আমি আর আমার এক বন্ধু হঠৎ করেই সেন্টমার্টিন যাবার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে গেলান। কিন্তু কি করে যাব কিছুই জানি না। শুধু জানি যাব। দুই পাগল এক হয়ে সেন্টমার্টিন যাব, খুব আনন্দে ছিলাম কারন এইটা আমাদের প্রথম সেন্টমার্টিন ভ্রমন ছিল। কিন্তু সামনে কি আছে, কত বিপদ আর প্রতিকুল পরিবেশর সম্মুক্ষিন হতে হবে তার কিছুই জানি না।
বাসা থেকে বের হলাম ঠিক ৫ টায়। বাস টারমিনাল ছিল পরিপুর্ন। কথাও কোন সিট নাই। হঠৎ করে (৩ ঘন্টা) শ্যামলি বাসের ৪ টি ছিট ফাঁকা হয়ে গেল। সাথে সাথে ২ টি ছিট নিয়ে নিলাম।
এই গেল বাস বিরম্বনা। সব কিছু ঠিক মত ছিল। সকালে ফেরি করে সেন্টমার্টিন যাব। কিন্তু এই খানে আরও বেশি সমস্য। বাস পৌছানর আগে ৩ টি ফেরি ছেরে গেছে।
একটি ফেরি তখন শেষ বাসের জন্য অপেক্ষা করছে। আর আমাদের বাস ছিল সবার শেষ বাস। কোন রকম বাস থেকে নেমে দৌর দিইয়ে ফেরির কাছে গেলাম। ফেরিতে এক বিন্দু জাইগা নাই। কোন রকম ১০০০ টাকা দিয়ে দুই টি টিকেট নিলাম।
৩ ঘন্টা দারিয়ে অবশেষে আমাদের শেষ গন্তবে পৌছাইলাম। তখনও বুজতে পারি নাই এইটা শেষ না, সবে মাত্র শুরু।
ফেরি থেকে নিমে একটা ভেন নিলাম, আর হোটেল খুজার জন্য বের হয়ে গেলাম। তখনও বেশ হাসি খুশি ছিলাম। কারন মনে করছিলাম হোটেল খুব তারাতারি পেয় যাব।
কিন্তু এইটাই ছিল সবচে কষ্টের কাজ। সেই দুপুর থেকে হোটেল খুজে বেরাচ্ছি কথাও কোন হোটেল ফাকা নাই। দুই জনের মাথাই তখন পুরা হাট। কি করব, কি করব তাই খুজে বের করার চেষ্টা করছি। অনেক খোজ করে অবশেষ-এ একটা হোটেল পাওয়া।
তাও আবার খুব একটা ভাল হোটেল না, মোটামুটি ভাল। কিন্তু হোটেল ভারা ছিল ২০০০ টাকা পার দিন। দুখ ভরা মন নিয়ে অবশেষে হোটেলে উঠে গেলাম। ৮০০ টাকার হোটেল ভারা ২০০০ টাকা দিইয়ে থাকতে হল। মনে হইয় এই জন্য মুরব্বিরা বলেন " ফান্দে পরিয়া বগা কান্দেরে "।
এই সব সমস্য থেকে রক্ষা পাবার জন্ন্য সেন্টমার্টিন থেকে কিছু ফটো ছবি তুলে নিয়ে আসছি যেন পরবতি্তে কোন সমস্যই পরতে না হয়। আশা করি তোমাদেরও কাজে লাগবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।