ভাত নেব, নাকি সালাদ নেব? শুধু ফল খাব, নাকি চা খেয়েই কাটিয়ে দেব পুরো দুপুর? কর্মজীবীদের প্রায় প্রতিদিন এ বিষয়গুলো কিছুটা হলেও ভাবায়। অনেকের আবার কাজের চাপে খিদে পায় বেশি। দুপুরে খাওয়াও হয় ভালোমতো। ফলাফল, ইশ্্, যদি একটু ঘুমাতে পারতাম, একটু বিশ্রাম নিতে পারতাম—এ ধরনের কথাগুলো মাথায় ঘুরপাক খেতে শুরু করে। একটু চিন্তা করলে দেখা যায়, দুপুরের খাওয়া ও তার পরিমাণ হওয়া উচিত এমন, যাতে মন ভরবে, পেট ভরবে, কিন্তু খাওয়ার পর ভারী বোধ হবে না।
পাশপাশি বাকি দিনটিতে কাজ করার জন্য প্রাণশক্তিও এনে দেবে।
বারডেমের পুষ্টি বিভাগের প্রধান আখতারুন নাহার বলেন, দুপুরে ডিম, মুরগি অথবা সবজির তৈরি স্যান্ডউইচ খেতে পারেন। গরুর মাংস পাতলা করে কেটে আদা, রসুন ও গোলমরিচ দিয়ে মেরিনেট করে খেতে পারেন। এ ছাড়া সাসলিকের সঙ্গে আলাদা রুটি ও দুই টুকরো আলু খাওয়া যায়। এতে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যাবে।
তবে দুপুরে শুধু সালাদ খাওয়া ভালো নয়, এতে শরীরে ধীরে ধীরে অলসতা তৈরি হয়। কারণ, শুধু সালাদ খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পাওয়া যাবে না। যত বিকেল হবে, কাজ করার আগ্রহ তত কমে যাবে। এ কারণে দুপুরে সালাদের সঙ্গে একটু কার্বোহাইড্রেট খেতেই হবে।
কর্মক্ষেত্রে ভাত অল্প পরিমাণে খেলে ভালো।
এতে করে ঘুম ঘুম ভাব আসবে না। মাছ, মাংস, সবজি যা-ই নেওয়া হোক না কেন, তা যেন শুকনো ধরনের হয়। মাছভাজা নেওয়া যেতে পারে। দুপুরে খাওয়া যতটা সংক্ষিপ্ত হবে, ততই ভালো। তবে খাবারের মধ্যে সব ধরনের পুষ্টি আছে কি না, সে বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে।
একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পদে কাজ করছেন ফারজানা হালিম হাই। কর্মক্ষেত্রে দুপুরের খাবারে তিনি সব সময়ই বৈচিত্র্য রাখার চেষ্টা করেন। নকশার এই আয়োজনে রেসিপি দেওয়ার পাশাপাশি দিলেন কিছু পরামর্শ। দেশীয় খাবারের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারেন বিদেশি খাবার। দুপুরে খাবারের পাতে ভাতের পরিমাণটা কম থাকাই ভালো; বরং সবজি বেশি খাওয়া যেতে পারে।
ফারজানা হালিম হাই বলেন, ‘অফিসে ফল-দই নিই। কখনো মিষ্টি, কখনো টক, কখনো বা লাচ্ছির মতো বানিয়ে নিয়ে যাই। প্রতিদিন খাবারের বৈচিত্র্যের কারণেই দুপুরের খাবারটার জন্য অপেক্ষা করতাম। একটু রং আনার চেষ্টা করতাম খাবারের মধ্যে। ’
কর্মক্ষেত্রের ছয় দিনের খাবারের তালিকা ছুটির দিনেই তৈরি করে রাখুন।
বান রুটি, ফল, চাটমসলা, টক দই, সসেজ ও ফিশ ফিলের মতো কিছু খাবার সব সময় বাড়িতে রাখুন। টক দইয়ের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফল ও চাটমসলা দিতে পারেন। সপ্তাহে দু-একদিন একটু ভারী খাবার হিসেবে গারলিক রাইস, কমলা ও ফিশ ফিল খেতে পারেন। আগের রাতে রান্না করা মাছ বা মাংস থেকে ঝোলটা ধুয়ে একটু ম্যাশ করে নিয়ে স্যান্ডউইচ বানানো যায়; এর সঙ্গে যোগ করতে পারেন একটু কুচি করে কাটা দেশি পনির। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।