হাদীস বাদে কোরআন কি একটি পূর্নাঙ্গ কিতাব? বেশী প্যাচ দিয়ে পেচকি লাগানোর দরকার নাই। কোরআন কি পূর্ণাঙ্গ কিতাব, নাকি হাদীস ছাড়া কোরআন পূর্ণাঙ্গতা পায় না। কোন টা ঠিক। কোরআন একটি পূর্নাঙ্গ কিতাব সেই কথা আল্লাহ্ পাক কোরআনে অনেক জায়গায় উল্লেখ করেছেন। যেমন সূরা নামল ২৭ আয়াত ৭৫ এ বলেছেন
وَمَا مِنْ غَائِبَةٍ فِي السَّمَاء وَالْأَرْضِ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ
অর্থঃ আকাশে ও পৃথিবীতে এমন কোন গোপন ভেদ নেই, যা সুস্পষ্ট কিতাবে না আছে।
কিন্তু অনেক আলেম ওলামাকে বলতে শুনেছি যে কোরআনে অনেক কিছু নাই তায় হাদীস পড়তে হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে হাদীস নিয়ে'ইকি কোরআনের সফলতা? নাকি হাদীস বাদে'ই কোরআন একটি পূর্ণাঙ্গ কিতাব? যদি কোরআন স্ব- প্রমানে পূর্ণাঙ্গ হয়, তাহলে হাদীস ছাড়া নামাজ কায়েম করবেন কিভাবে? তাহলে কি কোরআন অনেক কারনে হাদীসের কাছে দায়বদ্ধ? যা হাদীস বলে তা কোরআন বলে না। এখন এক কথায় বলুন হাদীস ছাড়া কোরআন কি পূর্ণাঙ্গ কিতাব?
আল্লাহ্ কোরআনে রাসুল (সাঃ) কে সুরা কাহফ ১৮:২৭ আয়াতে বলেছেনঃ
وَاتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِن كِتَابِ رَبِّكَ لَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِهِ وَلَن تَجِدَ مِن دُونِهِ مُلْتَحَدًا
অর্থঃ আপনার প্রতি আপনার পালনকর্তার যে, কিতাব প্রত্যাদিষ্ট করা হয়েছে, তা পাঠ করুন। তাঁর বাক্য পরিবর্তন করার কেউ নাই। তাঁকে ব্যতীত আপনি কখনই কোন আশ্রয় স্থল পাবেন না।
এই আয়াতে বোঝা যাচ্ছে রাসুলের কোরআন ছাড়া কোন পথ নাই, তাকেই আকড়ে ধরতে বলেছে।
সূরা আশ-শুরা ৪২:৭ আয়াতঃ
وَكَذَلِكَ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لِّتُنذِرَ أُمَّ الْقُرَى وَمَنْ حَوْلَهَا وَتُنذِرَ يَوْمَ الْجَمْعِ لَا رَيْبَ فِيهِ فَرِيقٌ فِي الْجَنَّةِ وَفَرِيقٌ فِي السَّعِيرِ
অর্থঃ এমনি ভাবে আমি আপনার প্রতি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি, যাতে আপনি মক্কা ও তার আশ-পাশের লোকদের সতর্ক করেন এবং সতর্ক করেন সমাবেশের দিন সম্পর্কে, যাতে কোন সন্দেহ নেই। একদল জান্নাতে এবং একদল জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
সূরা জাসিয়া ৪৫:৬ আয়াতঃ
تِلْكَ آيَاتُ اللَّهِ نَتْلُوهَا عَلَيْكَ بِالْحَقِّ فَبِأَيِّ حَدِيثٍ بَعْدَ اللَّهِ وَآيَاتِهِ يُؤْمِنُونَ
অর্থঃ এগুলো আল্লাহর আয়াত, যা আমি আপনার কাছে আবৃত্তি করি যথাযথরূপে। অতএব, আল্লাহ ও তাঁর আয়াতের পর তারা কোন কথায় বিশ্বাস স্থাপন করবে।
সূরা জাসিয়া ৪৫:১১ আয়াতঃ
هَذَا هُدًى وَالَّذِينَ كَفَرُوا بِآيَاتِ رَبِّهِمْ لَهُمْ عَذَابٌ مَّن رِّجْزٍ أَلِيمٌ
অর্থঃ (কোরআন) এটা সৎপথ প্রদর্শন, আর যারা তাদের পালনকর্তার আয়াতসমূহ অস্বীকার করে, তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
সূরা জাসিয়া ৪৫:১৮ আয়াতঃ
ثُمَّ جَعَلْنَاكَ عَلَى شَرِيعَةٍ مِّنَ الْأَمْرِ فَاتَّبِعْهَا وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَاء الَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ
অর্থঃ এরপর আমি আপনাকে রেখেছি ধর্মের এক বিশেষ শরীয়তের উপর। অতএব, আপনি (কোরআন) এর অনুসরণ করুন এবং অজ্ঞানদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করবেন না।
উপরের এই জাসিয়া সূরায় আল্লাহ্ অজ্ঞানদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করতে মানা করলেন। এই অজ্ঞান বলতে আল্লাহ্ কাদের মিন করছে?
সূরা বাকারা ২:৭৯ আয়াতঃ
فَوَيْلٌ لِّلَّذِينَ يَكْتُبُونَ الْكِتَابَ بِأَيْدِيهِمْ ثُمَّ يَقُولُونَ هَـذَا مِنْ عِندِ اللّهِ لِيَشْتَرُواْ بِهِ ثَمَناً قَلِيلاً فَوَيْلٌ لَّهُم مِّمَّا كَتَبَتْ أَيْدِيهِمْ وَوَيْلٌ لَّهُمْ مِّمَّا يَكْسِبُونَ
অর্থঃ অতএব তাদের জন্যে আফসোস! যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে এবং বলে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ-যাতে এর বিনিময়ে সামান্য অর্থ গ্রহণ করতে পারে।
অতএব তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের হাতের লেখার জন্য এবং তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের উপার্জনের জন্যে।
এই খানে আল্লাহ্ হাতের লিখা বলতে কোন কিতাবের কথা বলছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।