেন ফায়ার করেছে, মানুষ ভয় না পাওয়ায় এরপর তাদের গায়ে সরাসরি ফায়ার করেছে। যারা খুশিতে লাফাচ্ছেন আর বলছেল, ভালই হইসে, তাদের জন্য বলছি, এইটাই বাংলাদেশের জেনারেল মানুষের এডুকেশন লেভেল। ওরা ভুল বুঝুক, না বুঝুক, যাই বুঝুক, এরাই দেশের সাধারন মানুষ যাদেরকে সার্ভ করার জন্য, যাদের ভোটে সরকার ক্ষমতায় আসে।

যদি তারা ভুল জিনিসের দাবি রাখে, ম্যনিপুলেটেড হয়, তাদেরকে গুলি করে মারার অধিকার কেও সরকারকে দেয় নাই। আর যদি গুলি করে এত মানুষ মারতে হয়, সেটা সিস্টেমের সমস্যা। আপনি বলবেন, শাপলা চত্বর দখল করে কেন রাখলো, আমি বলবো শাহবাগ তো মানুষের দখলে ছিল মাসের পর মাস। কেন প্রথম দিনই সেটা খালি করা হয়নাই? এইটাও ইমোশনের লড়াই, সেটাও ইমোশনের লড়াই। সেখানে লাথি দিলে সরকারের ভোট ব্যাংকে লাথি পরতো, আর এখানে লাথি না দিলে পরবে।

তাই সেখানে পুলিশ প্রোটেকশন আর এখানে রাতের অন্ধকারে গুলি? আপনি বলবেন, মাদ্রাসার পিচ্চি ছেলেদেরকে নিয়ে আসলো ওরা। শাহবাগে যখন মা তার তিন বছরের বাচ্চাকে নিয়ে যায় আর তাকে দিয়ে বলায়, ফাসি চাই, তখন কেমনে বাহবা দেন? একটা তিন বছরের বাচ্চাকেও কি ফাসি, জবাই থেকে দূরে রাখা উচিৎ ছিল না? মাদ্রাসাতে তো সাড়া জীবন ধর্মের কথা আর এইটাই শিখায়। তারা তো নিজেদের আইডিওলজি থেকে ব্যতিক্রম কিছু করেনি! আপনি বলবেন, এমন তান্ডব কিভাবে করে? আমাকে উত্তর দেন, আপনারা যদি লাখো লোক নিজের ইমোশনের দাবি আদায়ে নামতেন আর আপনাদের বাধা দেওয়া হত, পরিনতি কি অন্যরকম হত? আমাদেরকে শাহবাগে আটকালে এর চেয়েও খারাপ পরিনতি হত। আমি বলবো না ওদের দাবি যৌক্তিক। ওদের দাবি মানা সম্ভব না।

কিন্তু এখানে যেই মানুষ ছিল, তারা বাংলাদেশী মানুষ ছিল। যদি শ সাধারন মানুষকে এভাবে গুলি করে মারতে হয়, তাহলে সিস্টেমের সমস্যা এবং এই সরকার অধিকার রাখে না এই মানুষের গণতান্ত্রিক দেশে ক্ষমতা ধরে রাখতে। ২৫শে মার্চের সাথে খুব বেশী পার্থক্য নাই। সেদিনো দাবি আদায়ে উন্মুখ মানুষকে চুপ করাতে হত্যা চলেছিল, আজো তাই। সেদিনো, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেশকে অন্ধকারে রাখা হয়েছিল, আজো তাই।

আর প্লিজ হিপোক্রিট হবেন না, তাহলে আপনার শিক্ষা ব্যর্থ আপনাকে মানুষ করতে। মা নুষ হতে হলে অন্য মানুষের ইমোশন, সিচুয়েশন আর সেন্সিটিভিটি বোঝার ক্ষমতাও থাকতে হয়। কার্টেছি ঃNahiyan Nasir // ফেসবুক ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.