[ হুমায়ূন আহমেদ: ডাক্তার অস্ত্রোপচারের পর আমি কি মারা যাবো?
জজ মিলার : সে সম্ভাবনা দেখছি না...।
হুমায়ূন আহমেদ: দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচার হচ্ছে তো সে জন্য জিজ্ঞেস করছি। মৃত্যুর যদি কোনো সম্ভাবনা থাকে তাহলে আমাকে বলতে পারেন। আমার কাছে কোনো কিছু লুকানোর প্রয়োজন নেই।
জজ মিলার : আপনি আশ্বস্ত হতে পারেন অস্ত্রোপচারের
কারণে আপনার মৃত্যু হবে না।
সেরকম কোনো সম্ভাবনা নেই।
হুমায়ূন আহমেদ : তারমানে আপনি অভয় দিচ্ছেন।
জজ মিলা: অভয় দিচ্ছি এ অস্ত্রোপচারের কারণে আপনি মরবেন না। আমি অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি।
নিউইয়র্কে জ্যামাইকা বেলভ্যু হাসপাতালে দ্বিতীয় অস্ত্রোপচারের আগে ক্যান্সার সার্জন জজ মিলারের সঙ্গে এভাবেই কথা বলেন হুমায়ূন আহমেদ।
বাংলানিউজের কাছে এটা তুলে ধরেন নিউইয়র্কে লেখকের সার্বক্ষণিক সঙ্গী অন্যপ্রকাশের স্বত্ত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম। জজ মিলারের নেতৃত্বে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। জ্যামাইকা বেলভ্যু হাসপাতাল ক্যান্সার চিকিৎসায় খ্যাতনামা হাসপাতাল।
বৃহদান্ত্রে ক্যান্সার ধরা পড়ার পর গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য নিউ ইয়র্কে যান হুমায়ূন আহমেদ। সেখানে মেমোরিয়াল স্লোয়ান-কেটরিং ক্যান্সার সেন্টারে চিকিৎসা নিতে শুরু করেন তিনি।
দুই পর্বে মোট ১২টি কেমো থেরাপি নেওয়ার পর গত ১২ জুন বেলভ্যু হাসপাতালের অনকোলজি বিভাগের প্রধান ডা. জেইন এবং ক্যান্সার সার্জন জজ মিলারের নেতৃত্বে হুমায়ূন আহমেদের দেহে অস্ত্রোপচার হয়।
অস্ত্রোপচারের পর ১৯ জুন বাসায় ফিরেছিলেন এই লেখক। স্ত্রী শাওনসহ সন্তানদের নিয়ে কুইন্সে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকছিলেন তিনি।
বাসায় ফিরলেও অবস্থার অবনতি ঘটলে আবার বেলভ্যু হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। ২১ জুন তার দ্বিতীয় অস্ত্রোপচার হয়।
এরপর গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ২০ মিনিটে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অস্পোপচারে জটিলতা হয়নি কিংবা কোনো সমস্যা হয়নি। বৃহদান্ত্রে সংঘটিত সংক্রমণ রক্তের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়াই হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর কারণ বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক জর্জ মিলার। তিনি সম্পূর্ণভাবে ক্যান্সারের ঝুঁকিমুক্ত ছিলেন অথবা ভবিষ্যতে আবারো ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা থেকে মুক্ত ছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।