আমি একজন ছাএ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বর্তমান সরকারের অবদানঃ বর্তমান সরকার যোগাযোগের ক্ষেত্রে অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছে। ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে মিরপুর, বনানী ফ্লাইওভার নির্মাণ, এয়ারপোর্ট কুড়িল ফ্লাইওভার নির্মাণ, পলাশী থেকে খিলগাঁও ফ্লাইওভার নির্মাণ এ সরকারের অন্যতম সাফল্য হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। চট্টগ্রামের জিইসির মোড়ে ফ্লাইওভার নির্মাণ করে যানজট ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন করেছে। বনানী ফ্লাইওভার নির্মাণ করে ঢাকার রেল ক্রসিং এ যে যানজট হতো তাহ হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে। ঢাকা চট্টগ্রাম চার লেন রাস্তা নির্মাণ এ সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল চার লেন করা মহাজোট সরকারের অন্যতম সাফল্য বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মহল।

সড়ক পথের উন্নয়নের পাশাপাশি সরকার রেল ব্যবস্থাকে আধুনিক করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সে জন্য বিদেশ থেকে ২০ টি রেল ইঞ্জিন (লোকোমেটিভ ) সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া লোকাল যাত্রী পরিবহনের জন্য চীন থেকে আনা হয়েছে DEMU ট্রেন যা যাত্রীদের খুব দ্রুত গতিতে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দিবে। মহাজোট সরকার বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সেজন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষ যাতে রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারে সে জন্যই সরকারের এই প্রচেষ্টা।

উত্তরবঙ্গের সাথে ঢাকার যোগাযোগ উন্নত করার প্রয়াসে আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস চালুকরা হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ব্রড গেজ লাইন নির্মাণ করা হয়েছে যাতে উত্তরবঙ্গের ট্রেন ঢাকা আসতে পারে। কারন ঢাকার ট্রেন লাইন গুলি মিটার গেজে নির্মিত। সড়ক পথে যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমনের জন্য BRTC ৫০ টি আর্টিকুলেটেড বাস আমদানী করেছে যা ঢাকা শহরে যাত্রী পরিবহনে অন্যতম ভুমিকা রাখছে। পূর্বে যাত্রী সাধারন বিভিন্ন পরিবহনের কাছে জিম্মি ছিল। বর্তমান অবস্থায় সে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি সাধিত হয়েছে।

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে BRTC তাদের সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। যাত্রী সাধারন নিরাপদে ভ্রমন করছে। রাষ্ট্রীয় সেবা খাতের এই অবদান সরকারের আন্তরিক স্বদিচ্ছারই প্রকাশ। ।