একবিংশ শতাব্দীতে যখন মানুষ এগিয়ে চলেছে সভ্যতার ক্রম উচ্চতার দিকে, তখনও পৃথিবীর কোথাও কোথাও রয়ে গেছে আদিম প্রবৃত্তির অসভ্যতার ছোঁয়া। এখনও মানুষ প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে নিজেদের পশু প্রবৃত্তির ছাপ রাখছে কোথাও কোথাও। মানব চরিত্রের এমনি একটি অন্ধকার উদাহরণের সন্ধান মিলেছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে। এখানে একটি পরিবারের সবাই নরখাদক। মানুষসহ বিভিন্ন পশুর মৃতদেহই ছিলো তাদের খাদ্য।
কিন্তু বেশিদিন চেপে রাখা সম্ভব হয়নি তাদের এই পশুবৃত্তি। সদ্য মৃত এক তরুণীর বিকৃত দেহসহ হাতেনাতে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাবের কাহাওয়ার কালান শহরে। সেখানে মৃতদেহ ভক্ষণের দায়ে দুই মহিলা ও আরিফ (৩৫) নামে একই পরিবারের ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কবর খুঁড়ে মৃত মানুষের দেহ নৃশংসভাবে বিকৃত করা এবং তা ভক্ষণ।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি ওই গ্রামে সায়রা পারভিন নামে এক তরুণী মারা গেলে তাকে কবর দেয়া হয়। কিন্তু কবর দেয়ার বেশ কয়েক ঘন্টা পরে তার ভাই দেখে কবর থেকে গায়েব হয়ে গেছে বোনের লাশ। সায়রার ভাই বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা খোঁজ নিতে শুরু করে। জানা যায় লাশ গায়েব হওয়ার কিছুক্ষণ আগে আরিফকে শাবল হাতে দেখা গিয়েছিলো গোরস্থানে। পুলিশ তাৎক্ষণিক আরিফের বাসায় তল্লাশি চালায় এবং হাত-পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় সায়রার বিকৃত লাশ উদ্ধার করে।
অভিযানের সময় নরমাংস রান্না করা অবস্থায় আরো দুই মহিলাকেও আটক করে পুলিশ । আরিফ তার স্বীকারোক্তিতে জানায়, তারা বেশ কিছু দিন যাবৎ নরমাংস ভক্ষণ করে আসছে। তাদের সাথে তার আরেক ভাই ইরফানও জড়িত। ইরফান বর্তমানে পলাতক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।